Knowledge Story: কাশফুলকে ইংরেজিতে কী বলে বলুন তো? বয়ে আনে আগমনী বার্তা, কিন্তু কেন ঠাঁই হয় না দেবীর চরণে! জানুন

Last Updated:
GK Story: কাশফুল দেখলেই দুর্গাপুজোর কথা মনে পড়ে যায়। কেন, মনে পড়ে যায়, সে কথা কিন্তু প্রশ্ন করলে খুব সচেতন ভাবে কেউ বলে উঠতে পারবেন না।
1/8
 "আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর; ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা; প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগমন বার্তা।"
"আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর; ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা; প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগমন বার্তা।"
advertisement
2/8
লাইনগুলো কোথা থেকে নেওয়া, তা আর বলে দিতে হবে না। মোটামুটি বাঙালিমাত্রই জানেন, নতুন প্রজন্মের কথা জোর দিয়ে বলা যায় না যদিও! সে যাক গে, দুর্গাপুজোর শুরুটা এখনও এই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর মহিষাসুরমর্দিনী দিয়েই হয় ঘরে ঘরে। তার একেবারে শুরুতেই ভাষ্যপাঠে শরৎ ঋতুর অমলিন আলেখ্য। আকাশজোড়া আলো, বর্ষার মেঘ মুখ লুকিয়েছে। আশ্বিন মাসের এই শরতের রূপ কাশফুল ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। কাশফুল দেখলেই যে কারণে দুর্গাপুজোর কথা মনে পড়ে যায়।
লাইনগুলো কোথা থেকে নেওয়া, তা আর বলে দিতে হবে না। মোটামুটি বাঙালিমাত্রই জানেন, নতুন প্রজন্মের কথা জোর দিয়ে বলা যায় না যদিও! সে যাক গে, দুর্গাপুজোর শুরুটা এখনও এই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর মহিষাসুরমর্দিনী দিয়েই হয় ঘরে ঘরে। তার একেবারে শুরুতেই ভাষ্যপাঠে শরৎ ঋতুর অমলিন আলেখ্য। আকাশজোড়া আলো, বর্ষার মেঘ মুখ লুকিয়েছে। আশ্বিন মাসের এই শরতের রূপ কাশফুল ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। কাশফুল দেখলেই যে কারণে দুর্গাপুজোর কথা মনে পড়ে যায়।
advertisement
3/8
কেন, মনে পড়ে যায়, সে কথা কিন্তু প্রশ্ন করলে খুব সচেতন ভাবে কেউ বলে উঠতে পারবেন না। আসলে, একজন যখন জন্ম নেন, তখন বড় হওয়ার সময়ে তাঁর মস্তিষ্কের মধ্যে মিশে যেতে থাকে প্রজন্ম এবং যুগবাহিত শতাব্দীপ্রাচীন স্মৃতির ধারা। অনেক কিছুই তখন স্বাভাবিক বলে মনে হয় কারণ স্পষ্টভাবে জানা না থাকলেও। কাশফুল আর দুর্গাপুজোর সম্পর্কটাও ঠিক সেরকমই।
কেন, মনে পড়ে যায়, সে কথা কিন্তু প্রশ্ন করলে খুব সচেতন ভাবে কেউ বলে উঠতে পারবেন না। আসলে, একজন যখন জন্ম নেন, তখন বড় হওয়ার সময়ে তাঁর মস্তিষ্কের মধ্যে মিশে যেতে থাকে প্রজন্ম এবং যুগবাহিত শতাব্দীপ্রাচীন স্মৃতির ধারা। অনেক কিছুই তখন স্বাভাবিক বলে মনে হয় কারণ স্পষ্টভাবে জানা না থাকলেও। কাশফুল আর দুর্গাপুজোর সম্পর্কটাও ঠিক সেরকমই।
advertisement
4/8
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে শরতের আকাশ বললে এক মেঘমুক্ত নির্মল ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। অন্তত বছর কুড়ি আগেও তা-ই হত! এখন বেশিরভাগ সময়েই পুজোর দিনেও বৃষ্টি পড়ে, বর্ষা আসেও দেরিতে, সে বোধহয় একটা-দুটো ঠাকুর না দেখে যেতে চায় না! তো, শরৎ আর নির্মল নীল, এই যে কালেকটিভ মেমোরি, তার সঙ্গে সবচেয়ে ভাল পাল্লা দেয় সাদা রঙ। উপরে আকাশে নীল আর নীচে মাটিতে সাদা- এই প্রেক্ষাপটে দুর্গাপুজোর আয়োজন হতে থাকে, এটা প্রথম কারণ হিসেবে ধরে নিতে হয়।
