Vitamin: কোন 'ভিটামিন'-এর অভাবে ত্বকে 'বলিরেখা' পড়ে? ত্বক ঝুলে যায়? অল্পবয়সেই 'বুড়িয়ে' যাওয়া রুখতে ঝটপট জেনে নিন

Last Updated:
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু ভিটামিনের অভাবে ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়, অল্পবয়সেই ত্বক ঝুলে পড়ে
1/13
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে বলিরেখা পড়া বা ত্বক ঝুলে পড়া খুব স্বাভাবিক। বয়স বাড়লে কোষের কার্যক্ষমতা কমতে শুরু করে। ত্বক পাতলা হয়ে যায়। ত্বকের আর্দ্রতা ও স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায়। ত্বক ইলাস্টিসিটি হারায়। ফলে, ত্বকে বলিরেখা, ভাঁজ বা বিভিন্ন দাগ দেখা দেয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অল্প বয়সেই ত্বকে বলিরেখা বা ত্বক ঝুলে পড়েছে।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে বলিরেখা পড়া বা ত্বক ঝুলে পড়া খুব স্বাভাবিক। বয়স বাড়লে কোষের কার্যক্ষমতা কমতে শুরু করে। ত্বক পাতলা হয়ে যায়। ত্বকের আর্দ্রতা ও স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায়। ত্বক ইলাস্টিসিটি হারায়। ফলে, ত্বকে বলিরেখা, ভাঁজ বা বিভিন্ন দাগ দেখা দেয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অল্প বয়সেই ত্বকে বলিরেখা বা ত্বক ঝুলে পড়েছে।
advertisement
2/13
এটা কিন্তু শুধুমাত্র সৌন্দর্য সংক্রান্ত সমস্যা নয়। ফলে হাজার কসমেটিক্স ব্যবহার করেও কোনও ফল পাবেন না। এর আসল কারণ নীহিত শরীরের অন্দরে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু ভিটামিনের অভাবে ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়, অল্পবয়সেই ত্বক ঝুলে পড়ে।
এটা কিন্তু শুধুমাত্র সৌন্দর্য সংক্রান্ত সমস্যা নয়। ফলে হাজার কসমেটিক্স ব্যবহার করেও কোনও ফল পাবেন না। এর আসল কারণ নীহিত শরীরের অন্দরে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু ভিটামিনের অভাবে ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়, অল্পবয়সেই ত্বক ঝুলে পড়ে।
advertisement
3/13
গবেষণায় প্রমাণিত, শরীরে ভিটামিন বি-র ঘাটতি হলে ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। পাশাপাশি ঠোঁট ফেটে যায়, ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, ব্রণ ও র‍্যাশ দেখা দেয়।চিকিৎসকেরা বলছেন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ৮ রকম ভিটামিনের সমন্বয়ে তৈরি।
গবেষণায় প্রমাণিত, শরীরে ভিটামিন বি-র ঘাটতি হলে ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। পাশাপাশি ঠোঁট ফেটে যায়, ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, ব্রণ ও র‍্যাশ দেখা দেয়।চিকিৎসকেরা বলছেন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ৮ রকম ভিটামিনের সমন্বয়ে তৈরি।
advertisement
4/13
শরীরে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের ঘাটতি হলে ক্লান্তি লাগে। পুষ্টির অভাব দেখা দেয়, ফলে হঠাৎ করে ওজন কমে যেতে পারে। তা ছাড়া সারা শরীরে ব্যথা, পায়ে যখন-তখন ঝিঁ-ঝিঁ ধরে যাওয়া, মানসিক অবসাদের মতো সমস্যাও দেখা দেয়।
শরীরে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের ঘাটতি হলে ক্লান্তি লাগে। পুষ্টির অভাব দেখা দেয়, ফলে হঠাৎ করে ওজন কমে যেতে পারে। তা ছাড়া সারা শরীরে ব্যথা, পায়ে যখন-তখন ঝিঁ-ঝিঁ ধরে যাওয়া, মানসিক অবসাদের মতো সমস্যাও দেখা দেয়।
advertisement
5/13
শরীরে ভিটামিন বি-র ঘাটতির অন্যান্য লক্ষণগুলি হল-- শ্বাস নিতে অসুবিধা, ত্বক বিবর্ণ হয়ে যাওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, বুক ধরফর করা।
শরীরে ভিটামিন বি-র ঘাটতির অন্যান্য লক্ষণগুলি হল-- শ্বাস নিতে অসুবিধা, ত্বক বিবর্ণ হয়ে যাওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, বুক ধরফর করা।
