বাংলার এই দ্বীপে কেউ মেয়ের বিয়ে দিতে চায় না! রোজ 'আতঙ্ক', রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমোয় না কেউ!

Last Updated:
Ghoramara Island in west Bengal: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনেক দ্বীপের অস্তিত্বই মুছে যাচ্ছে। ঘোড়ামারার পাশে লোহাচরা আর সুপারিভাঙাচরা নামের দুটি দ্বীপ ছিল। তবে সেই দ্বীপ দুটি সাগর গিলে খেয়েছে।
1/8
সকালে উঠে আগেই দেখতে হয়, আজ জল কতটা এগিয়ে এল! জল আজ যাঁর বাড়ির চৌকাঠ ছোঁবে, তাঁর সর্বনাশ। মানুষের জীবনে এই দ্বীপে জলের উপর একটু বেশিই নির্ভরশীল।
সকালে উঠে আগেই দেখতে হয়, আজ জল কতটা এগিয়ে এল! জল আজ যাঁর বাড়ির চৌকাঠ ছোঁবে, তাঁর সর্বনাশ। মানুষের জীবনে এই দ্বীপে জলের উপর একটু বেশিই নির্ভরশীল।
advertisement
2/8
জল যত এগিয়ে আসে, মানুষ তত ভয়ে পিছিয়ে যায় এই দ্বীপে। যে কোনও সময় নদী গিলে খেতে পারে মানুষের সর্বস্ব। কখনও নদীর গর্ভে তলিয়ে যায় স্কুল, কখনও কারও ভিটেমাটি।
জল যত এগিয়ে আসে, মানুষ তত ভয়ে পিছিয়ে যায় এই দ্বীপে। যে কোনও সময় নদী গিলে খেতে পারে মানুষের সর্বস্ব। কখনও নদীর গর্ভে তলিয়ে যায় স্কুল, কখনও কারও ভিটেমাটি।
advertisement
3/8
যত দিন যাচ্ছে, ততই মানুষের বসতির বৃত্তটা ছোট হয়ে আসছে। ঘোড়ামারা দ্বীপের বাসিন্দাদের জীবন ছাপিয়ে যাচ্ছে জল।
যত দিন যাচ্ছে, ততই মানুষের বসতির বৃত্তটা ছোট হয়ে আসছে। ঘোড়ামারা দ্বীপের বাসিন্দাদের জীবন ছাপিয়ে যাচ্ছে জল।
advertisement
4/8
সাগর এবং ঘোড়ামারা দ্বীপের মাঝে ছিল ছোট্ট একটি খাল। সেই খাল এখন আর ছোট নেই। এখন সেটি প্রায় ৮-৯ কিমি চওড়া নদী হয়ে গিয়েছে। ঘোড়মারাকে গিলে খেতে চাইছে নদী-সাগরের জল। মানুষের ঘর ভাঙছে রোজই। ভরা কোটাল এখানে যেন বিভীষিকা। সর্বগ্রাসী নদী কত যে সংসার ভাসিয়ে দিয়েছে, তার হিসেব আর রাখেন না স্থানীয়রা।
সাগর এবং ঘোড়ামারা দ্বীপের মাঝে ছিল ছোট্ট একটি খাল। সেই খাল এখন আর ছোট নেই। এখন সেটি প্রায় ৮-৯ কিমি চওড়া নদী হয়ে গিয়েছে। ঘোড়মারাকে গিলে খেতে চাইছে নদী-সাগরের জল। মানুষের ঘর ভাঙছে রোজই। ভরা কোটাল এখানে যেন বিভীষিকা। সর্বগ্রাসী নদী কত যে সংসার ভাসিয়ে দিয়েছে, তার হিসেব আর রাখেন না স্থানীয়রা।
advertisement
5/8
ঘোড়ামারা দ্বীপ ধান চাষের জন্য পরিচিত। তবে সেখানে পানের চাষও খুব ভাল হয়। তবে এখন সেখানে জনবসতি খুবই কম। ১৯৬০ সাল নাগাদ সেখানে লোকবসতি ছিল প্রায় ২৫ হাজার। এখন সেখানে ৫ হাজার মানুষও নেই।
ঘোড়ামারা দ্বীপ ধান চাষের জন্য পরিচিত। তবে সেখানে পানের চাষও খুব ভাল হয়। তবে এখন সেখানে জনবসতি খুবই কম। ১৯৬০ সাল নাগাদ সেখানে লোকবসতি ছিল প্রায় ২৫ হাজার। এখন সেখানে ৫ হাজার মানুষও নেই।
advertisement
6/8
স্থানীয় লোকজনের দাবি, এই দ্বীপে কেউ মেয়ের বিয়ে দিতে চায় না। এই দ্বীপের ছেলেদেরও বিয়ে হতে চায় না সহজে। যে কোনও দিন এই দ্বীপ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। যে কোনও সময় এখানে যে কারও সংসার ভেসে যেতে পারে।
স্থানীয় লোকজনের দাবি, এই দ্বীপে কেউ মেয়ের বিয়ে দিতে চায় না। এই দ্বীপের ছেলেদেরও বিয়ে হতে চায় না সহজে। যে কোনও দিন এই দ্বীপ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। যে কোনও সময় এখানে যে কারও সংসার ভেসে যেতে পারে।
advertisement
7/8
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনেক দ্বীপের অস্তিত্বই মুছে যাচ্ছে। ঘোড়ামারার পাশে লোহাচরা আর সুপারিভাঙাচরা নামের দুটি দ্বীপ ছিল। তবে সেই দ্বীপ দুটি সাগর গিলে খেয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনেক দ্বীপের অস্তিত্বই মুছে যাচ্ছে। ঘোড়ামারার পাশে লোহাচরা আর সুপারিভাঙাচরা নামের দুটি দ্বীপ ছিল। তবে সেই দ্বীপ দুটি সাগর গিলে খেয়েছে।
advertisement
8/8
জলই জীবন। তবে এই দ্বীপে যেন জল মানেই জীবন যন্ত্রণা। ঘোড়ামারার মানুষের রাতে ঘুম নেই। সকাল হলেই আতঙ্ক। এই বুঝি সব হারিয়ে উদ্বাস্তু হতে হয়!
জলই জীবন। তবে এই দ্বীপে যেন জল মানেই জীবন যন্ত্রণা। ঘোড়ামারার মানুষের রাতে ঘুম নেই। সকাল হলেই আতঙ্ক। এই বুঝি সব হারিয়ে উদ্বাস্তু হতে হয়!
advertisement
advertisement
advertisement