Knowledge Story Dog Laika: মহাকাশে গিয়েছিল পথকুকুর লাইকা, কী হয়েছিল তার? ৩৫ বছর পর জানা যায় ভয়ঙ্কর সত্য

Last Updated:
Knowledge Story Dog Laika: কোনও মানুষকে মহাশূন্যে পাঠালে মহাশূন্যের ভরশূন্য পরিবেশ তাঁর শরীরের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, তা জানার জন্য মহাকাশে বিভিন্ন প্রাণী পাঠানো হয়।
1/12
আকাশে ওড়ার স্বপ্ন সত্যি করে মানুষ হাত বাড়ায় মহাকাশের দিকে। পৃথিবীর গণ্ডি ছাড়িয়ে মানুষ মহাশূন্যে ডানা মেলার জন্য শুরু করে ব্যাপক গবেষণা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে মহাকাশে আধিপত্য বিস্তারের যুদ্ধে মেতে ওঠে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন।
আকাশে ওড়ার স্বপ্ন সত্যি করে মানুষ হাত বাড়ায় মহাকাশের দিকে। পৃথিবীর গণ্ডি ছাড়িয়ে মানুষ মহাশূন্যে ডানা মেলার জন্য শুরু করে ব্যাপক গবেষণা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে মহাকাশে আধিপত্য বিস্তারের যুদ্ধে মেতে ওঠে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন।
advertisement
2/12
এ যুদ্ধে মানুষের নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে জীবন বিসর্জন দেয় একটি কুকুর। মস্কো শহরে ঘুরে বেড়ানো বেওয়ারিশ কুকুরটিকে ধরে এনে নাম দেওয়া হয় ‘লাইকা’।
এ যুদ্ধে মানুষের নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে জীবন বিসর্জন দেয় একটি কুকুর। মস্কো শহরে ঘুরে বেড়ানো বেওয়ারিশ কুকুরটিকে ধরে এনে নাম দেওয়া হয় ‘লাইকা’।
advertisement
3/12
কোনও মানুষকে মহাশূন্যে পাঠালে মহাশূন্যের ভরশূন্য পরিবেশ তাঁর শরীরের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, তা জানার জন্য মহাকাশে বিভিন্ন প্রাণী পাঠানো হয়। এই সংক্রান্ত গবেষণার ধারাবাহিকতায় ১৯৫৭ সালের ৩ নভেম্বর মহাশূন্যে পাঠানো হয় লাইকাকে।
কোনও মানুষকে মহাশূন্যে পাঠালে মহাশূন্যের ভরশূন্য পরিবেশ তাঁর শরীরের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, তা জানার জন্য মহাকাশে বিভিন্ন প্রাণী পাঠানো হয়। এই সংক্রান্ত গবেষণার ধারাবাহিকতায় ১৯৫৭ সালের ৩ নভেম্বর মহাশূন্যে পাঠানো হয় লাইকাকে।
advertisement
4/12
এর আগে মানুষ মহাশূন্যে মাছি থেকে শুরু করে বানর, ইঁদুর এবং সাইগান ও ডেজিক নামের দুটি কুকুরকে পাঠায়। কিন্তু মহাকাশে পাঠানো লাইকাই হল প্রথম প্রাণী, যা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে ঘুরতে থাকে।
এর আগে মানুষ মহাশূন্যে মাছি থেকে শুরু করে বানর, ইঁদুর এবং সাইগান ও ডেজিক নামের দুটি কুকুরকে পাঠায়। কিন্তু মহাকাশে পাঠানো লাইকাই হল প্রথম প্রাণী, যা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে ঘুরতে থাকে।
advertisement
5/12
১৯৫৭ সাল। পৃথিবীর প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘স্পুটনিক-১’-এর সাফল্যের পরে নতুন নেশা পেয়ে বসল তৎকালীন সোভিয়েত নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভ-কে। মহাকাশে সোভিয়েত আধিপত্য কায়েম করতে এ বার পাঠাতে হবে জীবন্ত প্রাণী। লক্ষ্য স্থির করল সোভিয়েত রাশিয়া।
১৯৫৭ সাল। পৃথিবীর প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘স্পুটনিক-১’-এর সাফল্যের পরে নতুন নেশা পেয়ে বসল তৎকালীন সোভিয়েত নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভ-কে। মহাকাশে সোভিয়েত আধিপত্য কায়েম করতে এ বার পাঠাতে হবে জীবন্ত প্রাণী। লক্ষ্য স্থির করল সোভিয়েত রাশিয়া।
