Air India Plane Crash News: কেন ভেঙে পড়ল প্লেনটা...১২ বছরের পুরনো বলে? নাকি পাখির ধাক্কা...৪ তত্ত্বে ঘোরাফেরা করছে সন্দেহ

Last Updated:
আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব বাতিল। অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব খারিজ করেছে একাধিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির। দুর্ঘটনাস্থল পরীক্ষা এনআইএ-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সির। ঘটনার তদন্তে পৌঁছল এনআইএ ও এনএসজির দল। গুজরাত পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করবে এনআইএ। দেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ সংগ্রহই একমাত্র ভরসা। সিভিল হাসপাতালের মর্গে সারি সারি মৃতদেহ। বিস্ফোরণে মুখ এমন ঝলসে গিয়েছে যে কাউকে চেনা দায়। তাই ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া কোনও উপায় নেই দেহ শনাক্ত করার।
1/8
আমদাবাদের দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিমানটি প্রায় ১২ বছর পুরনো। অন্তত বিমানের রেজিস্ট্রেশন নম্বর তাই বলছে। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে এই ড্রিমলাইনার বিমান এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লিটে যুক্ত হয়। ১২ বছরের পুরানো সেই ড্রিমলাইনার ভেঙে পড়ল বৃহস্পতিবার। মারা গেলেন ২৪১ জন বিমানের যাত্রী ও বিমানের ক্রু।
আমদাবাদের দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিমানটি প্রায় ১২ বছর পুরনো। অন্তত বিমানের রেজিস্ট্রেশন নম্বর তাই বলছে। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে এই ড্রিমলাইনার বিমান এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লিটে যুক্ত হয়। ১২ বছরের পুরানো সেই ড্রিমলাইনার ভেঙে পড়ল বৃহস্পতিবার। মারা গেলেন ২৪১ জন বিমানের যাত্রী ও বিমানের ক্রু।
advertisement
2/8
২০০৭ সালে উদ্বোধন করা বোয়িংয়ের ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেল বিমান পরিচালনার ক্ষেত্রে নিরাপদ বিমানের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে একের পর এক প্রযুক্তিগত ত্রুটির অভিযোগ আর ছোট-বড় দুর্ঘটনা এই মডেলটির উপর শঙ্কার ছায়া ফেলেছে। অতীতেও নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে এই ড্রিমলাইনারে।
২০০৭ সালে উদ্বোধন করা বোয়িংয়ের ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেল বিমান পরিচালনার ক্ষেত্রে নিরাপদ বিমানের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে একের পর এক প্রযুক্তিগত ত্রুটির অভিযোগ আর ছোট-বড় দুর্ঘটনা এই মডেলটির উপর শঙ্কার ছায়া ফেলেছে। অতীতেও নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে এই ড্রিমলাইনারে।
advertisement
3/8
তদন্তকারীরা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা সম্পর্কিত চারটি তত্ত্ব অনুসন্ধান করছেন৷ যার মধ্যে রয়েছে পাখির ধাক্কা, ডাবল-ইঞ্জিনের ত্রুটি , জ্বালানি দূষণ এবং অতিরিক্ত লোডিং। বিমানটি কোনও মেরামত বা নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণ মিস করেছে কি না, তা নির্ধারণের জন্য তারা রক্ষণাবেক্ষণের রেকর্ডও পরীক্ষা করছেন।
তদন্তকারীরা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা সম্পর্কিত চারটি তত্ত্ব অনুসন্ধান করছেন৷ যার মধ্যে রয়েছে পাখির ধাক্কা, ডাবল-ইঞ্জিনের ত্রুটি , জ্বালানি দূষণ এবং অতিরিক্ত লোডিং। বিমানটি কোনও মেরামত বা নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণ মিস করেছে কি না, তা নির্ধারণের জন্য তারা রক্ষণাবেক্ষণের রেকর্ডও পরীক্ষা করছেন।
advertisement
4/8
ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার এবং রাডার ডেটা উভয়ই নিবিড়ভাবে অধ্যয়ন করা হচ্ছে। বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তির সাক্ষ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হচ্ছে। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি উল্লেখ করেছেন যে ওড়ার এক মিনিটের মধ্যেই মনে হয়েছিল বিমানটি শক্তি হারিয়ে ফেলেছে৷ যা ইঙ্গিত দেয় যে কোনও কিছু ইঞ্জিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এরপর বিমানটি গতি বাড়ায়, সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে এবং ক্রাশ করে৷
ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার এবং রাডার ডেটা উভয়ই নিবিড়ভাবে অধ্যয়ন করা হচ্ছে। বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তির সাক্ষ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হচ্ছে। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি উল্লেখ করেছেন যে ওড়ার এক মিনিটের মধ্যেই মনে হয়েছিল বিমানটি শক্তি হারিয়ে ফেলেছে৷ যা ইঙ্গিত দেয় যে কোনও কিছু ইঞ্জিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এরপর বিমানটি গতি বাড়ায়, সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে এবং ক্রাশ করে৷
advertisement
