Air India Crash Reason: অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ? এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনার আসল কারণ কি তবে জানা গেল? রইল বিস্তারিত
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Air India News: এই পরিণতি কখনই কাম্য ছিল না। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI 171-এর দুর্ঘটনা কেবল ভারতকেই নয়, গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এই এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটের একজন ছাড়া সমস্ত যাত্রী মারা গিয়েছেন। এই দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে এখন জল্পনা চলছে। কারণ খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে।
advertisement
প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞরা একটি বা উভয় ইঞ্জিনের ব্যর্থতাকেই কারণ হিসেবে বিবেচনা করলেও, অনেক সিনিয়র পাইলট এখন এটিকে 'বৈদ্যুতিক সিস্টেমের ব্যর্থতা' হিসাবে দেখছেন। আসলে, Boeing 787 একটি ‘মোর ইলেকট্রিক এয়ারক্রাফট’, যা ঐতিহ্যবাহী হাইড্রোলিক এবং নিউমেটিক সিস্টেমের পরিবর্তে একটি বৈদ্যুতিক সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এর উদ্দেশ্য ছিল বিমানটিকে হালকা এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী করা, কিন্তু এটিই কি এর দুর্বলতা হয়ে দাঁড়িয়েছে? (Photo: AP)
advertisement
ব্যাপারটা বুঝতে হলে ফ্লাইটে স্থাপিত VFSG সিস্টেমের বিষয়টা জানতে হবে। এটি আদতে বিমানের একটি সাবসিস্টেম। এটি ইঞ্জিন স্টার্টার এবং জেনারেটর উভয়েরই কাজ করে, যা বিমানে বৈদ্যুতিক শক্তি সরবরাহ করে। এখন বিশেষজ্ঞরা সন্দেহ করছেন যে, বিস্ফোরণের যে শব্দ শোনা গিয়েছিল সেটি এটির কারণেই হতে পারে। এর ফলে, হয় ইঞ্জিনে আরও বিদ্যুৎ সরবরাহ হত, নয়তো সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেত। পাইলটরা চাইলেও এই বিষয়ে কিছুই করতে পারতেন না। (Photo: AP)
advertisement
বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে ফেরা একমাত্র যাত্রী বলেছেন যে তিনি বিস্ফোরণের মতো শব্দ শুনেছেন। এটি ইঙ্গিত দেয় যে সম্ভবত একটি ইঞ্জিনে আংশিক বা সম্পূর্ণ ত্রুটি ছিল। কিন্তু বোয়িংয়ের মতো আধুনিক বিমানগুলি কেবল একটি ইঞ্জিনের ব্যর্থতার কারণে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে না। সে কারণেই প্রশ্ন জাগে, অন্য ইঞ্জিনটিও কি ত্রুটিপূর্ণ হয়েছিল? বোঝার চেষ্টা করা যাক যে বিমান দুর্ঘটনার আসল কারণ কী! (Photo: AP)
advertisement
এখনও পর্যন্ত কটি দুই-ইঞ্জিন বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে? যদি আমরা দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট বিমান দুর্ঘটনার ইতিহাস খতিয়ে দেখি, তাহলে এখনও পর্যন্ত মাত্র সাতটি ঘটনা সামনে এসেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই পাখির সঙ্গে ধাক্কা, ভুল করে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়া বা জ্বালানি সমস্যার সঙ্গে জড়িত। তবে, এই দুর্ঘটনায় পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা ইতিমধ্যেই উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে যে ভুল করে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়া না কি জ্বালানি সমস্যার কারণে বিমানটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছিল? (Photo: AP)
advertisement
বিস্ফোরণের শব্দটা আসলে কী ছিল? একজন সিনিয়র B787 পাইলট বলেছেন যে বিস্ফোরণের শব্দ ইঞ্জিন বন্ধ হওয়ার ইঙ্গিত দেয় ঠিকই, কিন্তু এটাও ভেবে দেখা দরকার কেন বিমানটি এত দ্রুত পড়ে গেল! এমন কি হতে পারে যে পাইলটরা ভুল করে সঠিক ইঞ্জিনটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন? অনেক পাইলট বলছেন যে প্রথম ৪০০ ফুটের জন্য কেবল পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা হয়। জ্বালানি কাট-অফের প্রক্রিয়াটিতে কিছুটা সময় লাগে এবং দুর্ঘটনাটি তার আগেই ঘটেছিল। কিছু পাইলট এই প্রশ্নও তুলছেন যে স্টার্টাল এফেক্ট-এর কারণে কি ভুল হয়েছে? (Photo: AP)
advertisement
advertisement
VFSG কেবল ইঞ্জিন চালু করতে সাহায্য করে না বরং উড়ানের সময় প্রধান বৈদ্যুতিক শক্তিও সরবরাহ করে। যদি VFSG ব্যর্থ হয়, তাহলে EEC (ইলেকট্রনিক ইঞ্জিন নিয়ন্ত্রণ - যা 'থ্রটল কম্পিউটার' নামেও পরিচিত) বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর ফলে ইঞ্জিন নিষ্ক্রিয় মোডে আটকে যেতে পারে এবং পাইলট চাইলেও থ্রাস্ট বাড়াতে পারবেন না। এপিইউ (অক্সিলারি পাওয়ার ইউনিট) এই ধরনের পরিস্থিতিতে সাহায্য করে, কিন্তু আরপিএমে পৌঁছাতে ৯০ সেকেন্ড সময় লাগে, AI 171-এর পুরো দুর্ঘটনাটি ৩২ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটেছিল, যার ফলে এপিইউ ব্যবহার করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। (Photo: AP)
advertisement
ডিজিসিএ-র প্রাথমিক নিরাপত্তা নির্দেশিকাগুলিও এই বিষয়টিই তুলে ধরছে যে বিমানের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায় কিছু সমস্যা ছিল যা ইঞ্জিনের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করেছিল। কিছু বিশেষজ্ঞ RAT (র্যাম এয়ার টারবাইন) স্থাপনের সম্ভাব্যতা নিয়েও কথা বলছেন। এটি একটি ছোট টারবাইন যা জরুরি পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। কিন্তু RAT শুধুমাত্র মৌলিক নিয়ন্ত্রণ প্রদান করে, অবতরণ করায় সাহায্য করতে পারে না। একটি কালো দাগের ছবি সামনে এসেছে, যা RAT-এর বাইরে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনার সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। (Photo: AP)
advertisement
অন্য দিকে, বিমান নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন অমিত সিং এই দুর্ঘটনার জন্য অতিরিক্ত মাল বোঝাইকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, যদি বিমানে বেশি মাল বোঝাই করা হয়, তাহলে রানওয়েতে দীর্ঘ উড়ান এবং ইঞ্জিন বিকল হওয়ার পর দুর্ঘটনা অনিবার্য। আবার, একজন সিনিয়র B777 পাইলট আরেকটি সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন- পাইলটরা ভুল করে জিরো ফুয়েল বেট দিয়েছিলেন, যার ফলে কম্পিউটারটি থ্রাস্টের জন্য ভুল হিসেব করেছিল। যখন দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তখন টেকঅফ থ্রাস্ট কম ছিল এবং বিমানটি সঠিকভাবে উড়তে পারেনি। (Photo: AP)