India News: আকাশ থেকে ওঁত পেতে ছিল আমেরিকা, পুরোই ধোঁকা দিয়েছিল ভারত! পোখরানে ভারতের পরমাণু বোমা পরীক্ষা কীভাবে হয়েছিল জানেন? আব্দুল কালামের সেই গোপন গল্প শুনে রোমকূপ দাঁড়িয়ে যাবে

Last Updated:
India News: আগে থেকেই ড. চিদাম্বরমের মেয়ের বিয়ের দিন স্থির হয়ে ছিল ২৭ এপ্রিল। বিয়ে কিছুদিনের জন্য পিছিয়ে দিতে হয়েছিল, কারণ বিয়েতে কনের বাবা হাজির না হলেই এরকম একটা সন্দেহ ছড়িয়ে পড়ত যে, খুব বড় কিছু হতে চলেছে।
1/28
এটা সেই সময়ের কথা, যখন অটল বিহারী বাজপেয়ী মাত্র কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমহা রাও দেখা করলেন নতুন সরকার প্রধানের সঙ্গে। রাও নতুন প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, “সব তৈরি। আপনি এগোতে পারেন।“ সংসদে আস্থা ভোটে জেতার দিন পনেরোর মধ্যে বাজপেয়ী ডেকে পাঠালেন ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও-র ড. এপিজে আব্দুল কালাম ও আণবিক শক্তি কমিশনের ড. আর চিদাম্বরমকে। নির্দেশ দিলেন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করার।
এটা সেই সময়ের কথা, যখন অটল বিহারী বাজপেয়ী মাত্র কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমহা রাও দেখা করলেন নতুন সরকার প্রধানের সঙ্গে। রাও নতুন প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, “সব তৈরি। আপনি এগোতে পারেন।“ সংসদে আস্থা ভোটে জেতার দিন পনেরোর মধ্যে বাজপেয়ী ডেকে পাঠালেন ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও-র ড. এপিজে আব্দুল কালাম ও আণবিক শক্তি কমিশনের ড. আর চিদাম্বরমকে। নির্দেশ দিলেন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করার।
advertisement
2/28
পরবর্তী কালে ভারতের রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম সেই সময়ে ছিলেন ডিআরডিও-র প্রধান ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা। ড. আর চিদাম্বরম ছিলেন আণবিক শক্তি কমিশন এবং আণবিক শক্তি দফতরের চেয়ারম্যান। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কেআর নারায়নান ২৬ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলিতে সফরের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। তাকে গোপনে জানানো হল, তিনি যেন তার সফর কিছুদিনের জন্য পিছিয়ে দেন।
পরবর্তী কালে ভারতের রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম সেই সময়ে ছিলেন ডিআরডিও-র প্রধান ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা। ড. আর চিদাম্বরম ছিলেন আণবিক শক্তি কমিশন এবং আণবিক শক্তি দফতরের চেয়ারম্যান। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কেআর নারায়নান ২৬ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলিতে সফরের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। তাকে গোপনে জানানো হল, তিনি যেন তার সফর কিছুদিনের জন্য পিছিয়ে দেন।
advertisement
3/28
এদিকে আগে থেকেই ড. চিদাম্বরমের মেয়ের বিয়ের দিন স্থির হয়ে ছিল ২৭ এপ্রিল। বিয়ে কিছুদিনের জন্য পিছিয়ে দিতে হয়েছিল, কারণ বিয়েতে কনের বাবা হাজির না হলেই এরকম একটা সন্দেহ ছড়িয়ে পড়ত যে, খুব বড় কিছু হতে চলেছে। ড. কালাম পরামর্শ দিয়েছিলেন বিস্ফোরণটা বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনেই হোক। ১৯৯৮ সালে বুদ্ধ পূর্ণিমা পড়েছিল ১১ মে।
