Sharjah Indian Woman Death: 'আমি তোমাকে শুধু নিজের জন্য নয়, আমার বাবার জন্যও বিয়ে করেছি'...শ্বশুরবাড়ির অ*ত্যাচার নিতে না পেরে মহিলা নিলেন চ*রম সিদ্ধান্ত...

সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এক কেরলবাসী মা ও তার দেড় বছরের কন্যার আত্মহত্যার ঘটনায় উদ্ধার হওয়া একটি সুইসাইড নোটে পণ নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠে এসেছে। ৩৩ বছর বয়সী বিপনচিকা মণি (Vipanchika Mani) ও তাঁর কন্যা ভাইভবী (Vybhavi)–র দেহ ৮ জুলাই শারজাহর আল নাহদা অঞ্চলের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়।

বিপনচিকার মৃত্যুর পর তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট হওয়া সুইসাইড নোট দেখে কোল্লাম পুলিশ তাঁর স্বামী নিথীশ বলিয়াভীতিল, ননদ নীতু বেনি এবং শ্বশুর মোহনানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার উপর নাকি তার পরিবার অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে দিনের পর দিন৷ আর সহ্য করতে না পেরেই শেষমেশ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন ওই মহিলা৷

কিন্তু কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল? নোটে বিপনচিকা লেখেন, “বিয়ের সময় পণ কম দেওয়া হয়েছে—এই অভিযোগে আমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো। ওরা বলতো, বিয়েটা জাঁকজমকপূর্ণ হয়নি, পণের সঙ্গে গাড়ি আসেনি। আমাকে ভিখারি, গৃহহীন বলা হতো। আমার বেতনের টাকাও চাওয়া হতো।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, যে পরিবারের কথা ও সন্তানের কথা ভেবে তিনি দিনের পর দিন সবরকম অত্যাচার সহ্য করে গিয়েছেন৷ কিন্তু শেষমেশ আর পারলেন না৷ তাই নিলেন এই চরম সিদ্ধান্ত৷

তিনি লেখেন, “আমাকে কুকুরের মতো মারা হত। স্বামী এমন সব যৌন আচরণে বাধ্য করতো, যা সে পর্নোগ্রাফি থেকে শিখেছে। সাত মাসের গর্ভবতী অবস্থাতেও আমাকে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়, না খাইয়ে রাখা হয়।”

শুধু স্বামী নয়, শ্বশুরের বিরুদ্ধেও ভয়ঙ্কর অভিযোগ এনেছেন এই মহিলা৷ তিনি দাবি করেন, তাঁর শ্বশুরও তাঁকে শারীরিকভাবে অস্বস্তিকর আচরণ করতেন। এ নিয়ে স্বামীকে বললে, তিনি বলেন, “আমি তোমাকে শুধু নিজের জন্য নয়, আমার বাবার জন্যও বিয়ে করেছি।”

বিপনচিকা গত সাত বছর ধরে দুবাইয়ের একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে ফাইলিং ক্লার্কের কাজ করতেন। তাঁর স্বামীও দুবাইতে কর্মরত, কিন্তু তাঁরা আলাদা থাকতেন এবং ডিভোর্সের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।

বিপনচিকার পরিবার এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা নয়, “ডাবল মার্ডার” বলে দাবি করেছে। ইউএই পুলিশও এই মামলার তদন্ত করছে।