5/8
ড্রিমলাইনার বিমানটি তৈরির সময় বোয়িং দাবি করেছিল, এটি বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ বিমান, যার দু’টি রোলস রয়েস ইঞ্জিন যান্ত্রিক ত্রুটির সম্ভাবনাকে প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনে। কিন্তু ২০০৯ সালেই মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রথমবারের মতো এই মডেলটির একটি বিমান আপৎকালীন অবতরণে বাধ্য হয়। এরপর নানা সময় বিভিন্ন যান্ত্রিক সমস্যায় পড়ে এই বিমান। গত বছর বোয়িং সংস্থার মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছিল বিমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।
ড্রিমলাইনার বিমানটি তৈরির সময় বোয়িং দাবি করেছিল, এটি বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ বিমান, যার দু’টি রোলস রয়েস ইঞ্জিন যান্ত্রিক ত্রুটির সম্ভাবনাকে প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনে। কিন্তু ২০০৯ সালেই মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রথমবারের মতো এই মডেলটির একটি বিমান আপৎকালীন অবতরণে বাধ্য হয়। এরপর নানা সময় বিভিন্ন যান্ত্রিক সমস্যায় পড়ে এই বিমান। গত বছর বোয়িং সংস্থার মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছিল বিমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।
advertisement
6/8
সিরিজের বিমানে, বিশেষ করে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ব্যর্থতা ও হাইড্রলিক ব্যবস্থার সমস্যা নিয়ে এক যুগ আগে থেকেই সতর্কতা ছিল।বোয়িংয়ের প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার স্যাম সালেফোর অভিযোগ করেছিলেন, দ্রুত বাণিজ্যিক উৎপাদনের চাপে বোয়িং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। ৭৭৭ ও ৭৮৭ মডেল বিমানের নির্মাণে কেবল বাণিজ্যিক লাভের দিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন।
সিরিজের বিমানে, বিশেষ করে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ব্যর্থতা ও হাইড্রলিক ব্যবস্থার সমস্যা নিয়ে এক যুগ আগে থেকেই সতর্কতা ছিল।বোয়িংয়ের প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার স্যাম সালেফোর অভিযোগ করেছিলেন, দ্রুত বাণিজ্যিক উৎপাদনের চাপে বোয়িং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। ৭৭৭ ও ৭৮৭ মডেল বিমানের নির্মাণে কেবল বাণিজ্যিক লাভের দিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন।
advertisement
7/8
আহমেদাবাদের ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি এই তত্ত্বকে আরও প্রমাণ করে দিল। বোয়িং সংস্থার তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে তারা এয়ার ইন্ডিয়ার সাথে এই বিষয়ে কথা বলছে। এই বিমান দূর্ঘটনার তদন্তে সমস্ত রকমের সাহায্য করা হবে সংস্থার তরফ থেকে। তবে আমেদাবাদের এই দূর্ঘটনার পরে বোয়িংয়ের শেয়ার পড়তে শুরু করেছে।
আহমেদাবাদের ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি এই তত্ত্বকে আরও প্রমাণ করে দিল। বোয়িং সংস্থার তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে তারা এয়ার ইন্ডিয়ার সাথে এই বিষয়ে কথা বলছে। এই বিমান দূর্ঘটনার তদন্তে সমস্ত রকমের সাহায্য করা হবে সংস্থার তরফ থেকে। তবে আমেদাবাদের এই দূর্ঘটনার পরে বোয়িংয়ের শেয়ার পড়তে শুরু করেছে।
advertisement
8/8
আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব বাতিল। অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব খারিজ করেছে একাধিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির। দুর্ঘটনাস্থল পরীক্ষা এনআইএ-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সির। ঘটনার তদন্তে পৌঁছল এনআইএ ও এনএসজির দল। গুজরাত পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করবে এনআইএ। দেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ সংগ্রহই একমাত্র ভরসা। সিভিল হাসপাতালের মর্গে সারি সারি মৃতদেহ। বিস্ফোরণে মুখ এমন ঝলসে গিয়েছে যে কাউকে চেনা দায়। তাই ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া কোনও উপায় নেই দেহ শনাক্ত করার।
আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব বাতিল। অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব খারিজ করেছে একাধিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির। দুর্ঘটনাস্থল পরীক্ষা এনআইএ-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সির। ঘটনার তদন্তে পৌঁছল এনআইএ ও এনএসজির দল। গুজরাত পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করবে এনআইএ। দেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ সংগ্রহই একমাত্র ভরসা। সিভিল হাসপাতালের মর্গে সারি সারি মৃতদেহ। বিস্ফোরণে মুখ এমন ঝলসে গিয়েছে যে কাউকে চেনা দায়। তাই ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া কোনও উপায় নেই দেহ শনাক্ত করার।
advertisement
advertisement
advertisement