এদিকে আগে থেকেই ড. চিদাম্বরমের মেয়ের বিয়ের দিন স্থির হয়ে ছিল ২৭ এপ্রিল। বিয়ে কিছুদিনের জন্য পিছিয়ে দিতে হয়েছিল, কারণ বিয়েতে কনের বাবা হাজির না হলেই এরকম একটা সন্দেহ ছড়িয়ে পড়ত যে, খুব বড় কিছু হতে চলেছে। ড. কালাম পরামর্শ দিয়েছিলেন বিস্ফোরণটা বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনেই হোক। ১৯৯৮ সালে বুদ্ধ পূর্ণিমা পড়েছিল ১১ মে।
advertisement
4/28
ভাবা এটমিক রিসার্চ সেন্টার, বার্ক-এর বিজ্ঞানীদের ২০ এপ্রিলের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে পরীক্ষামূলক পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে। তাদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে পোখরানে পাঠানো শুরু হল। তাদের কেউ বাড়িতে স্ত্রীদের বলেছিলেন দিল্লিতে যাচ্ছেন, কেউ বলেছিলেন একটা সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন, যেখানে পরবর্তী ২০ দিন টেলিফোনেও যোগাযোগ করা যাবে না।
ভাবা এটমিক রিসার্চ সেন্টার, বার্ক-এর বিজ্ঞানীদের ২০ এপ্রিলের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে পরীক্ষামূলক পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে। তাদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে পোখরানে পাঠানো শুরু হল। তাদের কেউ বাড়িতে স্ত্রীদের বলেছিলেন দিল্লিতে যাচ্ছেন, কেউ বলেছিলেন একটা সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন, যেখানে পরবর্তী ২০ দিন টেলিফোনেও যোগাযোগ করা যাবে না।
advertisement
5/28
মিশনটাকে পুরোপুরি গোপনীয় রাখতে বিজ্ঞানীরা নিজেদের নাম বদল করে যাত্রা করেছিলেন। কেউই সরাসরি পোখরান যাননি। অনেক ঘুরে ঘুরে তারা পৌঁছেছিলেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর পোখরান টেস্টিং রেঞ্জে। বার্ক এবং ডিআরডিও থেকে প্রায় ১০০ জন বিজ্ঞানী জড়ো হয়েছিলেন পোখরানে। সেখানে পৌঁছানোর পর সবাইকে সেনাবাহিনীর পোশাক দেওয়া হয়েছিল। থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল ছোট ছোট ঘরে। কাঠের পার্টিশন দেওয়া ওই ঘরগুলোতে একটাই মাত্র খাট রাখার জায়গা ছিল। বিজ্ঞানীদের অবশ্য সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরতে বেশ অসুবিধা হচ্ছিল। ওই ধরনের পোশাক পরতে যে তারা অভ্যস্ত নন।
মিশনটাকে পুরোপুরি গোপনীয় রাখতে বিজ্ঞানীরা নিজেদের নাম বদল করে যাত্রা করেছিলেন। কেউই সরাসরি পোখরান যাননি। অনেক ঘুরে ঘুরে তারা পৌঁছেছিলেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর পোখরান টেস্টিং রেঞ্জে। বার্ক এবং ডিআরডিও থেকে প্রায় ১০০ জন বিজ্ঞানী জড়ো হয়েছিলেন পোখরানে। সেখানে পৌঁছানোর পর সবাইকে সেনাবাহিনীর পোশাক দেওয়া হয়েছিল। থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল ছোট ছোট ঘরে। কাঠের পার্টিশন দেওয়া ওই ঘরগুলোতে একটাই মাত্র খাট রাখার জায়গা ছিল। বিজ্ঞানীদের অবশ্য সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরতে বেশ অসুবিধা হচ্ছিল। ওই ধরনের পোশাক পরতে যে তারা অভ্যস্ত নন।
