কামাই নেই! রোজ ১৮কিমি ঘোড়া ছুটিয়ে পাহাড় টপকে পড়াতে যান এই শিক্ষক"
Last Updated:
অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের প্রত্যন্ত গ্রাম সুরাপেলামের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক গাম্বারাই ভেঙ্কটরমন৷ প্রতিদিন তিনি ১৮ কিলোমিটার ঘোড়ায় চেপে পড়াতে যান৷ কারণ, রাস্তার অবস্থা শোচনীয়৷ পরিবহণও উন্নত নয়৷
বলা হয়, মা-বাবার চেয়েও উপরের আসন শিক্ষক বা গুরুর৷ মা-বাবা জন্ম দিলেও, শিক্ষক জ্ঞানের আলো দেন৷ তাই গুরুর স্থান সবচেয়ে উপরে৷ তেমনই এক শিক্ষকের সঙ্গে পরিচয়টা সেরে ফেলা যাক৷ ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে প্রত্যন্ত গ্রামে ১৮ কিলোমিটার ঘোড়া চালিয়ে পড়াতে যান গাম্বারাই ভেঙ্কট রমন৷ প্রতিদিন ঘোড়া নিয়ে পৌঁছে যান ভেঙ্কটরমন৷ ঝড়-বৃষ্টি, চড়া রোদ! শিক্ষকের কামাই নেই৷
advertisement
advertisement
কেন ঘোড়া? বাইক বা বাস নয় কেন? অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় ভাবলে কিন্তু ভুল৷ ওই গ্রামে পৌঁছতে পাহাড়ি খাড়াই পথ পেরোতে হয়৷ যা বাইকে সম্ভব নয়৷ একটি রাস্তা আছে৷ তা এতটাই খারাপ ও বিপদসঙ্কুল যে হাঁটা তো দূর অস্ত, গাড়ি নিয়ে যাওয়াও মুশকিল৷ কিন্তু গাম্বারি তো নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের৷
advertisement
তাই প্রিয় শিক্ষককে গ্রামের মানুষরাই সবাই মিলে চাঁদা তুলে ঘোড়া উপহার দিয়েছেন৷ গ্রামের মানুষের একটাই ইচ্ছে, তাঁদের সন্তানরা যেন লেখাপড়া শেখার সুযোগ পায়৷ গ্রামের বাসিন্দা পাঙ্গি সীতারামনের ছেলেও গাম্বারির স্কুলে পড়ে৷ তাঁর কথায়, 'ভেঙ্কটরমন আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত্ গড়ার জন্যই এত কষ্ট করছেন৷' গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে ৯ হাজার টাকা জমিয়ে ঘোড়াটি কিনে দেন ভেঙ্কটকে৷ তাঁর কথায়, 'যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই বলেই অনেকে পড়াতে পারেন না এই গ্রামে৷ সরকার এই বিষয়টি অবিলম্বে দেখুক৷'