Cyclone Biparjoy: ‘বিপর্যয়’ কি ধেয়ে আসছে? শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে যা না জানলেই নয়...

গত মাসেই বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের কিছু অংশে মারাত্মক ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় মোকা। সেই ছবি ভিডিও দেখে রীতিমতো শিউরে উঠেছে বঙ্গবাসী। সেই ক্ষতে প্রলেপ পড়তে না পড়তেই ফের ঘূর্ণিঝড়ের চোখরাঙানি। ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর।

হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে যে, দক্ষিণপূর্ব আরব সাগরে অবস্থান করছে একটি গভীর নিম্নচাপ। যা ঘনীভূত হয়ে আরও শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আর আসন্ন এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে বিপর্যয়। এই ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে জরুরি কিছু কথা আলোচনা করে নেওয়া যাক। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় প্রসঙ্গে জরুরি কিছু বিষয়: এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে বাংলাদেশ। বিপর্যয়-এর অর্থ হল দুর্যোগ।

আইএমডি ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে যে, ওয়ার্ল্ড মিটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও)-এ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি ২০২০ সালে এই নামটি গ্রহণ করেছিল। আর তা বিপর্যয় হিসেবে উচ্চারিত হয়েছিল। এই নামগুলির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বা ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়, যেগুলি বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগর-সহ সমগ্র উত্তর ভারত মহাসাগরের উপর তৈরি হয়।

আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে যে, ৫ জুন ওই নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালের এক বুলেটিনে আইএমডি-র তরফে জানানো হয়েছে যে, গোয়ার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে প্রায় ৯৩০ কিলোমিটার দূরে এবং মুম্বইয়ের দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে প্রায় ১০৬০ কিলোমিটার দূরে আপাতত অবস্থান করছে ওই গভীর নিম্নচাপ।

সেই সঙ্গে বুলেটিনে আরও জানানো হয়েছিল যে, বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ওই গভীর নিম্নচাপ শক্তি সঞ্চয় করে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আর শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে তা অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে চলেছে।

আইএমডি-র তরফে জানানো হয়েছে যে, তারা ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথের উপর সব সময় নজর রাখছে। আর সেই অনুযায়ী নির্দেশিকাও জারি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। এমনকী, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বন্যা পরিস্থিতি এবং অন্যান্য প্রভাবের বিষয়ে প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের।