তারপরেও প্রশাসনের একাধিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসছে না বাল্যবিবাহ। ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের শুরু থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত মোট ১৪১টি বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এবিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানিয়েছেন, “আগের তুলনায় প্রচার আরও বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতন করার প্রচেষ্টা অব্যাহত। যত অভিযোগ প্রশাসনের কাছে আসছে, তা আসলে মানুষের সচেতনতারই প্রমাণ।”
advertisement
আরও পড়ুন : ত্বকের দাগ মুছবে, সংসারের দুঃখও মুছবে! এই কোর্স করলে মোটা টাকা আয়ের হাতছানি
বিগত কয়েক মাসে তপন গ্রামীণ হাসপাতাল, হিলি গ্রামীণ হাসপাতাল ও বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ১৫ বছরের কম বয়সী একাধিক কিশোরীর মাতৃত্বের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। একবছরে আড়াই থেকে তিন হাজার নাবালিকার বাল্যবিবাহ হয়। তার মধ্যে ২৩ শতাংশ কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কেন এত সরকারি প্রকল্প, নজরদারি ও প্রচার অভিযান সত্ত্বেও বন্ধ হচ্ছে না বাল্যবিবাহ!
আরও পড়ুন : শুধু পেটের টানে নয়, বাবার স্মৃতি আঁকড়ে! ধার করে স্বাবলম্বী হওয়ার লড়াই দু’ভাইয়ের
তবে সমাজকর্মীদের মতে, “সমস্যার মূলে রয়েছে অন্য কারণ। আধুনিক প্রযুক্তি, অল্পবয়সে দামি মোবাইলের ব্যবহার, অচেনা মানুষের সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ এবং পালিয়ে বিয়ে করার প্রবণতা বাল্যবিবাহের হার বাড়াচ্ছে।” অন্যদিকে জেলার একাংশের দাবি, প্রশাসনের প্রচার অভিযানে একটি নির্দিষ্ট আধিপত্য থাকার ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষ সেই প্রচারকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তাঁদের দাবি, বিভিন্ন গণসংগঠন এবং স্থানীয় ক্লাব সদস্যদের একত্রিত করে নিরপেক্ষভাবে সচেতনতামূলক কর্মসূচি করা উচিৎ। সবমিলিয়ে, দক্ষিণ দিনাজপুরে বাল্যবিবাহ রোধে প্রশাসনিক তৎপরতা থাকলেও সামাজিক টানাপোড়েনের কারণে লক্ষ্যপূরণ এখনও যেন অধরা। তবে প্রশাসনের দাবি, দীর্ঘমেয়াদি সচেতনতা ও যৌথ উদ্যোগই একদিন জেলাকে সম্পূর্ণ বাল্যবিবাহমুক্ত করবে।