Motivational Story: ‘আজব গাঁয়ের আজব কথা’- দৌড়তে ভালবাসেন ৫৫-র ম্যাঙ্গো, ১০০০ ও ৫০০০ মিটার দৌড়ে এশিয়া মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্সে কামাল রঞ্জনের
- Published by:Debalina Datta
- hyperlocal
- Reported by:Sayani Sarkar
Last Updated:
Motivational Story: বয়স শুধু সংখ্যা! এশিয়া মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্সে অংশ নিচ্ছেন বর্ধমানের ৫৫ বছর বয়সী 'ম্যাঙ্গো
বয়স শুধু সংখ্যা মাত্র,বয়স কোন বাধা নয় তা আরও একবার প্রমাণ করলেন বর্ধমানের 'ম্যাঙ্গো'।এশিয়ান অ্যাথলেটিক মিটে যোগ দিয়েছেন তিনি।দৌড়াবেন ১০০০ এবং ৫০০০ মিটার।ছোট থেকেই তার নেশা ছিল অ্যাটলেটিক নিয়ে। নিজের নেশাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। সমস্ত বাধা অতিক্রম করে পেয়েছেন সাফল্যও। (ছবি ও তথ্য: সায়নী সরকার)
advertisement
বর্ধমান শহরের ফাগুপুর এলাকার বাসিন্দা রঞ্জন বাগ, বয়স ৫৫। ছোট থেকেই তার নেশা ছিল অ্যাটলেটিক। ১৯৯৯ সাল থেকে বিভিন্ন মিটে দৌড়বীদ হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। মিলেছে একের পর এক সাফল্যও। সম্প্রতি তিনি ২০২৩ সালে কোচবিহারে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল ইনভিটেশনাল মাস্টার অ্যাথলেটিক মিটে হাজার মিটার দৌড়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। সেই সাফল্যের পরে মেলে ২৩ তম এশিয়া মাস্টার্স অ্যাটলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ যোগ দেওয়ার সুযোগ।
advertisement
advertisement
রঞ্জন বাগ বর্ধমানের মানুষের কাছে পরিচিত 'ম্যাঙ্গো' নামেই। তারই নামের পিছনেও রয়েছে এক মজার গল্প। তিনি জানেন, তাদের মাঠে একটি আম গাছ ছিল। তিনি প্র্যাকটিসের সবার জন্য আম নিয়ে যেতেন। একদিন তিনি যান নি। তখন একজন জিজ্ঞাসা করে ওই দাদাটা আসেনি? অপরজন বলে, কোন দাদা? তখন সে উত্তরই বলে, ওই ম্যাঙ্গো দাদা। সেখান থেকেই মজার ছলে তার নাম হয়ে যায় 'ম্যাঙ্গো'। ধীরে ধীরে বর্ধমানে এই নামে পরিচিত হয়ে যান তিনি।
advertisement
বিভিন্ন মিটে অংশগ্রহণ ছাড়াও বর্তমান প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তিনি। যাতে তারাও খেলার প্রতি আগ্রহী হয় ও বিভিন্ন মিটে অংশগ্রহণ করে। তাই মেমারি এবং জামালপুরে তিনি প্রশিক্ষক হিসেবে ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণও দেন। এই দুই ক্যাম্প থেকে বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রীর সম্প্রীতি রাজ্যস্তরে অংশগ্রহণ করেছে। সেখানে সাফল্য হয়েছে তারা।
advertisement
তিনি বলেন,এক একটা মিটে অংশগ্রহণ করতে গেলে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচা হয়। অনেক বন্ধুবান্ধব, শুভানুধ্যায়ী এবং মেমারি ও জামালপুরের ক্যাম্পের কর্মকর্তারা সেই টাকা তুলে দিয়ে তাকে মিটে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করে। তাদের জন্যই সাফল্য পাওয়া।সরকার যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে আগামী দিনে খেলার প্রতি মানুষের উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে ও নতুন ছেলে মেয়েরা আরও এগিয়ে আসবে। (ছবি ও তথ্য: সায়নী সরকার)
