মাসিক শিবরাত্রি: মহাশিবরাত্রির সঙ্গে এর তফাত কী? আজ কখন উদযাপন করবেন এই ব্রত ?
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
মহাশিবরাত্রির মতো মাসিক শিবরাত্রিতেও কি রাতের চারটি প্রহরে চারটি শিবলিঙ্গ নিজে হাতে গঙ্গামৃত্তিকা দিয়ে প্রস্তুত করে আরাধনা করা কর্তব্য?
advertisement
আসলে শাস্ত্রে প্রতি মাসেই শিবরাত্রি উদযাপনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে এই শিবরাত্রি ভক্তেরা উদযাপন করে থাকেন। এর মধ্যে ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিটি মহোত্তম, সেই জন্য এর পরিচিতি মহাশিবরাত্রি নামে। এই মহাশিবরাত্রি ব্রতই ফাল্গুন মাসে, ইংরেজি ক্যালেন্ডারের কথা বললে ১১ মার্চ, বৃহস্পতিবার সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে।
advertisement
advertisement
advertisement
মহাশিবরাত্রি এবং মাসিক শিবরাত্রির মতে দুই তফাত আছে। যদি আমরা পৌরাণিক আখ্যানের সূত্র ধরি ব্যাখ্যা করি, তাহলে দেখব যে মহাশিবরাত্রির দিন পার্বতীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন শিব, এই তিথিতেই অর্থাৎ ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে তিনি প্রথম দেখা দিয়েছিলেন স্বয়ম্ভূ লিঙ্গ রূপে, আবার এই তিথিতেই সমুদ্রজাত কালকূট বিষ পান করেছিলেন তিনি। কিন্তু মাসিক শিবরাত্রি অর্থাৎ যে কোনও মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি শিব আর শিবানীর একই শরীরে লীন হওয়ার পুণ্য মুহূর্ত, যে রূপকে অর্ধনারীশ্বর বলে উল্লেখ করেছে পুরাণ।
advertisement
অন্য দিকে, পূজাপদ্ধতির সূত্র ধরেও মহাশিবরাত্রি এবং মাসিক শিবরাত্রির একটি পার্থক্য আছে। মহাশিবরাত্রিতে রাচের চার প্রহরে শিবের চার ভিন্ন রূপের উপাসনা করতে হয়। কিন্তু মাসিক শিবরাত্রির পূজা সম্পন্ন করতে হয় নিশীথকালে। পঞ্জিকা মতে আজ নিশীথ কাল শুরু হচ্ছে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট থেকে, শেষ হচ্ছে রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে। তাই এই ব্রত উদযাপন করতে চাইলে এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিবলিঙ্গ স্থাপন করে গঙ্গাজল, দুধ, দই, ঘি, মধু, সিঁদুর, হলুদগুঁড়ো, গোলাপজল দিয়ে অভিষেক করিয়ে বেলপাতা নিবেদন করতে হয়।
advertisement