প্রথমদিকে সাবেকি আয়োজনে সীমাবদ্ধ থাকলেও, ২০১২ সাল থেকে আধুনিকতার ছোঁয়া মেনেই শুরু হয় থিমপুজো। তারপর থেকে প্রতিবারই অভিনব ভাবনায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। এবারের থিমে উঠে এসেছে “শক্তি ও প্রেমের সহাবস্থান”।
আরও পড়ুন : দুর্গাপুজোয় নতুন চমক! মণ্ডপসজ্জা নয়, যক্ষ্মা রোগীদের মুখে হাসি ফোটাতে বাজেট কমাল ‘এই’ ক্লাব
advertisement
এই বছর মণ্ডপ নির্মিত হবে বৃন্দাবনের নির্মীয়মাণ চন্দ্রোদয় মন্দিরের আদলে। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে সুশান্ত সরকার জানালেন, “গত বছর আমাদের নিবেদন ছিল বৌদ্ধ মন্দিরের প্রতিরূপ। এ বছর বৃন্দাবনের চন্দ্রোদয় মন্দিরকে বেছে নিয়েছি। বাস্তবে ৭০০ ফুট উচ্চতার এই মন্দির নির্মাণে খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা, তবে আমাদের মণ্ডপের বাজেট নির্ধারিত হয়েছে প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা।”
মণ্ডপ তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন কলকাতার নাম করা ডেকোরেটররা। তাঁদের নিপুণ শিল্পকলায় গড়ে উঠবে চন্দ্রোদয় মন্দিরের ছায়া। তবে প্রতিমা নির্মাণের কাজ সামলাচ্ছেন শিলিগুড়ির শিল্পীরা।
আরও পড়ুন : জঙ্গলের প্রাচীন দুর্গাপুজো! আদিবাসীরা করেন দেবী দুর্গার আরাধনা, মন্ত্রোচ্চারণ হয় অলচিকিতে
এবারের প্রতিমাতেও থাকছে বিশেষত্ব। দেবী দুর্গাকে একদিকে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে দেখা যাবে, অন্যদিকে ফুটিয়ে তোলা হবে শিশুসুলভ বালিকা রূপ। থিম ভাবনার নেপথ্যে অভিজিৎ কুমার রায়ের বক্তব্য, “শ্রীকৃষ্ণ মানে প্রেম, আর দুর্গা মানে শক্তি। আজকের বিশ্বে এই দুটোরই ভারসাম্য প্রয়োজন। আমাদের আয়োজনে সেই সহাবস্থানকে তুলে ধরা হবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সকলের আশা, প্রায় ১২৫ ফুট উচ্চতার এই মণ্ডপ নিঃসন্দেহে নজর কেড়ে নেবে। শুধু মণ্ডপ নয়, থাকবে বিশেষ ভোগের আয়োজনও। উদ্যোক্তাদের আশা, এবারের দুর্গোৎসব প্রেম ও শক্তির বার্তা ছড়িয়ে আলোকিত করবে গোটা এলাকা।