বর্তমানে চারিদিকে বিরিয়ানির বাড়তি কদর দেখা যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে প্রায়ই চোখে পড়ে বিরিয়ানির ভিডিও বা ছবি। কিন্তু অনেক গরিব পরিবারের শিশুদের সেই লোভনীয় খাবার খাওয়ার সামর্থ্য নেই। তাই শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতেই শিক্ষকরা ভেবেছিলেন বিরিয়ানি পরিবেশন করার কথা।
আরও পড়ুন : জঙ্গলে ৬৯ গজরাজের আগমন! হাতির দাপটেই কি মাটি হবে পুজোর আনন্দ?
advertisement
বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৬১ জন ছাত্রছাত্রী এবং ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। এদিন সকলে একসঙ্গে বসে বিরিয়ানি উপভোগ করে। শুধু ছাত্রছাত্রীরা নয়, বিরিয়ানি খাওয়ার উপযোগী হয়েছে কিনা, তা বুঝতে শিক্ষকরাও স্বাদ নেন বিরিয়ানির। বিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি শ্রেণিতেই এদিন ছিল উৎসবের আমেজ। ছোট ছোট শিশুদের চোখে-মুখে খুশির ঝলক স্পষ্ট ফুটে ওঠে।
অভিভাবকরাও শিক্ষকদের এই অভিনব পদক্ষেপে যথেষ্ট খুশি। তারা জানান, আজকাল শিশুরা বিরিয়ানি নিয়ে কতটা উৎসাহী থাকে তা সকলেই জানেন। কিন্তু আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না সেই স্বাদ নেওয়া। তাই শিক্ষকদের এই মানবিক উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন : চাহিদা বেড়েছে, দামও আকাশছোঁয়া! হাঁস পালনে ‘সোনার খনি’ দেখছেন অনেকে! যা শুরু হল…
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, মিড-ডে মিল প্রকল্পের কোনও অতিরিক্ত সহযোগিতা ছাড়াই একেবারে নিজেদের খরচে এই আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের খুশি মুখ দেখাই তাঁদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শিবনিবাস জিএসএফ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সমাজে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। শিক্ষা কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়, ছাত্রছাত্রীদের হৃদয়ে আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়াও শিক্ষারই অংশ। এদিনের বিরিয়ানি ভোজ সেই কথাই যেন নতুন করে মনে করিয়ে দিল।