সরকারি দফতরে গ্রুপ ডি কর্মচারী ছিলেন তিনি। অভাবের সংসার আবিস্কারকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি। টোটো জনজাতির অক্ষরলিপি কেন নেই? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খেতে থাকে মাটির মানুষ ধনীরাম টোটোর মনে।ভুটানের তাদিং পাহাড়ের কোলের এই সন্তান প্রকৃতির উপাসক। মনে মনে স্বপ্নের জাল বুনতেন যে,যদি পৃথিবীর সব জনজাতির পৃথক অক্ষর ও ভাষা থাকতে পারে, টোটোরা কেনো বঞ্চিত হবে? চেয়েছিলেন নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে। তার জন্য শুরু হয় কঠোর সংগ্রাম।
advertisement
আরও পড়ুন: থাকবেন মমতা, ডাক শুভেন্দুকেও! রাজভবনে আজ হাতেখড়ি, বাংলা শিখবেন রাজ্যপাল
আরও পড়ুন: বাগদেবীর আরাধনা হবে না স্কুলে! কারণ, এই একমাত্র পড়ুয়া
যা তিনি শেষ অবধি করে দেখালেন। এক অস্ট্রেলিয়ান সাহেবের সহায়তা নিয়ে ৩৭ শব্দের অক্ষর রাশি তৈরি করেন। সঙ্গে টোটো সাহিত্যে প্রচুর কবিতা, উপন্যাস ও রম্যরচনা সৃষ্টি করে টোটো সমাজে নিজেকে খানিক অন্য উপমায় নিজেকে প্রতিস্থাপন করেছেন আত্মভোলা গোছের মানুষটি।
তিনি সব সময় চেয়ে এসেছেন পৃথিবীর একমাত্র প্রিমিটিভ ট্রাইবদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। আজকাল বয়সের ভারে অনেক স্মৃতি আর রোমন্থন করতে পারেন না তিনি। বয়স কেড়ে নিয়েছে অনেক কিছু। তবে খবর জেনে ফিরে গিয়েছেন যৌবনে। তিনি বলেন, আজ তার লড়াই সার্থক হল। তিনি শিরোপা চাননি কখনও। শুধু চেয়েছেন টোটো সমাজ স্বীকৃতি পাক। জীবনের প্রান্তবেলায় এসে এই পুরষ্কার আদতে টোটো সমাজের জয় বলে তিনি জানিয়েছেন।
বস্তুত ধনীরাম বাবুর বাড়িতে গেলে তিনি তার তৈরি টোটোদের অক্ষরলিপি সকলকে দেখান।কীভাবে এর সৃষ্টি করলেন তা নিয়ে গল্প করেন।সবার সঙ্গে খোলামনে গল্প করতে ভালোবাসেন ধনীরাম বাবু।সকলের জীবন কাহিনী শুনতে ভালোবাসেন তিনি।খুঁজে নিতে চান সাহিত্যের নতুন কোনও চরিত্র।
Annanya Dey