সর্ষের মধ্যেই ভূত? নিকির পরিবারেও চলত পণ নিয়ে মা*রধ*র! এবার মুখ খুললেন নিকির ভাইয়ের প্রাক্তন স্ত্রী!

Last Updated:
নয়ডার নিকি হত্যাকাণ্ডে একের পর এক নয়া মোড় উঠে আসছে। এবারে পণ নিয়ে মারধরের বিষয়ে মুখ খুললেন নিকির ভাইয়ের প্রাক্তন স্ত্রী মীনাক্ষী। ২০২৪ সালে পণ সংক্রান্ত বিষয়ে মারধরের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছিলেন মীনাক্ষী।
1/6
দিনকয়েক আগে থেকেই গ্রেটার নয়ডায় নিকির হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশে, বলা হচ্ছে যৌতুকের দাবি নিকি ভাটিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অন্যতম কারণ। এবার এই মামলায় ওই যৌতুক নিয়েই মুখ খুললেন নিকির বৌদি, অভিযোগ আনলেন ননদের বিরুদ্ধে। মীনাক্ষী ভাটি গ্রেটার নয়ডার পাল্লা গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৬ সালে নিকির ভাই রোহিতের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
নয়ডার নিকি হত্যাকাণ্ডে একের পর এক নয়া মোড় উঠে আসছে। এবারে পণ নিয়ে মারধরের বিষয়ে মুখ খুললেন নিকির ভাইয়ের প্রাক্তন স্ত্রী মীনাক্ষী।
২০২৪ সালে পণ সংক্রান্ত বিষয়ে মারধরের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছিলেন মীনাক্ষী।
advertisement
2/6
নিক্কি মৃত্যু তদন্তে একের পর এক ধোঁয়াশা! প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পণের দাবিতে গৃহবধূ নিকি ভাটিকে তাঁর স্বামী বিপিন ভাটি এবং শাশুড়ি দয়াবতী মিলে বেধড়ক মারধর করে। অভিযোগ, চুলের মুঠি ধরে নিকিকে সিঁড়ি দিয়ে টানতে টানতে নীচে নিয়ে আসে বিপিন। তার পর গায়ে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। নিকির বোন কাঞ্চন বাধা দিতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে দাবি। শুধু কাঞ্চন নন, নিকির খুদে ছেলেও জানিয়েছে, কী ভাবে তার বাবা এবং ঠাকুমা মিলে মাকে খুন করেছে। কিন্তু তদন্তে যে সিসিটিভি ফুটেজ মিলেছে, তা বলছে সম্পূর্ণ অন্য কথা!
জানা গিয়েছে, ওই অভিযোগে নিকির ভাই তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করত। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "পণে সিয়াজ গাড়ি পাওয়ার পরেও রোহিত অখুশি ছিল। সেই থেকেই সে প্রচণ্ড মারধর করত।" পণে সে ফের স্করপিও-এর দাবি করেছিল। সিয়াজ গাড়ি সে বিক্রি করে দিয়েছিল।
advertisement
3/6
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিকি আর কাঞ্চনের আগে একটা পার্লার ছিল। মাঝে সেটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি সেটিকেই আবার খোলার চেষ্টা করছিলেন দুই বোন। ‘মেকওভার বাই কাঞ্চন’ নামে ইনস্টাগ্রামে একটা অ্যাকাউন্টও ছিল তাঁদের। নানা রিলস শেয়ার করতেন তাঁরা। এক হাজারেরও বেশি ফলোয়ার। আর তাতেই ছিল বিপিন-সহ ভাটি পরিবারের আপত্তি। এমনকি স্ত্রীর পার্লার ফের খোলা নিয়েও অখুশি ছিল বিপিন।
অতিমারির সময় মীনাক্ষীর বাবা মারা যান। এরপরেই তাঁর উপর অত্যাচার বাড়তে থাকে। তিনি বলেন, তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি, নিকি, কাঞ্চন প্রত্যেকেই তাঁকে মারধর করত। প্রসঙ্গত, ভাটি পরিবারে বিয়ের পর থেকেই তাঁদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তোলেন কাঞ্চন।
নিকিকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ করা হয়। কিন্তু, এরই মাঝে মীনাক্ষীর নতুন অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল।
advertisement
4/6
বিপিনের ভাই দেবেন্দ্রর দাবি, রান্নাঘরে সিলিন্ডার বার্স্ট করায় পুড়ে গিয়েছিল নিকি। তাঁর যুক্তি, সিসিটিভি ফুটেজে যে চিৎকার-চেঁচামেচি শোনা যাচ্ছে, সেটা তখনই ঘটে, যখন নিকি বিস্ফোরণে আহত হন। সেই চিৎকার শুনেই বাড়ির ভিতরে ছুটে যায় বিপিন।
জানা গিয়েছে, রোহিতের পরিবারের পক্ষ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা চাওয়া হয় অন্যদিকে শর্ত রাখা হয় মীনাক্ষীর পরিবার মামলা তুলে নেবে। কিন্তু, বাস্তবে সেই টাকা ফেরত দেয়নি পরিবার উল্টে চলতে থাকে অত্যাচার।
এর কিছুদিন পরে মীনাক্ষীর দাদা তাঁর বোনকে বাড়ি আনতে গেলে তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
advertisement
5/6
নিকি হত্যা কি পূর্বপরিকল্পিত ছিল? একটি বেসরকারি সংবাদ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাঞ্চন বলেন যে, ২১ তারিখে ঝগড়া এতটাই বেড়ে যায় যে নিকিকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পুড়িয়ে হত্যা করে। ২১ তারিখে, যখন নিকি তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মারধর করছিল, তখন সে ভিডিওটি তৈরি করেছিল। কাঞ্চন বলেছিলেন যে এই সব হঠাৎ ঘটেনি, সবকিছু আগে থেকেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কাঞ্চন বলেছিলেন, 'আমি ভিডিওটি তৈরি করেছি কারণ লোকেরা বলে যে আমি নাটক করছি।'
অন্যদিকে, ২১ অগাস্ট নিকির পরিবার এবং তাঁর স্ত্রী কাঞ্চন অভিযোগ করেন যে নিকিকে তাঁর স্বামী এবং শ্বশুর ও শাশুড়ি নয়ডার সিরসা গ্রামে গায়ে আগুন দিয়ে হত্যা করে।
advertisement
6/6
মীনাক্ষী এই অভিযোগও করেছেন যে নিকি-কাঞ্চনের বিয়ের আগেই তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পঞ্চায়েত ডাকার পরে দুই ননদের বিয়ের সময় তিনি শ্বশুরবাড়িতে উপস্থিত ছিলেন।
এরপরেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু, দেখা যায় নিকির শেষকৃত্যে অভিযুক্ত ভিপিনের বাবা সম্পন্ন করছেন। এরফলে মনে করা হচ্ছিল যে শ্বশুর এবং শাশুড়ি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তা নিয়েও ধন্দের সৃষ্টি হয়।
advertisement
advertisement
advertisement