advertisement
6/28
পরমাণু বোমাগুলির কোড নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ক্যান্টিন স্টোর্স’। বিস্ফোরণ ঘটানোর সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরে মুম্বইয়ের একটা ভূগর্ভস্থ ভল্ট থেকে কীভাবে বোমাগুলি পোখরানে আনা হবে, সেটাই ছিল সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। ওই ভল্টগুলি ৮০-র দশকে বানানো হয়েছিল। প্রতিবছর বিশ্বকর্মা পুজোর দিন একবার করে খোলা হত ভল্ট। বিজ্ঞানী আর কর্মচারীরা ভল্টের দরজায় পুজো দিতেন। কখনও প্রধানমন্ত্রীরা বার্ক সফরে এলে তাদেরও ভল্ট খুলে বোমাগুলি দেখানো হত।
পরমাণু বোমাগুলির কোড নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ক্যান্টিন স্টোর্স’। বিস্ফোরণ ঘটানোর সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরে মুম্বইয়ের একটা ভূগর্ভস্থ ভল্ট থেকে কীভাবে বোমাগুলি পোখরানে আনা হবে, সেটাই ছিল সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। ওই ভল্টগুলি ৮০-র দশকে বানানো হয়েছিল। প্রতিবছর বিশ্বকর্মা পুজোর দিন একবার করে খোলা হত ভল্ট। বিজ্ঞানী আর কর্মচারীরা ভল্টের দরজায় পুজো দিতেন। কখনও প্রধানমন্ত্রীরা বার্ক সফরে এলে তাদেরও ভল্ট খুলে বোমাগুলি দেখানো হত।
advertisement
7/28
একবার সেনা প্রধান জেনারেল সুন্দরজীকেও ভল্ট খুলে দেখানো হয়েছিল। টেনিস বলের থেকে কিছুটা বড় আয়তনের ছয়টা প্লুটোনিয়াম বোমা ওই ভল্টে রাখা থাকত। বলের আকৃতির একেকটা বোমার ওজন ছিল তিন থেকে আট কিলোগ্রাম। সব বোমাগুলি একটা কালো রঙের বাক্সে রাখা হত। বাক্সটা দেখলে মনে হবে আপেলের বাক্স।
একবার সেনা প্রধান জেনারেল সুন্দরজীকেও ভল্ট খুলে দেখানো হয়েছিল। টেনিস বলের থেকে কিছুটা বড় আয়তনের ছয়টা প্লুটোনিয়াম বোমা ওই ভল্টে রাখা থাকত। বলের আকৃতির একেকটা বোমার ওজন ছিল তিন থেকে আট কিলোগ্রাম। সব বোমাগুলি একটা কালো রঙের বাক্সে রাখা হত। বাক্সটা দেখলে মনে হবে আপেলের বাক্স।
advertisement
8/28
ভেতরে এমনভাবে প্যাকিং করা হয়েছিল বোমাগুলি, যাতে পোখরান নিয়ে যাওয়ার সময়ে কোনভাবে ফেটে না যায়। নিজেদের নিরাপত্তা কর্মীদের এড়িয়ে কীভাবে ওই বোমাগুলি পোখরানে নিয়ে যাওয়া হবে, সেটাই ছিল বার্কের বিজ্ঞানীদের মাথাব্যথার কারণ। শেষমেশ নিরাপত্তা কর্মীদের বলা হয় দক্ষিণ ভারতের অন্য একটা পারমাণবিক পরীক্ষাগারের পাঠানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র বার করতে হবে। রাতের বেলায় বিশেষ একটা দরজা দিয়ে চারটি সেনা ট্রাক পৌঁছেছিল বার্কের ওই ভল্টে।
ভেতরে এমনভাবে প্যাকিং করা হয়েছিল বোমাগুলি, যাতে পোখরান নিয়ে যাওয়ার সময়ে কোনভাবে ফেটে না যায়। নিজেদের নিরাপত্তা কর্মীদের এড়িয়ে কীভাবে ওই বোমাগুলি পোখরানে নিয়ে যাওয়া হবে, সেটাই ছিল বার্কের বিজ্ঞানীদের মাথাব্যথার কারণ। শেষমেশ নিরাপত্তা কর্মীদের বলা হয় দক্ষিণ ভারতের অন্য একটা পারমাণবিক পরীক্ষাগারের পাঠানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র বার করতে হবে। রাতের বেলায় বিশেষ একটা দরজা দিয়ে চারটি সেনা ট্রাক পৌঁছেছিল বার্কের ওই ভল্টে।
advertisement
9/28
