Bardhaman News: 'নোয়াদার ঢাল' স্টেশন -- বাংলাতেই রয়েছে এই স্টেশন! কেন এমন নাম? এই রহস্য শুনলে কিন্তু চমকে উঠবেন

Last Updated:
Bardhaman News: নোয়াদা গ্রাম রয়েছে উঁচুতে, আর স্টেশন রয়েছে নিচে। তাই গ্রাম থেকে নিচু অবস্থানে থাকায় নামের সঙ্গে যোগ হয়েছিল ‘ঢাল’।
1/6
পূর্ব বর্ধমান জেলায় রয়েছে এক অদ্ভুত নামের স্টেশন নোয়াদার ঢাল। যারা ট্রেনে চেপে বোলপুর বা তারাপীঠ গিয়েছেন, তাদের অনেকেরই হয়তো নজরে পড়েছে এই স্টেশন। তবে নামের অদ্ভুতত্বের কারণেই বেশ কিছুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসছে এই স্টেশন। তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
পূর্ব বর্ধমান জেলায় রয়েছে এক অদ্ভুত নামের স্টেশন নোয়াদার ঢাল। যারা ট্রেনে চেপে বোলপুর বা তারাপীঠ গিয়েছেন, তাদের অনেকেরই হয়তো নজরে পড়েছে এই স্টেশন। তবে নামের অদ্ভুতত্বের কারণেই বেশ কিছুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসছে এই স্টেশন। তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
2/6
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচলিত একটি কাহিনী অনুযায়ী, ১৮৬০ সালের দিকে বর্ধমান থেকে সাহেবগঞ্জ লাইনে বেশ কয়েকটি স্টেশন তৈরি হয়। তখন দুটি স্টেশনের নামকরণ হয়েছিল ঝাপটের ঢাল ও পিচকুড়ির ঢাল। তবে একটি স্টেশনের নাম বাকি রয়ে গিয়েছিল।তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচলিত একটি কাহিনী অনুযায়ী, ১৮৬০ সালের দিকে বর্ধমান থেকে সাহেবগঞ্জ লাইনে বেশ কয়েকটি স্টেশন তৈরি হয়। তখন দুটি স্টেশনের নামকরণ হয়েছিল ঝাপটের ঢাল ও পিচকুড়ির ঢাল। তবে একটি স্টেশনের নাম বাকি রয়ে গিয়েছিল।তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
3/6
কথিত আছে, দেশীয় এক কর্মচারী স্টেশনের নাম নিয়ে এক ইংরেজ সাহেবের কাছে গেলে তিনি নাকি বলেন “Put anything but no other Dhal”। কর্মচারী কথাটিকে ভুলভাবে বুঝে নেন এবং শেষ পর্যন্ত সেই স্টেশনের নাম হয়ে যায় নোয়াদার ঢাল। তাই অনেকেই মনে করেন “No other Dhal” থেকেই এসেছে “নোয়াদার ঢাল” নামটি। তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
কথিত আছে, দেশীয় এক কর্মচারী স্টেশনের নাম নিয়ে এক ইংরেজ সাহেবের কাছে গেলে তিনি নাকি বলেন “Put anything but no other Dhal”। কর্মচারী কথাটিকে ভুলভাবে বুঝে নেন এবং শেষ পর্যন্ত সেই স্টেশনের নাম হয়ে যায় নোয়াদার ঢাল। তাই অনেকেই মনে করেন “No other Dhal” থেকেই এসেছে “নোয়াদার ঢাল” নামটি। তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
4/6
তবে এই গল্পের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নোয়াদা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুকুমার দাস বৈরাগ্য। তাঁর মতে, এটি নিছকই মজার কাহিনী, আসল ঘটনা নয়। তিনি জানান, তাঁর বয়স এখন ৭০ বছর। যখন তিনি প্রায় ১০ বছরের ছেলে, তখনই এই স্টেশন তৈরি হয়েছিল, অর্থাৎ প্রায় ১৯৬৫ সালের দিকে। তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
তবে এই গল্পের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নোয়াদা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুকুমার দাস বৈরাগ্য। তাঁর মতে, এটি নিছকই মজার কাহিনী, আসল ঘটনা নয়। তিনি জানান, তাঁর বয়স এখন ৭০ বছর। যখন তিনি প্রায় ১০ বছরের ছেলে, তখনই এই স্টেশন তৈরি হয়েছিল, অর্থাৎ প্রায় ১৯৬৫ সালের দিকে। তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
5/6
সুকুমার বাবুর বক্তব্য অনুযায়ী, একই সময়ে তিনটি স্টেশন গড়ে ওঠে ঝাপটের ঢাল, পিচকুড়ির ঢাল এবং নোয়াদার ঢাল। যেহেতু স্টেশনটি নোয়াদা গ্রামের কাছেই, তাই এর নাম হয় নোয়াদার ঢাল। স্থানীয় ভাষায় ‘ঢাল’ মানে নিচু জায়গা। নোয়াদা গ্রাম রয়েছে উঁচুতে, আর স্টেশন রয়েছে নিচে। তাই গ্রাম থেকে নিচু অবস্থানে থাকায় নামের সঙ্গে যোগ হয়েছিল ‘ঢাল’। তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
সুকুমার বাবুর বক্তব্য অনুযায়ী, একই সময়ে তিনটি স্টেশন গড়ে ওঠে ঝাপটের ঢাল, পিচকুড়ির ঢাল এবং নোয়াদার ঢাল। যেহেতু স্টেশনটি নোয়াদা গ্রামের কাছেই, তাই এর নাম হয় নোয়াদার ঢাল। স্থানীয় ভাষায় ‘ঢাল’ মানে নিচু জায়গা। নোয়াদা গ্রাম রয়েছে উঁচুতে, আর স্টেশন রয়েছে নিচে। তাই গ্রাম থেকে নিচু অবস্থানে থাকায় নামের সঙ্গে যোগ হয়েছিল ‘ঢাল’। তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
6/6
তাঁর মতে, এটাই সঠিক কারণ। তবে ‘ঢাল’ শব্দের বিস্তারিত ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি। তবুও তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচলিত ইংরেজ সাহেবের কাহিনী সম্পূর্ণ গুজব এবং নিছকই কল্পকাহিনী। তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
তাঁর মতে, এটাই সঠিক কারণ। তবে ‘ঢাল’ শব্দের বিস্তারিত ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি। তবুও তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচলিত ইংরেজ সাহেবের কাহিনী সম্পূর্ণ গুজব এবং নিছকই কল্পকাহিনী। তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
advertisement
advertisement