Knowledge Story Dog Laika: মহাকাশে গিয়েছিল পথকুকুর লাইকা, কী হয়েছিল তার? ৩৫ বছর পর জানা যায় ভয়ঙ্কর সত্য
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Knowledge Story Dog Laika: কোনও মানুষকে মহাশূন্যে পাঠালে মহাশূন্যের ভরশূন্য পরিবেশ তাঁর শরীরের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, তা জানার জন্য মহাকাশে বিভিন্ন প্রাণী পাঠানো হয়।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
শোনা যায়, প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িতে সবাই জানতেন লাইকা আর ফিরবে না। কারণ ডি-অরবিট প্রযুক্তি তখনও আবিষ্কারই হয়নি। কিন্তু এই তথ্য বাইরে আনা হয়নি। মাহাকাশযাত্রার আগের দিন লাইকাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন এক বিজ্ঞানী। তাঁর সন্তানরা খেলেছিল লাইকার সঙ্গে। বিজ্ঞানী চেয়েছিলেন, যাতে মৃত্যুর আগে একদিন অন্তত ভাল থাকতে পারে লাইকা।
advertisement
১৯৫৭-র ৩১ অক্টোবর মহাকাশযান স্পুটনিক-২-এ রাখা হয় লাইকা-কে। ৩ নভেম্বর পৃথিবী সাক্ষী থাকে স্পুটনিক-২-এর লঞ্চের। একই সঙ্গে শেষ বিদায় জানানো হয় লাইকা-কে। শেষ মুহূর্তে তার হৃদস্পন্দন পৌঁছে গিয়েছিল ২৪০/মিনিটে। মহাকাশযাত্রার আগে তার হৃদস্পন্দন ছিল ১০৩/মিনিট। শ্বাসপ্রশ্বাসের হারও বেড়ে গিয়েছিল অস্বাভাবিক হারে। তবে নিরীহ লাইকা-র মৃত্যুর মূল কারণ ছিল আতঙ্ক।
advertisement
দীর্ঘ বছর ধরে গোপন রাখা হয়েছিল লাইকার মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য। প্রথমে বলা হয়েছিল, স্পুটনিক-২ তার গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার পরে কয়েক দিন জীবিত ছিল লাইকা। কিন্তু বহু বছর পরে স্বীকার করে নেওয়া হয়, স্পুটনিক-২ লঞ্চ হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই মারা গিয়েছিল সে। ১৯৯৩ সালে এই তথ্য প্রকাশ করেন রাশিয়ান স্পেস ডগ ট্রেনার ওলেগ গেজেঙ্কো।
advertisement
লাইকাকে মহাকাশে পাঠানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই পরে অনুশোচনা ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন কুকুরটিকে জেনেশুনে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য। পরবর্তী সময়ে মহাশূন্যে আরও অনেক প্রাণী পাঠানো হলেও সেগুলোকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নিয়েই পাঠানো হয়। লাইকার মৃত্যু সবাইকে ব্যথিত করলেও এ অভিজ্ঞতা থেকেই বিজ্ঞানীরা মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রচেষ্টায় অনেকটা পথ এগিয়ে যান। তাই মহাকাশ জয়ের ইতিহাসে লাইকার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