মুম্বাইতে মাঝরাতের পরেও প্রচুর যানবাহন চলাচল করতে থাকে। তাই ঠিক হয় যে ট্র্যাফিক জ্যাম থেকে বাঁচতে আর কারও মনে যাতে কোনওরকম সন্দেহের উদ্রেক না হয়, তাই ভোর দুটো থেকে চারটের মধ্যে ট্রাকগুলিকে আনা হবে। সিনিয়র সাংবাদিক রাজ চেঙ্গাপ্পা তার বই ‘ওয়েপন্স অফ পিস, দ্য সিক্রেট স্টোরি অফ ইন্ডিয়াজ কোয়েস্ট টু বি আ নিউক্লিয়ার পাওয়ার’-এ লিখেছেন, “পয়লা মে ভোররাতে চারটি ট্রাক চুপিসারে বার্কে পৌঁছেছিল। প্রতিটা ট্রাকে পাঁচজন করে সশস্ত্র সৈন্য ছিল।“
মুম্বাইতে মাঝরাতের পরেও প্রচুর যানবাহন চলাচল করতে থাকে। তাই ঠিক হয় যে ট্র্যাফিক জ্যাম থেকে বাঁচতে আর কারও মনে যাতে কোনওরকম সন্দেহের উদ্রেক না হয়, তাই ভোর দুটো থেকে চারটের মধ্যে ট্রাকগুলিকে আনা হবে। সিনিয়র সাংবাদিক রাজ চেঙ্গাপ্পা তার বই ‘ওয়েপন্স অফ পিস, দ্য সিক্রেট স্টোরি অফ ইন্ডিয়াজ কোয়েস্ট টু বি আ নিউক্লিয়ার পাওয়ার’-এ লিখেছেন, “পয়লা মে ভোররাতে চারটি ট্রাক চুপিসারে বার্কে পৌঁছেছিল। প্রতিটা ট্রাকে পাঁচজন করে সশস্ত্র সৈন্য ছিল।“
advertisement
10/28
“ট্রাকে আর্মার্ড প্লেট লাগানো ছিল যাতে কোনও বোমা হামলা প্রতিরোধ করা যায়। দুটো কালো বাক্সকে খুব দ্রুত অন্যান্য নানা জিনিসের সঙ্গেই ট্রাকে চাপিয়ে দেওয়া হয়। ডিআরডিও-র সিনিয়র বিজ্ঞানী উমঙ্গ কাপুরের মুখ দিয়ে বেরিয়ে এসেছিল, ‘হিস্ট্রি ইজ নাও অন দ্য মুভ’, ইতিহাসের পথ চলা শুরু হল।

“ট্রাকে আর্মার্ড প্লেট লাগানো ছিল যাতে কোনও বোমা হামলা প্রতিরোধ করা যায়। দুটো কালো বাক্সকে খুব দ্রুত অন্যান্য নানা জিনিসের সঙ্গেই ট্রাকে চাপিয়ে দেওয়া হয়। ডিআরডিও-র সিনিয়র বিজ্ঞানী উমঙ্গ কাপুরের মুখ দিয়ে বেরিয়ে এসেছিল, ‘হিস্ট্রি ইজ নাও অন দ্য মুভ’, ইতিহাসের পথ চলা শুরু হল।
advertisement
11/28
চারটি ট্রাক দ্রুতগতিতে মুম্বই বিমানবন্দরের দিকে চলতে শুরু করল। যাত্রাপথটা ছিল মাত্রই তিরিশ মিনিটের। বিমানবন্দরে সব জরুরি ছাড়পত্র নিয়ে রাখা হয়েছিল আগে থেকেই। ট্রাকগুলো সরাসরি রানওয়েতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অপেক্ষা করছিল এ এন ৩২ পরিবহণ বিমান।
চারটি ট্রাক দ্রুতগতিতে মুম্বই বিমানবন্দরের দিকে চলতে শুরু করল। যাত্রাপথটা ছিল মাত্রই তিরিশ মিনিটের। বিমানবন্দরে সব জরুরি ছাড়পত্র নিয়ে রাখা হয়েছিল আগে থেকেই। ট্রাকগুলো সরাসরি রানওয়েতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অপেক্ষা করছিল এ এন ৩২ পরিবহণ বিমান।
advertisement
12/28
বিমানে মাত্র চারজন সেনা সদস্য ছিলেন। এমন একটা আভাস দেওয়া হয়েছিল যেন ওটা সেনাবাহিনীর একটা রুটিন পরিবহণ বিমান। কারও ধারণা ছিল না যে ওই বিমানে যা রাখা ছিল, তা মুম্বই শহরটাকে কয়েক মূহুর্তের মধ্যে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারে। ভোররাতেই এ এন ৩২ বিমানটি রওনা হয়ে দুঘন্টার মধ্যেই রাজস্থানের জয়সলমীর বিমানবন্দরে অবতরণ করল। সেখানেও অপেক্ষা করছিল কয়েকটি ট্রাক। প্রতিটা ট্রাকেই ছিলেন সশস্ত্র সেনারা। কিন্তু তারা যখন ট্রাক থেকে নামলেন, তখন তাদের হাতে থাকা অস্ত্রগুলো তোয়ালে দিয়ে মুড়ে নিয়েছিলেন।