advertisement
6/12
প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় আরও কিছু নাম দেওয়া হয়েছিল তাকে। একটা নাম ছিল ‘কুদ্রায়ভকা’। যার অর্থ ছোট্ট কোঁকড়া চুলো। আরেক নাম ছিল ‘ঝুচকা’, মানে ছোট্ট পোকা। এ ছাড়া ছিল ‘লিমোনচিক’, যার অর্থ ছোট্ট লেবু। সে সব নাম চাপা পড়ে গিয়েছে। বিশ্বের কাছে সে পরিচিত ‘লাইকা’ নামেই।
প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় আরও কিছু নাম দেওয়া হয়েছিল তাকে। একটা নাম ছিল ‘কুদ্রায়ভকা’। যার অর্থ ছোট্ট কোঁকড়া চুলো। আরেক নাম ছিল ‘ঝুচকা’, মানে ছোট্ট পোকা। এ ছাড়া ছিল ‘লিমোনচিক’, যার অর্থ ছোট্ট লেবু। সে সব নাম চাপা পড়ে গিয়েছে। বিশ্বের কাছে সে পরিচিত ‘লাইকা’ নামেই।
advertisement
7/12
লাইকার সঙ্গে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল ‘অ্যালবিনা’ ও ‘মুশকা’ নামের আরও দু’টি কুকুরকে। লাইকা-র ব্যাক আপ হিসেবে। তিনটি কুকুরকে স্পুটনিক-২-এর যাত্রার আগে কঠোর প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। তাদের রাখা হয়েছিল অত্যন্ত ছোট খাঁচার ভিতরে। যাতে মহাকাশযানে থাকার অভ্যাস তৈরি হয়।
লাইকার সঙ্গে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল ‘অ্যালবিনা’ ও ‘মুশকা’ নামের আরও দু’টি কুকুরকে। লাইকা-র ব্যাক আপ হিসেবে। তিনটি কুকুরকে স্পুটনিক-২-এর যাত্রার আগে কঠোর প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। তাদের রাখা হয়েছিল অত্যন্ত ছোট খাঁচার ভিতরে। যাতে মহাকাশযানে থাকার অভ্যাস তৈরি হয়।
advertisement
8/12
খেতে দেওয়া হত এক রকমের বিশেষ পুষ্টিকর জেল। যা ছিল মহাকাশযানে তাদের একমাত্র খাবার। কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হত অত্যন্ত তীব্র শব্দ। সে ভাবে অভ্যস্ত করা হচ্ছিল মহাকাশযাত্রার জন্য। তাদের হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ ও শ্বাস প্রশ্বাস নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হত।
খেতে দেওয়া হত এক রকমের বিশেষ পুষ্টিকর জেল। যা ছিল মহাকাশযানে তাদের একমাত্র খাবার। কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হত অত্যন্ত তীব্র শব্দ। সে ভাবে অভ্যস্ত করা হচ্ছিল মহাকাশযাত্রার জন্য। তাদের হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ ও শ্বাস প্রশ্বাস নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হত।
advertisement
9/12
শোনা যায়, প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িতে সবাই জানতেন লাইকা আর ফিরবে না। কারণ ডি-অরবিট প্রযুক্তি তখনও আবিষ্কারই হয়নি। কিন্তু এই তথ্য বাইরে আনা হয়নি। মাহাকাশযাত্রার আগের দিন লাইকাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন এক বিজ্ঞানী। তাঁর সন্তানরা খেলেছিল লাইকার সঙ্গে। বিজ্ঞানী চেয়েছিলেন, যাতে মৃত্যুর আগে একদিন অন্তত ভাল থাকতে পারে লাইকা।
শোনা যায়, প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িতে সবাই জানতেন লাইকা আর ফিরবে না। কারণ ডি-অরবিট প্রযুক্তি তখনও আবিষ্কারই হয়নি। কিন্তু এই তথ্য বাইরে আনা হয়নি। মাহাকাশযাত্রার আগের দিন লাইকাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন এক বিজ্ঞানী। তাঁর সন্তানরা খেলেছিল লাইকার সঙ্গে। বিজ্ঞানী চেয়েছিলেন, যাতে মৃত্যুর আগে একদিন অন্তত ভাল থাকতে পারে লাইকা।
