Bankura News: ঘুম পাড়ানি গুলির খুঁটিনাটি! বাঁকুড়ায় বিরাট তৎপরতা 

Last Updated:
বাঘিনী জিনাত হোক কিংবা বিরাট হাতি রামলাল, ঘুম পাড়াতে গেলে লাগে এক বিশেষ বন্দুক এবং ডার্ট আর যার নাম ঘুম পাড়ানি গুলি অর্থাৎ "ট্রাঙ্কুলাইজার"।
1/6
বাঘিনী জিনাত হোক কিংবা বিরাট হাতি রামলাল, ঘুম পাড়াতে গেলে লাগে এক বিশেষ বন্দুক এবং ডার্ট আর যার নাম ঘুম পাড়ানি গুলি অর্থাৎ
বাঘিনী জিনাত হোক কিংবা বিরাট হাতি রামলাল, ঘুম পাড়াতে গেলে লাগে এক বিশেষ বন্দুক এবং ডার্ট আর যার নাম ঘুম পাড়ানি গুলি অর্থাৎ "ট্রাঙ্কুলাইজার"। ঘুম পাড়ানি গুলি ব্যবহার করার পর অসাড় পশুকে যখন খাঁচা বন্দি করা হয় তখন বারবার মাথা তোলার ঘটনাও চোখে পড়ে। এটাও কিন্তু খুব স্বাভাবিক। ছবি ও তথ্য নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
advertisement
2/6
অভিজ্ঞ ট্র্যাকুলাইজার বিশেষজ্ঞ ডক্টর মানস মণ্ডল জানান, ট্র্যাঙ্কুলাইজার হল এক ধরনের
অভিজ্ঞ ট্র্যাকুলাইজার বিশেষজ্ঞ ডক্টর মানস মণ্ডল জানান, ট্র্যাঙ্কুলাইজার হল এক ধরনের "সিডেটিভ"। বড় বড় প্রাণীকে ঘুম পাড়াতে বা ট্রাঙ্কুলাইজ করতে ব্যবহার করা হয় রাইফেল, পিস্তল এবং "ব্লো পাইপ"। "ব্লো পাইপ" এর পাইপে ফু দিয়ে ছুঁড়ে দেওয়া হয় ঘুম পাড়ানি "ডার্ট"। তবে প্রাণীর দূরত্ব বেশি হলে ব্যবহার করা হয়, রাইফেল কিংবা পিস্তল। তবে "ক্যাট ফ্যামিলি" বা হাতি মত পশুদের "ট্রাঙ্কুলাইজ" করতে ব্যবহার করা হয় বড় রাইফেল।
advertisement
3/6
ট্রাঙ্কুলাইজারের ভিতরে যে ওষুধগুলি ব্যবহার করা হয় সেগুলি হল
ট্রাঙ্কুলাইজারের ভিতরে যে ওষুধগুলি ব্যবহার করা হয় সেগুলি হল "কেটামিন" এবং "জাইলাজিন"। বাঘের মত বড় প্রাণীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় মাত্র "১০ mm" ওষুধ। এই ওষুধের মিশ্রণে "কেটামিন" এবং "জাইলাজিন" এর অনুপাত থাকে ৭:৩। "জাইলাজিন" একটি অত্যন্ত জোরালো "সিডেটিভ", এই সিলেটিভ বেশি মাত্রায় ব্যবহার করলে পশুর মৃত্যু হতে পারে বলেই সূত্রের খবর। জাইলাজিন বেশি মাত্রায় ব্যবহার করার পর যদি পশুর ঘোর না কাটে তাহলে পশুটিকে জল পান করানো হয়।
advertisement
4/6
ট্রাঙ্কুলাইজ করতে গেলে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। প্রথমত ঝোপে ঝাড়ে
ট্রাঙ্কুলাইজ করতে গেলে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। প্রথমত ঝোপে ঝাড়ে "ডার্ট" অর্থাৎ ঘুম পাড়ানি গুলি লেগে যেতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা যায় ঘুম পাড়ানি গুলি প্রাণীর গায়ে লাগার পর মুখে করে কিংবা লেজে করে সেই গুলি ফেলে দেয় । একবার লক্ষ্যভেদ হলে ১০ মিনিটের অপেক্ষা, দশ মিনিট পর যদি ঝিমিয়ে পড়ে প্রাণীটি তাহলে বুঝে নিতে হবে যে কাজ হয়ে গিয়েছে, আর যদি চাঙ্গা থাকে তাহলে সেই "ডারটিং" বিফল হয়েছে।
advertisement
5/6
ঘুম পারানি বন্দুক নিয়ে যথেষ্ট সিরিয়াস বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগ। বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় এবং বড়জোড়া রেঞ্জে ৫০ থেকে ৫২ টি হাতি রয়েছে। সে কারণে সদা তৎপর থাকতে হয় বন দফতরকে।
ঘুম পাড়ানি বন্দুক নিয়ে যথেষ্ট সিরিয়াস বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগ। বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় এবং বড়জোড়া রেঞ্জে ৫০ থেকে ৫২ টি হাতি রয়েছে। সে কারণে সদা তৎপর থাকতে হয় বন দফতরকে। |
advertisement
6/6
তবে ডেনমার্কে নির্মিত একটি বন্দুক দিয়ে ইতিমধ্যেই কর্মশালা করা হয়েছে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ে। এই বন্দুক জে.এম.এসপি ২৫ হালকা, ইজি টু ইউজ, রেঞ্জও বেশি। গ্যাস দ্বারা পরিচালিত এই বন্দুক দিয়ে একদম বুলস্ আই বানিয়ে জঙ্গলের মধ্যে করা হল কর্মশালা। তাক করেছেন কেন্দ্রিয় চক্র মুখ্য বনপাল পাসক রাজ, বাঁকুড়া উত্তর জেলা বন আধিকারিক শেখ ফরিদ।
তবে ডেনমার্কে নির্মিত একটি বন্দুক দিয়ে বাঁকুড়ায় কর্মশালা করা হয়েছে বেলিয়াতোড়ে।এই বন্দুক জে.এম.এসপি ২৫ হালকা, ইজি টু ইউজ, রেঞ্জও বেশি। গ্যাস দ্বারা পরিচালিত এই বন্দুক দিয়ে একদম বুলস্ আই বানিয়ে জঙ্গলের মধ্যে করা হল কর্মশালা। তাক করেছেন কেন্দ্রিয় চক্র মুখ্য বনপাল পাসক রাজ, বাঁকুড়া উত্তর জেলা বন আধিকারিক শেখ ফরিদ।
advertisement
advertisement
advertisement