বিমানে মাত্র চারজন সেনা সদস্য ছিলেন। এমন একটা আভাস দেওয়া হয়েছিল যেন ওটা সেনাবাহিনীর একটা রুটিন পরিবহণ বিমান। কারও ধারণা ছিল না যে ওই বিমানে যা রাখা ছিল, তা মুম্বই শহরটাকে কয়েক মূহুর্তের মধ্যে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারে। ভোররাতেই এ এন ৩২ বিমানটি রওনা হয়ে দুঘন্টার মধ্যেই রাজস্থানের জয়সলমীর বিমানবন্দরে অবতরণ করল। সেখানেও অপেক্ষা করছিল কয়েকটি ট্রাক। প্রতিটা ট্রাকেই ছিলেন সশস্ত্র সেনারা। কিন্তু তারা যখন ট্রাক থেকে নামলেন, তখন তাদের হাতে থাকা অস্ত্রগুলো তোয়ালে দিয়ে মুড়ে নিয়েছিলেন।
advertisement
13/28
জয়সলমীর বিমানবন্দর থেকে যখন পোখরানের দিকে ট্রাকগুলো রওনা হল, তখন ভোরের আলো ফুটে গেছে। রাজ চেঙ্গাপ্পা লিখছেন, “পোখরানে পৌঁছানোর পরে ট্রাকগুলোকে সরাসরি 'প্রেয়ার হল' বা প্রার্থনা কক্ষে নিয়ে যাওয়া হল। সেখানেই বোমাগুলি অ্যাসেম্বল করা হয়েছিল। প্লুটোনিয়াম বলগুলো সেখানে পৌঁছানোর পরে আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আর চিদাম্বরমের ধড়ে যেন প্রাণ এল।
জয়সলমীর বিমানবন্দর থেকে যখন পোখরানের দিকে ট্রাকগুলো রওনা হল, তখন ভোরের আলো ফুটে গেছে। রাজ চেঙ্গাপ্পা লিখছেন, “পোখরানে পৌঁছানোর পরে ট্রাকগুলোকে সরাসরি 'প্রেয়ার হল' বা প্রার্থনা কক্ষে নিয়ে যাওয়া হল। সেখানেই বোমাগুলি অ্যাসেম্বল করা হয়েছিল। প্লুটোনিয়াম বলগুলো সেখানে পৌঁছানোর পরে আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আর চিদাম্বরমের ধড়ে যেন প্রাণ এল।
advertisement
14/28
তার মনে পড়ছিল প্রথম পারমাণবিক বিস্ফোরণের কথা। সেবার পারমাণবিক বোমাগুলো নিজে সঙ্গে করে পোখরানে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণের কিছুদিন আগেই বার্ক-এর পরিচালক অনিল কাকোদকরের বাবা মারা যান। শেষকৃত্যের জন্য তাকে পোখরান ছাড়তে হয়, কিন্তু দুদিনের মধ্যেই তিনি ফিরে আসেন।
তার মনে পড়ছিল প্রথম পারমাণবিক বিস্ফোরণের কথা। সেবার পারমাণবিক বোমাগুলো নিজে সঙ্গে করে পোখরানে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণের কিছুদিন আগেই বার্ক-এর পরিচালক অনিল কাকোদকরের বাবা মারা যান। শেষকৃত্যের জন্য তাকে পোখরান ছাড়তে হয়, কিন্তু দুদিনের মধ্যেই তিনি ফিরে আসেন।
advertisement
15/28
যেদিন ‘কুম্ভকর্ণ’ নামের কূপটি খোঁড়া হচ্ছে, একজন সেনা সদস্যের হাতে বিছে কামড়িয়ে দেয়। কিন্তু তিনি টুঁ শব্দটি করেননি। নিজের কাজ করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বিষক্রিয়ায় হাত ফুলে উঠলে সবার নজরে পড়ে, তাকে চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হয়। আবার ‘তাজমহল’ নামের কূপটি খোঁড়ার সময়ে বুলডোজারের ধাক্কা লাগে একটা বড় পাথরে। মুহূর্তে পাথরটি গড়িয়ে যেতে শুরু করে কূপের মুখের দিকে।
যেদিন ‘কুম্ভকর্ণ’ নামের কূপটি খোঁড়া হচ্ছে, একজন সেনা সদস্যের হাতে বিছে কামড়িয়ে দেয়। কিন্তু তিনি টুঁ শব্দটি করেননি। নিজের কাজ করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বিষক্রিয়ায় হাত ফুলে উঠলে সবার নজরে পড়ে, তাকে চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হয়। আবার ‘তাজমহল’ নামের কূপটি খোঁড়ার সময়ে বুলডোজারের ধাক্কা লাগে একটা বড় পাথরে। মুহূর্তে পাথরটি গড়িয়ে যেতে শুরু করে কূপের মুখের দিকে।
advertisement
advertisement
advertisement