এই মুহুর্তে প্রতিটি আখ দশ থেকে পনেরো টাকা দরে বিক্রি করছেন তারা। কৃষকরা জানিয়েছেন,আখ চাষের জন্য উঁচু কিংবা মাঝারি উঁচু, সমান এবং একদিকে সামান্য ঢালু জমি হলে ভালো হয়। নির্বাচিত জমি অবশ্যই জলাবদ্ধতা মুক্ত হতে হবে। মাটি এঁটেল দো-আঁশ কিংবা বেলে দো-আঁশ প্রকৃতির হলে ভালো হয়। এই দুই ধরনের মাটি এলাকায় দেখা যায়। ফলে তাদের সমস্যা হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কিছুই মেলে না চা বাগান শ্রমিকদের! তাই বাগান বিমুখ নতুন প্রজন্ম
আখ চাষের পদ্ধতি –
আখ চাষে দুধরনের পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।সনাতন পদ্ধতিতে আখের বীজখণ্ডগুলো সরাসরি মূল জমিতে রোপণ করা হয়। ভালোভাবে জমি তৈরির পর কোদাল বা লাঙল দিয়ে নালা করে নালার ভেতর বেসালডোজ সার ছিটিয়ে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দুই বা তিন চোখবিশিষ্ট বীজখণ্ড সরাসরি মাথায় মাথায় স্থাপন করে তার উপর প্রায় ২ ইঞ্চি মাটির আবরণে ঢেকে দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ফের নকল মদের হদিস কালচিনির ভার্নোবাড়ি চা বাগানে, গ্রেফতার এক
রোপা পদ্ধতিতে আখের চারা তৈরি করে চারাগুলো মূল জমিতে নালার ভেতর রোপণ করা হয়। আখের চারা তৈরির জন্য বেশ কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এরমধ্যে পলিব্যাগে চারা তৈরি, বীজতলায় চারা তৈরি এবং গাছচারা তৈরি পদ্ধতি প্রধান। চারা তৈরির জন্য বীজখণ্ডগুলো বিশেষ যত্নের সাথে তৈরি করা হয়।
আখ চাষের সময় –
শ্রাবণ- আশ্বিন মাস চারা উৎপাদনের উপযুক্ত সময়। এসময় তাপমাত্রা বেশি থাকায় চারা বেশি গজায়। আশ্বিনের পরে অঙ্কুরোদগম কমে এবং চারা উৎপাদন খরচ বেশি পড়ে।
Annanya Dey