Corona Robot : কোয়ারেন্টাইনে সঙ্গ দেবে, দেবে পরিষেবাও! দেখুন মুম্বইয়ের সন্তোষের অভিনব ৩ রোবটের কীর্তি...

মুম্বইয়ের বাসিন্দা সন্তোষ হুলাওয়ালে তিনটি রোবট তৈরি করেছেন। সন্তোষ দাবি করেছেন যে তাঁর তৈরি এই রোবটগুলি করোনার মতো মহামারীর সময় সহায়ক বলে প্রমাণিত হবে। আসুন আমরা আপনাকে দেখান সন্তোষের তৈরি এই রোবটগুলি কী করতে পারে।

গত ২০ বছর ধরে রোবোটিকসে কাজ করছেন সন্তোষ হুলাওয়ালে। ইতিমধ্যেই ৪৮ টি রোবট ডিজাইন করে ফেলেছেন মুম্বইয়ের এই বাসিন্দা। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৮ টি রোবট তৈরি করেছেন সন্তোষ নিজেই। কিন্তু বর্তমানে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সন্তোষের তৈরি তিনটি রোবট। কারণ সন্তোষ দাবি করেছেন যে তাঁর তৈরি এই রোবটগুলি করোনার সময়ে খুব সহায়ক হতে পারে।

পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার সন্তোষ প্রথমে নিজের বাড়িতে একটি এসএইচআর রোবট তৈরি করেছিলেন। এসএইচআর মানে সার্ভিস হিউম্যানাইট রোবট। যার অধীনে এই রোবোটটিতে বিভিন্ন ধরণের ক্রিয়াকলাপ রাখা হয়েছে।হ্যান্ডশেক থেকে হাগ্ বা আলিঙ্গনও করতে পারে এই অভিনব রোবট। এছাড়াও রোবটটি নানা উপায়ে মানুষের মনোরঞ্জন করতে সক্ষম। এমনকি প্রোগ্রামটি রোবটে সেট করে দিলে রোবটটি মানুষের সাথে কথাও বলতে পারে।

চমকের আরও বাকি রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ রোবোটিক্স নিয়ে কাজ করা সন্তোষ দাবি করেছেনএই রোবটটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বিশেষ সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করতেও সক্ষম। কারণ ১৪ দিন একঘেয়ে ঘরবন্দি সময়ে এই রোবট রোগীদের বিনোদন দেবে বলেও মনে করছেন এই কম্পিউটার এঞ্জিনিয়ার।

সন্তোষের তৈরি দ্বিতীয় রোবটের নাম এমএসআর। এই এমএসআর রোবটের বিশেষত্ব কী? এমএসআরটির অর্থ এটি একাধিক পরিষেবা সরবরাহকারী রোবট। এই রোবটটি আপনার সামনে অবলীলায় এনে দিতে পারে ওষুধ, খাবার, চা, কফি অথবা জল। কোনও মানুষের সাহায্য ছাড়াই চলতে পারে এর সিস্টেমগুলি। যেহেতু নিভৃতবাসে মানুষের মধ্যে ঘরের কাজ ইত্যাদি নিয়ে নানা মানসিক চাপ বাড়ে তাই এই সময়ে, এই ধরণের রোবট অনেক লোকের কাজের চাপকেও লক্ষণীয়ভাবে কমিয়ে দিতে পারে বলে দাবি সন্তোষের।

সন্তোষ তার তৃতীয় রোবোটটির নাম রেখেছেন ডিএমআর। ডিএমআর মানে দুর্যোগ পরিচালন রোবট। এই রোবোটটির বিশেষত্ব হ'ল এই রোবটটি খুব শক্তিশালী। এই রোবটটি সহজেই প্রায় ২০০ কেজি ওজন বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই রোবোটটির সাথে একটি বাহু যুক্ত রয়েছে। এর সামনে একটি সিসিটিভি ক্যামেরাও রয়েছে। রোবটের হাতটি সরিয়ে এবং চেয়ারটি সেই অবস্থানে রেখে, রোগীকে হুইলচেয়ার থেকে সরিয়ে দেওয়ার সমস্যাও এড়ানো যেতে পারে।এছাড়াও এই রোবটটি যে কোনও জায়গা স্যানিটাইজ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার সন্তোষের তৈরি এই রোবটগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হ'ল এগুলি ভারতে তৈরি! তবে কথায় বলে, গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না। এখনও অবধি এই রোবটগুলি তৈরির জন্য সন্তোষের দ্বারা ভারত সরকার বা মহারাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে কোনও ধরণের স্বীকৃতি পাননি সন্তোষ। তবে এই তরুণ ইঞ্জিনিয়ার যেভাবে এই রোবটকে করোনার এই সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে তৈরি করেছেন তা প্রশংসার দাবি রাখে।