বিয়ের ৮ বছর পর আলমারি খুলে স্ত্রীর শাড়ি, লিপস্টিক...এ কী করলেন স্বামী...? হাতেনাতে ধরা পড়তেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড

৮ বছরের বিবাহিত জীবন হঠাৎ বদলে গেল। এ কী করছেন স্বামী? দেখে হতবাক স্ত্রী। শাড়ি, লিপস্টিকে আমূল বদল তাঁর দিনের 'সাজ'। এঁর সঙ্গেই কি ছিলেন এত বছর? চিনতে পারছেন না আর।

সম্প্রতি আদালতে এক অদ্ভুত বিবাহবিচ্ছেদের মামলা উঠেছে। কারণটি অদ্ভুত এবং চমকপ্রদ। এক মহিলা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন কারণ আট বছরের বিবাহিত জীবনের পরে তাঁর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার স্বামী কেবল তাঁর শাড়ি পরা শুরু করেননি, বরং ঠোঁটে লিপস্টিকও লাগানো শুরু করেছেন।

শুধু তাই নয়, তিনি নিজেকে 'নারী' বলে পরিচয় দিয়ে আধার কার্ডে নামও পরিবর্তন করেছেন। স্ত্রী তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি। ইঞ্জিনিয়ার স্পষ্ট জানান, যে তিনি নারী হওয়ার জন্য ওষুধ খাচ্ছেন। শিগগিরই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি নারী হয়ে উঠবেন। এমনকি তিনি পরিবারের সদস্যদেরও জানিয়েছেন যে তাঁকে একজন নারী হিসেবেই দেখতে হবে, পুরুষ নয়।

স্ত্রীর অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও স্বামী নিজের অবস্থান থেকে সরেননি। তাই রাজনগর এক্সটেনশনের বাসিন্দা ওই নারী বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। উভয়ে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন।

উভয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন যে তাঁরা পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে আবেদন জমা দিয়েছেন। স্ত্রী স্বামীকে বিচ্ছেদের জন্য রাজি করিয়েছেন এবং স্বামী এতে কোনও আপত্তি জানাননি।

স্ত্রীর আইনজীবী জানান, ২০১৩ সালে তাদের বিয়ে হয়। ইঞ্জিনিয়ার একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করেন। ২০১৭ সালে তাদের এক পুত্রসন্তান হয়। ২০২১ পর্যন্ত তাদের বিবাহিত জীবন ভালই চলছিল। কিন্তু ২০২১ সালে কোম্পানির কাজে ইঞ্জিনিয়ারকে বেঙ্গালুরু যেতে হয়। সেখান থেকে ফিরে তাঁর আচরণে হঠাৎ পরিবর্তন হয়। তিনি স্ত্রীর শাড়ি পরা শুরু করেন।

স্ত্রী প্রথমে ভেবেছিলেন তিনি মজা করছেন। কিন্তু যখন তিনি প্রতিদিন শাড়ি পরা শুরু করেন, তখন স্ত্রী কারণ জানতে চান। তিনি বলেন, "আমি প্রতিদিন শাড়ি পরব কারণ আমি নারী হতে চাই।"

ইঞ্জিনিয়ার তাঁর স্ত্রীর জন্য ১৮ লক্ষ টাকা দিয়েছেন এবং বেঙ্গালুরুতে পোস্টিংও নিয়েছেন। স্ত্রী একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ শুরু করেছেন। ২০২১ সাল থেকে দু'জন আলাদা থাকছেন।