এঁদের উৎসব শুরু হয় একাদশী থেকে! কারণ জানলে আপনি‌ও অবাক হবেন

Last Updated:
দুর্গাপুজোর সময় প্রত্যেক ঢাকি প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা উপার্জন করেন। ভিন রাজ্যে গেলে সেই উপার্জন বেড়ে প্রায় লক্ষ টাকার কাছাকাছি হয়ে যায়। আর দেশের বাইরে গেলে উপার্জন আর‌ও ভাল হয়
1/5
আর সপ্তাহখানেক পরেই শুরু হয়ে যাবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। আর দুর্গাপুজো মানেই ঢাকের শব্দ। বর্তমানে পুজো যতই অত্যাধুনিকভাবে আয়োজিত হোক না কেন ঢাকের বাদ্যি আজ‌ও পুজোর  প্রধান অঙ্গ। এবারের দুর্গাপুজো উপলক্ষে ইতিমধ্যেই বীরভূমের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের বহু ঢাকিদের আন্তর্জাতিক বরাত মিলেছে। কেউ যাচ্ছেন কলকাতা কেউ আবার দার্জিলিং, শিলিগুড়ি নেপাল, ভুটান, ওড়িশায়।[ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়]
advertisement
2/5
কলকাতার পুজোয় ঢাক বাজানোর সুযোগ বরাবরই এখানকার ঢাকিদের অন্যতম লক্ষ্য হয়ে থাকে। তবে এইবারে আমেরিকার নিউইয়র্ক, লন্ডনের কেন্ট, কানাডার টরেন্টো সহ পৃথিবীর নানান প্রান্তে ঢাক বাজানোর বরাত পেয়েছেন জেলার সিউড়ি, দুবরাজপুর, রামপুরহাট, ইলামবাজারের ঢাকিরা। তবে লক্ষনীয় বিষয় হল এই বিশেষ উৎসবে যারা আনন্দ দেন তারাই যেন সেই আনন্দ থেকে কোথাও বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। কারণ তাঁদের তাগিদ থাকে উৎসবে মাতোয়ারা হওয়ার থেকেও ভাল করে ঢাক বাজিয়ে পরিবারের জন্য রুটি রুজির ব্যবস্থা করা।[ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়]
advertisement
3/5
তাই প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরও বোধন পর্ব শুরু হতে না হতেই ঘরবাড়ি, পরিবার পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে এখানকার ঢাকিরা পুজোর আগেই পাড়ি দেবেন দূর প্রান্তে। কেউ ঢাক, কেউ ঢোল, আবার কেউ কাঁসর বাজিয়ে দেবীর আরাধনায় পরিপূর্ণতা দেবেন। তবে বাস্তব হল ঢাকিরা পুজোর আনন্দে কখন‌ই সেভাবে উপভোগ করতে পারেন না। বরং ঢাকিদের উৎসব শুরু হয় পুজো  শেষ হ‌ওয়ার পর। উৎসব শেষে কেউ ফেরেন পকেট ভর্তি টাকা নিয়ে, আবার কেউ ব্যাগ ভর্তি জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি আসন। আর তারপরই শুরু হয় ঢাকিদের উৎসব।[ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়]
advertisement
4/5
নানুরের ঢাকি সুব্রত বাগদি জানান, দুর্গাপুজোর সময় প্রত্যেক ঢাকি প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা উপার্জন করেন। ভিন রাজ্যে গেলে সেই উপার্জন বেড়ে প্রায় লক্ষ টাকার কাছাকাছি হয়ে যায়। আর দেশের বাইরে গেলে উপার্জন আর‌ও ভাল হয়। কলকাতার বিভিন্ন এজেন্সিদের কাছ থেকে পাঁচ থেকে সাত জনের একটি দল গঠন করে বিদেশে ডাকেন পুজোর আয়োজকেরা।[ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়]
advertisement
5/5
ঢাকিদের কাছে থেকে আরও জানা গেছে বিদেশে যাওয়ার জন্য তাদেরকে তেমন কোনও খরচা করতে হয় না। সমস্ত খরচা বিদেশের পুজোর আয়োজকরা বহন করেন।উপরন্তু প্রত্যেক ঢাকির ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন হয়। কানাডার টরেন্টোতে ঢাক বাজানোর সময় লাল গামছা কাঁধে, সঙ্গে মাথায় টোপরের মতন পাগড়ি, সাদা ধুতি, পাঞ্জাবি, কুর্তা পরিধান করে ঢাক বাজাতে হয়। সমস্ত বিষয়টাই ব্যাবস্থা করেন চুক্তি হওয়া এজেন্সি। অন্যদিকে জানা গেছে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে কাঠের ঢাকের বদলে টিনের ঢাকের কদর বেড়েছে।
advertisement
advertisement
advertisement