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে শরতের আকাশ বললে এক মেঘমুক্ত নির্মল ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। অন্তত বছর কুড়ি আগেও তা-ই হত! এখন বেশিরভাগ সময়েই পুজোর দিনেও বৃষ্টি পড়ে, বর্ষা আসেও দেরিতে, সে বোধহয় একটা-দুটো ঠাকুর না দেখে যেতে চায় না! তো, শরৎ আর নির্মল নীল, এই যে কালেকটিভ মেমোরি, তার সঙ্গে সবচেয়ে ভাল পাল্লা দেয় সাদা রঙ। উপরে আকাশে নীল আর নীচে মাটিতে সাদা- এই প্রেক্ষাপটে দুর্গাপুজোর আয়োজন হতে থাকে, এটা প্রথম কারণ হিসেবে ধরে নিতে হয়।
advertisement
5/8
শরতে প্রকৃতির যা কিছু আয়োজন, কাশফুলও পড়ে তার মধ্যেই। শিল্পীরা সেই সব প্রাকৃতিক উপকরণ সংগ্রহ করেই গড়ে তুলতেন দুর্গার প্রতিমা। তুলতেন, অতীত কালের ব্যবহার, কেন না, বর্তমানে প্রতিমা সাজানোর জন্য অনেক কিছু পাওয়া যায়, থার্মোকল, চকচকে ইমিটেশন গয়না, সলমা-জরির সাজ, আরও কত কী! সাবেক কালে খড়ের কাঠামোয় মাটি পড়ত, কখনও শাড়ি পরানো হত, কখনও বা হতও না, পাট দিয়ে চুল তৈরি করে শোলা কেটে ডাকের সাজে মুড়ে দেওয়া হত দুর্গার চালা। বিগ্রহ আর চালা সাজানোর কাজে ব্যবহার করা হত কাশফুলও।
শরতে প্রকৃতির যা কিছু আয়োজন, কাশফুলও পড়ে তার মধ্যেই। শিল্পীরা সেই সব প্রাকৃতিক উপকরণ সংগ্রহ করেই গড়ে তুলতেন দুর্গার প্রতিমা। তুলতেন, অতীত কালের ব্যবহার, কেন না, বর্তমানে প্রতিমা সাজানোর জন্য অনেক কিছু পাওয়া যায়, থার্মোকল, চকচকে ইমিটেশন গয়না, সলমা-জরির সাজ, আরও কত কী! সাবেক কালে খড়ের কাঠামোয় মাটি পড়ত, কখনও শাড়ি পরানো হত, কখনও বা হতও না, পাট দিয়ে চুল তৈরি করে শোলা কেটে ডাকের সাজে মুড়ে দেওয়া হত দুর্গার চালা। বিগ্রহ আর চালা সাজানোর কাজে ব্যবহার করা হত কাশফুলও।
advertisement
6/8
কারণটা সাদা রঙ! শোলার সঙ্গে যুগলবন্দি একেবারে জুতসই। আবার, ঢাকিরাও নিজেদের সাধের বাদ্যযন্ত্রটি সাজিয়ে তুলতেন লম্বা লম্বা কাশের গোছায়। সব মিলিয়ে, কাশ সরাসরি জুড়ে গিয়েছিল শারদীয়া উৎসবের সঙ্গে, সেই জন্যই কাশফুল দেখলেই দুর্গাপুজোর কথা মনে পড়ে ঐতিহ্যের পথ বেয়ে। খটকা শুধু একটাই- এ হেন কাশের কথা বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র ভাষ্যপাঠে কেন ঠাঁই পেল না?
কারণটা সাদা রঙ! শোলার সঙ্গে যুগলবন্দি একেবারে জুতসই। আবার, ঢাকিরাও নিজেদের সাধের বাদ্যযন্ত্রটি সাজিয়ে তুলতেন লম্বা লম্বা কাশের গোছায়। সব মিলিয়ে, কাশ সরাসরি জুড়ে গিয়েছিল শারদীয়া উৎসবের সঙ্গে, সেই জন্যই কাশফুল দেখলেই দুর্গাপুজোর কথা মনে পড়ে ঐতিহ্যের পথ বেয়ে। খটকা শুধু একটাই- এ হেন কাশের কথা বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র ভাষ্যপাঠে কেন ঠাঁই পেল না?
advertisement
7/8
ফুল বললেও তা গা-জোয়ারি। কাশ তো আর ফুল নয়, আদতে সে ঘাস। দেবীর পুজোর থালায় তার ঠাঁই হয় না। ধর্মপ্রাণ বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর মহিষাসুরমর্দিনী, যা ছিল তাঁর পূজারই নামান্তর, সেখান থেকেও কাশ হয়তো সেই কারণেই বাদ পড়েছে।
ফুল বললেও তা গা-জোয়ারি। কাশ তো আর ফুল নয়, আদতে সে ঘাস। দেবীর পুজোর থালায় তার ঠাঁই হয় না। ধর্মপ্রাণ বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর মহিষাসুরমর্দিনী, যা ছিল তাঁর পূজারই নামান্তর, সেখান থেকেও কাশ হয়তো সেই কারণেই বাদ পড়েছে।
advertisement
8/8
গ্রামবাংলায় কাশফুল ফোটা মানেই দুর্গাপুজো আসছে। কিন্তু কাশফুলের ইংরাজি কী, তা কখনও ভেবেছেন? এর ইংরাজি নাম  wild sugarcane বা kans grass।  এটি ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ, যা নদীর তীর, মাঠ এবং খোলা স্থানে জন্মায়।
গ্রামবাংলায় কাশফুল ফোটা মানেই দুর্গাপুজো আসছে। কিন্তু কাশফুলের ইংরাজি কী, তা কখনও ভেবেছেন? এর ইংরাজি নাম wild sugarcane বা kans grass। এটি ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ, যা নদীর তীর, মাঠ এবং খোলা স্থানে জন্মায়।
advertisement
advertisement
advertisement