বিপদে পড়লে আতঙ্ক নয়! এবার থেকে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার পাবে সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা, চালু পরিষেবা

সুন্দরবনের নদী, খাঁড়ি ও গভীর অরণ্যের মাঝ থেকে পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিতে যে সমস্ত মৎস্যজীবীরা মাছ, কাঁকড়া ও মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বিপদের সম্মুখীন হন, এখন থেকে তৎক্ষণাৎ বিপদ থেকে উদ্ধার পাবে সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা।

প্রতিবছরই সুন্দরবনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই থাকে আর তাই এই ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়- দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মৎস্যজীবীরা বিপদের সম্মুখীন হতে হয়, আবার কখনও কখনও বা বাঘ বা কুমিরের আক্রমণে হতে হয় মৎস্যজীবীদের।

আর সেই কথা মাথায় রেখে সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা আক্রান্ত হলে তাদের সুবিধার্থে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন-ভারত বর্ষের ২৩ টি রাজ্য জুড়ে ৪৪ টি সেন্টারের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী ও মানুষের সংঘাত এড়াতে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে চলা এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

আর এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যবস্থাপনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনদফতরের অধীনস্থ রায়দিঘী রেঞ্জ এলাকায় বিপদগ্রস্ত মৎস্যজীবীদের দ্রুততার সাথে চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন স্পিড বোর্ড ও বিএলসি হোল্ডার্স দের ১০টি এলার্ম ডিভাইস আজ কুলতলি বিট অফিস থেকে মৎস্যজীবীদের হাতে তুলে দেন তারা।

সাথে দেওয়া হয় কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যদের পোশাক ও বন্য জীবজন্তু লোকালয়ে এলে তাদের খোঁজতে সাহায্য করবে অত্যাধুনিক লাইট ও। আর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুলতলী বিটের একাধিক আধিকারিকরা সহ একাধিক বন কর্মী , এর সাথে সহযোগিতায় ২৪ পরগনা ডিভিশন ফরেস্ট সাথে সাথে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থার করেছেন জয়নগর কুলতলী গ্রামীণ হাসপাতালের বি এম ও এইচ।

সুন্দরবনে বিপদগ্রস্ত মৎস্যজীবীদের তৎক্ষণাৎ সহযোগিতার জন্য এমনই পরিষেবা প্রদান আজ থেকে শুরু হল। এ বিষয় নিয়ে কুইক রেসপন্সিমের সদস্য যা জানান আমরা ভাবতে পারিনি আমাদের জন্য এত ভাল পরিষেবা দেবে আশা করি আগামী দিনে আমাদের কাজ করতে আরও সুবিধা হবে।

এ বিষয়ে নৌকার মালিকরা জানান বনদফতরের আমাদেরকে এভাবে সহযোগিতা করবে আমরা ভাবতে পারিনি। শুধু মৎস্যজীবী নয়, সুন্দরবনের যারা জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করতে যায় তারাও কোনরকম বিপদের সম্মুখীন হলে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্ধার পাবে।