ভারতের শেষ Rail স্টেশন কোনটা? 'ট্রেন' আছে কিন্তু যাত্রী নেই একজনও, কেন জানেন?
- Published by:Tias Banerjee
- trending desk
Last Updated:
Last Rail Station of India: ভারতে অনেক বড় রেলওয়ে স্টেশন আছে, তবে একটি স্টেশন খুবই বিশেষ। এটি আমাদের দেশের শেষ রেলস্টেশন। আসুন জেনে নিই এর বৈশিষ্ট্য ও ইতিহাস সম্পর্কে।
ভারতে অনেক বড় রেলওয়ে স্টেশন আছে, তবে এই একটি খুব বিশেষ। কারণ এটিই আমাদের দেশের শেষ রেলস্টেশন। ভারতে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল ব্যবস্থা রয়েছে। প্রায় ১৩,000 ট্রেন প্রতিদিন প্রায় ৩০ লক্ষের বেশি যাত্রী বহন করে। মোট ৬৮,000 কিলোমিটার দূরত্ব যাতায়াত করে, সারা দেশে ৭,000টি রেলস্টেশন থেকে যাত্রীরা সফর করেন। তবে ব্যাতিক্রম এই একটি। জানেন কোন স্টেশন?
advertisement
advertisement
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ভৌগলিকভাবে আমাদের দেশের শেষ রেলস্টেশন হল সিঙ্গাবাদ রেলওয়ে স্টেশন। এটি পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার হবিবপুর এলাকায় অবস্থিত। এই স্টেশনেই ভারতীয় সীমান্ত শেষ হয় এবং বাংলাদেশ সীমান্ত শুরু হয়। সিংহবাদ রেলওয়ে স্টেশনটি ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময় এর গুরুত্ব ছিল অনেক। কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে চলাচলের জন্য এই সংযোগস্থলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। (চিত্র সূত্র: উইকিপিডিয়া)
advertisement
সিঙ্গাবাদ রেলওয়ে স্টেশনটি যে রুটে অবস্থিত সেটি ব্রিটিশরা মূলত পরিবহনের জন্য ব্যবহার করত। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রেনগুলো বেশির ভাগই যাতায়াত করত। এই রুটে খুব কমই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করত। এ কারণে এরপর থেকে কোনো যাত্রীবাহী বা পণ্যবাহী ট্রেন এই স্টেশনে থামেনি। স্বাধীনতার আগে মহাত্মা গান্ধী ও সুভাষ চন্দ্র বসুর মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই পথ দিয়ে ঢাকায় যাতায়াত করতেন। এর ফলে এই স্টেশনের নাম ইতিহাসে নেমে গেছে। (চিত্র সূত্র: Freepik.com)
advertisement
advertisement
এখান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পণ্য পরিবহনের অনুমতি দেওয়ার জন্য ১৯৭৮ সালে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০১১ সালে, এই চুক্তিটি সংশোধন করা হয়েছিল এবং পণ্য ট্রেনগুলি নেপাল থেকে ও যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এটি আঞ্চলিক বাণিজ্যের জন্য সিঙ্গাবাদকে একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশনে পরিণত করেছে।
advertisement
এক সময়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন সিঙ্গাবাদ এখন ধুলো জমছে। এখানকার প্ল্যাটফর্মগুলো খালি। টিকিট কাউন্টার বন্ধ। স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কয়েকজন কর্মচারী ছাড়া কাউকেই সেখানে দেখা যাচ্ছে না। যেহেতু শুধুমাত্র পণ্য ট্রেনের অনুমতি রয়েছে, তাই এখানে কোন যাত্রীবাহী ট্রেন আসে না। ফলে এখানে কোনও যাত্রী যায় না।