চা বলয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলো কেমন চলছে? শিশুরা ও গর্ভবতী মায়েরা ঠিকমতো পুষ্টিকর খাওয়া পাচ্ছে কি না, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বুধবার বিচ চা বাগানে পরিদর্শন করেন কালচিনি বিডিও প্রশান্ত বর্মণ। পরিদর্শন করতে গিয়ে দুটি বিপরীত চিত্র উঠে এল। বিচ চা বাগানের রামা লাইনে একটি অঙ্গনয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুরা ঠিকঠাক পুষ্টিকর খাওয়া পাচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কবর থেকে আচমকা উধাও কঙ্কালের মাথা! রাজগঞ্জে তুমুল শোরগোল
কিন্তু পাশেই রয়েছে আরেকটি অঙ্গনয়াড়ি কেন্দ্র সেখানে এদিন রান্না হয়নি। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা শিশুদের শুধুমাত্র ডিম দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে। শিশুদের খাওয়ার পাতে শুধু ডিম, ভাত বা খিচুড়ি কিছুই নেই। কালচিনি বিডিওকে সামনে পেয়ে অভিভাবকরা তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। যদিও অঙ্গনয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী গত সপ্তাহে চাল ও ডাল ফুরিয়ে গিয়েছে বলে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছে। কিন্তু তা এখনও আসেনি বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: ৭ সন্তানের বাবা-মা আরেক সন্তান চেয়েছিলেন, হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর চোখ কপালে সকলের! একসঙ্গে আরও ৫
কালচিনি বিডিও প্রশান্ত বর্মণ জানান, 'একটা কেন্দ্রে রান্না হচ্ছে। পাশাপাশি অন্য কেন্দ্রে রান্না হচ্ছে না। কেন এমন হচ্ছে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তিনি। বিডিও জানান চা বলয়ের বাসিন্দারা যাতে সমস্ত সরকারি পরিষেবা পায় সেজন্য আমরা প্রতিটি চা বলয়ে পরিদর্শন করছি। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাল নেই সেই বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন কালচিনি সি ডি পি ও। এই বিষয়ে সি ডি পি ও নরবোড লেপচা জানান, দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সমস্ত কেন্দ্রে চাল পৌঁছে যাবে। তিনি জানান কালচিনি ব্লক আয়তনে খুব বড়। ৭০০-র উপরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আছে। বণ্টন করতে তিন সপ্তাহ সময় লেগে যায়।'
অনন্যা দে