Jagannath Temple Devdasi: জগন্নাথ দেবের শেষ 'বিবাহিত স্ত্রী' পরশণির দেবদাসীর মৃত্যু হল ৯০ বছরে

Last Updated:
শ্রী জগন্নাথ দেবকেই তাদের 'স্বামী' হিসাবে গ্রহণ করতেন এরা(Devdasi in Jagannath Temple)৷
1/5
*ওড়িশার পুরী শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের শেষ 'দেবদাসী' পরশমণি দেবীর মৃত্যু হল৷ বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে তিনি ভুগছিলেন অনেক দিন এবং সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বয়স ছিল ৯০ বছর।
*ওড়িশার পুরী শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের শেষ 'দেবদাসী' পরশমণি দেবীর মৃত্যু হল৷ বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে তিনি ভুগছিলেন অনেক দিন এবং সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বয়স ছিল ৯০ বছর।
advertisement
2/5
*দ্বাদশ শতাব্দীর এই তীর্থস্থানে দেবদাসী প্রথা শেষ হয় এক যুগ আগেই৷ এই তীর্থস্থানেই শেষ হয় দেবদাসী প্রথা। পরশমণিই ছিলেন শেষ দেবদাসী৷ জনগণের সহায়তায় বালিশাহী মন্দির শহরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন পরশমণি। পরশমণির দত্তক পুত্র প্রসন্ন কুমার দাস তাঁর শেষকৃত্য পালন করেন।
*দ্বাদশ শতাব্দীর এই তীর্থস্থানে দেবদাসী প্রথা শেষ হয় এক যুগ আগেই৷ এই তীর্থস্থানেই শেষ হয় দেবদাসী প্রথা। পরশমণিই ছিলেন শেষ দেবদাসী৷ জনগণের সহায়তায় বালিশাহী মন্দির শহরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন পরশমণি। পরশমণির দত্তক পুত্র প্রসন্ন কুমার দাস তাঁর শেষকৃত্য পালন করেন।
advertisement
3/5
*কারা এই দেবদাসী? দেবদাসীরা জগন্নাথ দেবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এরা সারাজীবন অবিবাহিত থাকতেন এবং শ্রী জগন্নাথ দেবকেই তাদের 'স্বামী' হিসাবে গ্রহণ করতেন। ১৯৫৫ সালে, একটি আইনের মাধ্যমে ওড়িশা সরকার রাজপরিবারের কাছ থেকে মন্দিরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছিল। এরপরে ধীরে ধীরে মন্দিরে দেবদাসী ব্যবস্থাটি শেষ হয়। (Photo Collected)
*কারা এই দেবদাসী? দেবদাসীরা জগন্নাথ দেবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এরা সারাজীবন অবিবাহিত থাকতেন এবং শ্রী জগন্নাথ দেবকেই তাদের 'স্বামী' হিসাবে গ্রহণ করতেন। ১৯৫৫ সালে, একটি আইনের মাধ্যমে ওড়িশা সরকার রাজপরিবারের কাছ থেকে মন্দিরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছিল। এরপরে ধীরে ধীরে মন্দিরে দেবদাসী ব্যবস্থাটি শেষ হয়। (Photo Collected)
advertisement
4/5
*জগন্নাথ মন্দিরে দুই ধরণের দেবদাসী থাকত, একদল নৃত্যশিল্পী ও অন্যদল গায়িকা। অর্থাৎ এরা মন্দিরে নাচ-গানের মাধ্যমে প্রভুর সেবা করতেন৷ পরশমণি ছিলেন গায়িকা দেবদাসী। প্রভু ঘুমন্ত অবস্থায় তিনি ভক্তিমূলক গানগুলি গাইতেন। পরশমণিকে কুণ্ডনমণি দেবদাসী দত্তক নিয়েছিলেন। মাত্র সাত বছর বয়সে পরশমণির দেবদাসী প্রশিক্ষণ শুরু হয়। তারপর থেকে ঈশ্বরের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি৷
*জগন্নাথ মন্দিরে দুই ধরণের দেবদাসী থাকত, একদল নৃত্যশিল্পী ও অন্যদল গায়িকা। অর্থাৎ এরা মন্দিরে নাচ-গানের মাধ্যমে প্রভুর সেবা করতেন৷ পরশমণি ছিলেন গায়িকা দেবদাসী। প্রভু ঘুমন্ত অবস্থায় তিনি ভক্তিমূলক গানগুলি গাইতেন। পরশমণিকে কুণ্ডনমণি দেবদাসী দত্তক নিয়েছিলেন। মাত্র সাত বছর বয়সে পরশমণির দেবদাসী প্রশিক্ষণ শুরু হয়। তারপর থেকে ঈশ্বরের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি৷
advertisement
5/5
*মন্দিরের তথ্য অনুসারে, প্রায় ১০০বছর আগে, মন্দিরে ২৫জন দেবদাসী ছিলেন৷ একই সময়ে, ১৯৮০ পর্যন্ত  মন্দিরে মাত্র চারজন দেবদাসী হরপ্রিয়া, কোকিলাপ্রভ, পরশমণি এবং শশমণি জীবিত ছিলেন৷ এই তিনজনের মৃত্যুর পরে কেবল পরশমণিই বেঁচে ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শেষ হয়ে গেল ঈশ্বর বন্দনার এক বিশেষ প্রথা৷
*মন্দিরের তথ্য অনুসারে, প্রায় ১০০বছর আগে, মন্দিরে ২৫জন দেবদাসী ছিলেন৷ একই সময়ে, ১৯৮০ পর্যন্ত মন্দিরে মাত্র চারজন দেবদাসী হরপ্রিয়া, কোকিলাপ্রভ, পরশমণি এবং শশমণি জীবিত ছিলেন৷ এই তিনজনের মৃত্যুর পরে কেবল পরশমণিই বেঁচে ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শেষ হয়ে গেল ঈশ্বর বন্দনার এক বিশেষ প্রথা৷
advertisement
advertisement
advertisement