Ilish Fish: বড়, চওড়া পেটির লোভনীয় ইলিশ ঢুকল বাজারে! পদ্মার রূপালি শস্য কলকাতায় পৌঁছাতেই কোণ ঠাসা অন্য ইলিশ!কোন সাইজের মাছ কত দামে বিক্রি হচ্ছে?
- Reported by:RAKESH MAITY
- hyperlocal
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
Hilsa Fish: পদ্মার ইলিশ এসে পৌঁছল কলকাতায়! ইলিশপ্রেমী বাঙালির মুখে হাসি ফুটেছে। তবে এর ফলে হাওড়ার বাজারে গুজরাটি ও বার্মার ইলিশের চাহিদা কমেছে, যা তাদের দামের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
ক্রেতার নজর পদ্মার ইলিশের, সস্তায় বিক্রি হওয়া গুজরাটের ও বার্মার ইলিশের অবস্থা কেমন। পদ্মার ইলিশের ব্যাপক চাহিদার জেরে-কি তাহলে আরও কম দামে বিক্রি হবে গুজরাটি ইলিশ। পদ্মার ইলিশ সীমানা পার করতেই ইলিশ নিয়ে আরও চর্চা শুরু হয়েছে। তেমনি কৌতূহল বেড়েছে, আবার অনেকই ইলিশের বাজার দর কম হবার খোঁজ রাখছেন। স্বাভাবিকভাবেই পদ্মার ইলিশ হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে আমদানি হলে অন্যান্য ইলিশের চাহিদা কমে। সেই দিক থেকে অন্যান্য ইলিশের দাম কম হওয়ার আশঙ্কা থাকে। হাওড়া মাছ বাজারের আমদানিকারক এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন বিস্তারিত।
advertisement
দুর্গাপুজোর আর মাত্র কদিন বাকি। তার আগেই খাদ্যরসিক বাঙালির জন্য সুখবর মিলেছে। এপার বাংলার বাজারে এসে গেল বহু প্রতীক্ষিত পদ্মার ইলিশ। বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ইলিশ ভর্তি ট্রাক হাওড়া স্টেশন লাগোয়া পাইকারি মাছ বাজারে ঢোকে। কলকাতা এবং হাওড়ার বাজারের খুচরো মাছ ব্যবসায়ীরা সেই মাছ সংগ্রহ করার জন্য নিলামে অংশ নেন। আর বাংলাদেশী ইলিশ এসে পৌঁছতেই বাজার মন্দা গুজরাট ও বার্মার ইলিশের।
advertisement
advertisement
কিন্তু কলকাতার বাজারে বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ পৌঁছানোয় গুজরাট ও বার্মার ইলিশের চাহিদা কমে গেছে। কারণ পদ্মার ইলিশের স্বাদ ও খ্যাতি অনেক বেশি। যা স্থানীয় এবং ভারতীয় মাছের তুলনায় ভোক্তাদের কাছে বেশি আকর্ষণীয়। খাদ্যপ্রেমী বাঙালিদের একটি বড় অংশের কাছে বর্ষাকাল মানেই ইলিশ। প্রতি বছরেই এই সময়ে বাজারে ইলিশের উচ্চ চাহিদা লক্ষ্যণীয় হয়ে থাকে। বিশেষ করে ক্রেতাদের একটি বড় অংশ কলকাতার বাজারে পদ্মার ইলিশ আসার অপেক্ষা করেন।
advertisement
কিন্তু, ভারত ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্কে অবনতির কারণে চলতি বছর বাজারে পদ্মার ইলিশের আগমন কবে ঘটবে সেই বিষয়টিকে নিয়ে সন্দেহ ছিল। কলকাতার ইলিশপ্রেমীরা মায়ানমারের ইরাবতী এবং গুজরাটের নর্মদা থেকে আসা ইলিশ মাছ গ্রহণ করতে শুরু করেছিলেন।সাধারণভাবে এই ধরনের ইলিশ মাছগুলিকে আগে বাংলাদেশের পদ্মা বা কোলাঘাটের রূপনারায়ণ থেকে প্রাপ্ত জাতের ইলিশ মাছগুলির তুলনায় নিম্নমানের হিসাবে ধরা হত।
advertisement
advertisement
৮০০ গ্রাম থেকে ১ কিলো ও ১২০০ গ্রাম সাইজের ওপর বাংলা থেকে ইলিশ মাছ এসেছে। এই মাছ বাজারে নিলামে দাম ওঠার পর খুচরো বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে চাহিদার সঙ্গে। পদ্মার ইলিশের স্বাদ ও ঐতিহ্য বাঙালি খাদ্যপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন পদ্মার ইলিশের সরবরাহ শুরু হয়, তখন স্থানীয় ও আমদানি করা মাছের বাজারে একটি স্পষ্ট পরিবর্তন দেখা যায়।
advertisement
ক্রেতারা পদ্মার ইলিশের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে এবং তাদের পছন্দও হতে থাকে বাংলাদেশের ইলিশ। এই পরিস্থিতিতে বাজারে পদ্মার ইলিশের আগমন সরাসরি গুজরাট ও বার্মার ইলিশের বাজারে প্রভাব ফেলেছে। বলেই জানান পাইকারি ব্যবসায়ী তপন দাস জানান, পদ্মার ইলিশের ফলে চাহিদা কম গুজরাটি ও বার্মার ইলিশ। খুচরো বাজারে বিক্রেতাদের কাছে থাকা গুজরাট ও বার্মার ইলিশের দাম কমবে।
advertisement
ফিস্ ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, যাই হোক পুজো আগে ভারতের বাঙালিরা পদ্মার ইলিশের স্বাদ নিতে পারবে। পদ্মার ইলিশ আমদানি হওয়ায় গুজরাটি ও বার্মার ইলিশ বিক্রি কমবে। খুব বেশি সমস্যা তৈরি হবে না, কারণ পদ্মার ইলিশের মেয়াদ অল্প দিনের। গুজরাটি ও বার্মার ইলিশ ফ্রিজে রেখে পরবর্তী সময় বিক্রি করা সম্ভব। (তথ্য- রাকেশ মাইতি)








