Indian Railways: বিশাল সিদ্ধান্ত রেলের, এবার থেকে রেল-স্টেশনে ঢোকার আগে ১০ বার ভাবতে হবে, কারণ জানলে চমকে উঠবেন
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
Last Updated:
সম্প্রতি ভারতীয় রেলওয়ে নিরাপত্তা ও পরিষেবার মান আরও উন্নত করতে অত্যাধুনিক মুখমণ্ডল শনাক্তকরণ প্রযুক্তি (Facial Recognition Technology বা FRT) চালু করেছে। নয়াদিল্লি, মুম্বই সেন্ট্রাল, চেন্নাই সেন্ট্রাল ও হাওড়া-সহ দেশের ব্যস্ততম সাতটি রেল স্টেশনে ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তির প্রয়োগ শুরু হয়েছে
সম্প্রতি ভারতীয় রেলওয়ে নিরাপত্তা ও পরিষেবার মান আরও উন্নত করতে অত্যাধুনিক মুখমণ্ডল শনাক্তকরণ প্রযুক্তি (Facial Recognition Technology বা FRT) চালু করেছে। নয়াদিল্লি, মুম্বই সেন্ট্রাল, চেন্নাই সেন্ট্রাল ও হাওড়া-সহ দেশের ব্যস্ততম সাতটি রেল স্টেশনে ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তির প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এর ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা হবে আরও জোরদার, অপরাধ দমন হবে সহজতর আর যাত্রীরা পাবেন আরও দ্রুত, স্মার্ট ও ঝামেলাহীন পরিষেবা।
advertisement
মুখমণ্ডল শনাক্তকরণ প্রযুক্তি কী?
এই প্রযুক্তি আমাদের মুখের বৈশিষ্ট্যগুলি শনাক্ত করে—বিশেষত চোখ, নাক, মুখ এবং মুখের গঠনের অবস্থান—এবং সেগুলিকে একটি ডেটাবেসে সংরক্ষিত ছবির সঙ্গে তুলনা করে। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence বা AI) এবং মেশিন লার্নিং অ্যালগোরিদমের উপর ভিত্তি করে কাজ করে।
এই প্রযুক্তি আমাদের মুখের বৈশিষ্ট্যগুলি শনাক্ত করে—বিশেষত চোখ, নাক, মুখ এবং মুখের গঠনের অবস্থান—এবং সেগুলিকে একটি ডেটাবেসে সংরক্ষিত ছবির সঙ্গে তুলনা করে। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence বা AI) এবং মেশিন লার্নিং অ্যালগোরিদমের উপর ভিত্তি করে কাজ করে।
advertisement
মুখমণ্ডল শনাক্তকরণ প্রযুক্তি কেন প্রয়োজন?
প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন রেল স্টেশনগুলিতে। এমন ভিড়পূর্ণ জায়গায় চুরি, সন্দেহজনক চলাফেরা, অপরাধ কিংবা সন্ত্রাসমূলক ঘটনার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করা, সন্দেহভাজনদের নজরে রাখা এবং সার্বিক নিরাপত্তা আরও জোরদার করা সম্ভব।
প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন রেল স্টেশনগুলিতে। এমন ভিড়পূর্ণ জায়গায় চুরি, সন্দেহজনক চলাফেরা, অপরাধ কিংবা সন্ত্রাসমূলক ঘটনার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করা, সন্দেহভাজনদের নজরে রাখা এবং সার্বিক নিরাপত্তা আরও জোরদার করা সম্ভব।
advertisement
Facial Recognition Technology-র উপকারিতা কী কী?
নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়: সন্দেহভাজনদের তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা যায়।
যাত্রী সুবিধা: টিকিট যাচাই দ্রুত সম্পন্ন হয়।
লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা অনেকটাই কমে।
অপরাধ হ্রাস পায়: নজরদারি ব্যবস্থাটি অনেক বেশি কঠোর ও কার্যকর হয়।
স্টেশন পরিচালনা আরও দক্ষ হয়: কারণ এই প্রযুক্তি যাত্রীদের গতিবিধি ও ভিড়ের ধরণ বুঝতে সাহায্য করে।
নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়: সন্দেহভাজনদের তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা যায়।
যাত্রী সুবিধা: টিকিট যাচাই দ্রুত সম্পন্ন হয়।
লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা অনেকটাই কমে।
অপরাধ হ্রাস পায়: নজরদারি ব্যবস্থাটি অনেক বেশি কঠোর ও কার্যকর হয়।
স্টেশন পরিচালনা আরও দক্ষ হয়: কারণ এই প্রযুক্তি যাত্রীদের গতিবিধি ও ভিড়ের ধরণ বুঝতে সাহায্য করে।
advertisement
প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রী ভিড় করেন রেল স্টেশনগুলিতে। এমন ভিড়পূর্ণ জায়গাগুলিতে চুরি, অপরাধ এবং সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেশি থাকে। তাই এই প্রযুক্তির ব্যবহার অপরাধীদের আগেভাগে শনাক্ত করতে, সন্দেহভাজনদের ট্র্যাক করতে এবং সামগ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।
advertisement
advertisement
ভারতে কীভাবে আধার তথ্য ব্যবহার করা হয়?
ভারতের আধার ডেটাবেস এক বিশাল তথ্যভান্ডারে পরিণত হয়েছে। এতে প্রতিটি ব্যক্তির আঙুলের ছাপ, চোখের মণির স্ক্যান এবং মুখের ছবি সংরক্ষিত থাকে। মুখমণ্ডল শনাক্তকরণ প্রযুক্তি (FRT) এই ছবিগুলিও ব্যবহার করতে পারে। তবে এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। ভারতীয় আইনের অনুযায়ী, আধার তথ্য ব্যবহারের জন্য বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন। UIDAI-এর মতে, এই তথ্য শুধুমাত্র সরকারি প্রকল্পের প্রমাণীকরণের জন্য ব্যবহার করা উচিত, সাধারণ নজরদারির জন্য নয়।
ভারতের আধার ডেটাবেস এক বিশাল তথ্যভান্ডারে পরিণত হয়েছে। এতে প্রতিটি ব্যক্তির আঙুলের ছাপ, চোখের মণির স্ক্যান এবং মুখের ছবি সংরক্ষিত থাকে। মুখমণ্ডল শনাক্তকরণ প্রযুক্তি (FRT) এই ছবিগুলিও ব্যবহার করতে পারে। তবে এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। ভারতীয় আইনের অনুযায়ী, আধার তথ্য ব্যবহারের জন্য বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন। UIDAI-এর মতে, এই তথ্য শুধুমাত্র সরকারি প্রকল্পের প্রমাণীকরণের জন্য ব্যবহার করা উচিত, সাধারণ নজরদারির জন্য নয়।
advertisement
এর অসুবিধাগুলি কী?
গোপনীয়তার ঝুঁকি: আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য রেকর্ড হয়ে যায়।
ভুল শনাক্তকরণের সম্ভাবনা: কম আলো বা মুখ ঢাকা থাকলে ভুলভাবে কাউকে শনাক্ত করার সম্ভাবনা থাকে।
উচ্চ ব্যয়: এই প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করতে বিপুল খরচ হয়।
তথ্য জালিয়াতির আশঙ্কা: যদি এই তথ্য হ্যাক হয়ে যায়, তাহলে তা বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
গোপনীয়তার ঝুঁকি: আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য রেকর্ড হয়ে যায়।
ভুল শনাক্তকরণের সম্ভাবনা: কম আলো বা মুখ ঢাকা থাকলে ভুলভাবে কাউকে শনাক্ত করার সম্ভাবনা থাকে।
উচ্চ ব্যয়: এই প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করতে বিপুল খরচ হয়।
তথ্য জালিয়াতির আশঙ্কা: যদি এই তথ্য হ্যাক হয়ে যায়, তাহলে তা বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।