advertisement
10/12
১৯৫৭-র ৩১ অক্টোবর মহাকাশযান স্পুটনিক-২-এ রাখা হয় লাইকা-কে। ৩ নভেম্বর পৃথিবী সাক্ষী থাকে স্পুটনিক-২-এর লঞ্চের। একই সঙ্গে শেষ বিদায় জানানো হয় লাইকা-কে। শেষ মুহূর্তে তার হৃদস্পন্দন পৌঁছে গিয়েছিল ২৪০/মিনিটে। মহাকাশযাত্রার আগে তার হৃদস্পন্দন ছিল ১০৩/মিনিট। শ্বাসপ্রশ্বাসের হারও বেড়ে গিয়েছিল অস্বাভাবিক হারে। তবে নিরীহ লাইকা-র মৃত্যুর মূল কারণ ছিল আতঙ্ক।
১৯৫৭-র ৩১ অক্টোবর মহাকাশযান স্পুটনিক-২-এ রাখা হয় লাইকা-কে। ৩ নভেম্বর পৃথিবী সাক্ষী থাকে স্পুটনিক-২-এর লঞ্চের। একই সঙ্গে শেষ বিদায় জানানো হয় লাইকা-কে। শেষ মুহূর্তে তার হৃদস্পন্দন পৌঁছে গিয়েছিল ২৪০/মিনিটে। মহাকাশযাত্রার আগে তার হৃদস্পন্দন ছিল ১০৩/মিনিট। শ্বাসপ্রশ্বাসের হারও বেড়ে গিয়েছিল অস্বাভাবিক হারে। তবে নিরীহ লাইকা-র মৃত্যুর মূল কারণ ছিল আতঙ্ক।
advertisement
11/12
দীর্ঘ বছর ধরে গোপন রাখা হয়েছিল লাইকার মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য। প্রথমে বলা হয়েছিল, স্পুটনিক-২ তার গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার পরে কয়েক দিন জীবিত ছিল লাইকা। কিন্তু বহু বছর পরে স্বীকার করে নেওয়া হয়, স্পুটনিক-২ লঞ্চ হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই মারা গিয়েছিল সে। ১৯৯৩ সালে এই তথ্য প্রকাশ করেন রাশিয়ান স্পেস ডগ ট্রেনার ওলেগ গেজেঙ্কো।
দীর্ঘ বছর ধরে গোপন রাখা হয়েছিল লাইকার মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য। প্রথমে বলা হয়েছিল, স্পুটনিক-২ তার গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার পরে কয়েক দিন জীবিত ছিল লাইকা। কিন্তু বহু বছর পরে স্বীকার করে নেওয়া হয়, স্পুটনিক-২ লঞ্চ হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই মারা গিয়েছিল সে। ১৯৯৩ সালে এই তথ্য প্রকাশ করেন রাশিয়ান স্পেস ডগ ট্রেনার ওলেগ গেজেঙ্কো।
advertisement
12/12
লাইকাকে মহাকাশে পাঠানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই পরে অনুশোচনা ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন কুকুরটিকে জেনেশুনে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য। পরবর্তী সময়ে মহাশূন্যে আরও অনেক প্রাণী পাঠানো হলেও সেগুলোকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নিয়েই পাঠানো হয়। লাইকার মৃত্যু সবাইকে ব্যথিত করলেও এ অভিজ্ঞতা থেকেই বিজ্ঞানীরা মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রচেষ্টায় অনেকটা পথ এগিয়ে যান। তাই মহাকাশ জয়ের ইতিহাসে লাইকার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
লাইকাকে মহাকাশে পাঠানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই পরে অনুশোচনা ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন কুকুরটিকে জেনেশুনে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য। পরবর্তী সময়ে মহাশূন্যে আরও অনেক প্রাণী পাঠানো হলেও সেগুলোকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নিয়েই পাঠানো হয়। লাইকার মৃত্যু সবাইকে ব্যথিত করলেও এ অভিজ্ঞতা থেকেই বিজ্ঞানীরা মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রচেষ্টায় অনেকটা পথ এগিয়ে যান। তাই মহাকাশ জয়ের ইতিহাসে লাইকার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
advertisement
advertisement
advertisement