Interesting Facts: কেন আজ পর্যন্ত 'উদ্বোধন' হয়নি? ভারতের এই বিশ্ববিখ্যাত সেতুর গল্প চমকে দেবে! আছে এই কলকাতাতেই
- Published by:Sanjukta Sarkar
Last Updated:
শুধু দেশেই নয় সারা বিশ্বে এই সেতুর সুনাম রয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হল বিশ্ব বিখ্যাত সেতুটি আজ পর্যন্ত উদ্বোধনই করা হয়নি। এই সেতুর সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক মজার তথ্য রয়েছে, যা আমরা আজ এই প্রতিবেদনে তুলে ধরছি।
যদিও ভারতে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক বিখ্যাত সেতু রয়েছে, তবে এই সেতুগুলির মধ্যে কয়েকটি তাদের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের জন্য বিশ্বের দরবারে বিপুলভাবে চর্চিত। কিছু সেতুকে আমাদের দেশের গর্বও বলা হয়। এমনই একটি সেতু আমাদের দেশ ভারতেও রয়েছে। শুধু দেশেই নয় সারা বিশ্বে এই সেতুর সুনাম রয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হল বিশ্ব বিখ্যাত সেতুটি আজ পর্যন্ত উদ্বোধনই করা হয়নি। এই সেতুর সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক মজার তথ্য রয়েছে, যা আমরা আজ এই প্রতিবেদনে তুলে ধরছি।
advertisement
বেশিদূর নয়। এই কলকাতাতেই রয়েছে এমনই এই বিখ্যাত সেতুটি। হ্যাঁ। ঠিক ধরেছেন। আমরা কলকাতার হাওড়া ব্রিজের কথা বলছি, এই ব্রিজটি বরাবরই কলকাতার অন্যতম পরিচয়। হাওড়া ব্রিজ তৈরি হওয়ার প্রায় ৮০ বছর হয়ে গেছে। কিন্তু, আজও তা আগের মতোই অবিকৃত। এমনকি জানা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, ১৯৪২ সালের ডিসেম্বরে, এই সেতু থেকে খানিকটা দূরেই পড়েছিল একটি জাপানি বোমা, কিন্তু তারপরও এই সেতু এক চুল নড়েনি নিজের জায়গা থেকে।
advertisement
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, উনিশ শতকের শেষ দশকে ব্রিটিশ ভারত সরকার কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে প্রবাহিত হুগলি নদীর উপর একটি ভাসমান সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করে। প্রকৃতপক্ষে, সেই সময়কালে, হুগলি নদীতে প্রতিদিন অনেক জাহাজ আসা-যাওয়া করত এবং পিলারযুক্ত সেতু এই জাহাজগুলির চলাচলে বাধা সৃষ্টি করতে পারে ভেবেই ১৮৭১ সালে হাওড়া সেতু আইন পাস করা হয়েছিল।
advertisement
advertisement
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাওড়া ব্রিজ তৈরিতে ২৬,৫০০ টন ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছিল, যার মধ্যে ২৩,৫০০ টন ইস্পাত টাটা স্টিল সরবরাহ করেছিল। এর বিশেষত্ব হল এই সেতুটি নদীর দুই ধারে নির্মিত ২৮০ ফুট উঁচু দুটি পিলারের উপর টিকে আছে। এই দুই পিলারের মধ্যে দূরত্ব দেড় হাজার ফুট। এ ছাড়া সেতুটিকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য কিন্তু নদীর কোথাও কোনও পিলার নেই।
advertisement
হাওড়া ব্রিজের একটি বিশেষ বিষয় হল এর নির্মাণে স্টিলের প্লেটগুলিকে সংযুক্ত করতে নাট-বোল্ট নয়, ধাতুর তৈরি পেরেক ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০১১ সালের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে, তামাকের পিক ও থুতু ফেলার কারণে সেতুর পায়ের পুরুত্ব কমছে। এরপর সেতুর নিরাপত্তার জন্য এর স্টিলের পাগুলোকে নিচে থেকে ফাইবারগ্লাস দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
advertisement
advertisement
কেন উদ্বোধন হয়নি এই বিশ্ববিখ্যাত ব্রিজের? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাঝেই ১৯৪২ সালে হাওড়া ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ হয়। ১৯৪৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিজটি জনগণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তবে সেইসময় পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রশাসনিক স্তরের সিদ্ধান্তে এই বিষয়টিকে গোটা বিশ্বের সামনে গোপন রাখা হয়েছিল। কারণ ইতিমধ্যে জাপান পার্ল হারবারে বোমা ফেলে। এই ব্রিজের কথা জানলে যদি এটিকেও টার্গেট করা হয়, সেই ভেবেই ঘটা করে উদ্বোধন না করে ব্রিজটি খুলে দেওয়া হয় জনসাধারণের জন্যে। আর সেই থেকেই কলকাতা হাওড়ার সূত্রধর হিসেবে বলিষ্ঠ এক প্রতিভূ হয়ে ওঠে হাওড়া ব্রিজ যা বিশ্বের আঙিনায় কলকাতাকে চেনায় বার বার।
advertisement