advertisement
6/13
ভিটামিন বি হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, মানসিক অবসাদ কমায়, রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে, স্নায়ুকোষের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, ত্বক, চুল ও নখ ভাল রাখে। লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। হজমশক্তি বাড়ায়।
ভিটামিন বি হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, মানসিক অবসাদ কমায়, রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে, স্নায়ুকোষের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, ত্বক, চুল ও নখ ভাল রাখে। লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। হজমশক্তি বাড়ায়।
advertisement
7/13
প্রাণিজ খাবারে ভিটামিন বি বেশি থাকে। প্রাণিজ প্রোটিনের মধ্যে রেড মিট, মুরগির মাংস, সামুদ্রিক মাছ, দুধ, দই, ছানা ও ডিমে ভাল মাত্রায় এই ভিটামিন পাওয়া যায়। নিরামিষ খাবারের মধ্যে মাশরুম, ছোলা, পালংশাক, বিটে ভাল পরিমাণে ভিটামিন বি১২ থাকে।
প্রাণিজ খাবারে ভিটামিন বি বেশি থাকে। প্রাণিজ প্রোটিনের মধ্যে রেড মিট, মুরগির মাংস, সামুদ্রিক মাছ, দুধ, দই, ছানা ও ডিমে ভাল মাত্রায় এই ভিটামিন পাওয়া যায়। নিরামিষ খাবারের মধ্যে মাশরুম, ছোলা, পালংশাক, বিটে ভাল পরিমাণে ভিটামিন বি১২ থাকে।
advertisement
8/13
শরীরে ভিটামিন সি-র ঘাটতি হলে অল্পবয়সেই ত্বক ঝুলে যায়। কারণ, ভিটামিন সি ত্বকের একটি বিশেষ প্রোটিন কোলাজেন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কোলাজেন ত্বক টানটান রাখে। ভিটামিন সি-র ঘাটতি হলে ত্বকে কম পরিমাণে কোলাজেন তৈরি হয় এবং ত্বক ঝুলে পড়ে।
শরীরে ভিটামিন সি-র ঘাটতি হলে অল্পবয়সেই ত্বক ঝুলে যায়। কারণ, ভিটামিন সি ত্বকের একটি বিশেষ প্রোটিন কোলাজেন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কোলাজেন ত্বক টানটান রাখে। ভিটামিন সি-র ঘাটতি হলে ত্বকে কম পরিমাণে কোলাজেন তৈরি হয় এবং ত্বক ঝুলে পড়ে।
advertisement
9/13
ভিটামিন সি একটি জলে দ্রবণীয় পুষ্টি-পদার্থ যা সুস্থ থাকার জন্য অত্যত্ন গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের ইম্যিউনিটি বাড়ানোর শেষ-কথা ভিটামিন সি। পাশাপাশি কোলাজেন তৈরি, ক্ষত নিরাময় করে ভিটামিন সি। এটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা ফ্রি র‍্যাডিক্যালের হাত থেকে কোষকে বাঁচায়।
ভিটামিন সি একটি জলে দ্রবণীয় পুষ্টি-পদার্থ যা সুস্থ থাকার জন্য অত্যত্ন গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের ইম্যিউনিটি বাড়ানোর শেষ-কথা ভিটামিন সি। পাশাপাশি কোলাজেন তৈরি, ক্ষত নিরাময় করে ভিটামিন সি। এটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা ফ্রি র‍্যাডিক্যালের হাত থেকে কোষকে বাঁচায়।
advertisement
10/13
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন নিয়মিত ভিটামিন সি খেতে। এই ভিটামিনটি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করতে যেমন সাহায্য করে, তেমনই ওজন কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। শরীরে ভিটামিন সি-র অভাবে ইম্যিউনিটি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি স্কার্ভির মত রোগ-ও হতে পারে।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন নিয়মিত ভিটামিন সি খেতে। এই ভিটামিনটি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করতে যেমন সাহায্য করে, তেমনই ওজন কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। শরীরে ভিটামিন সি-র অভাবে ইম্যিউনিটি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি স্কার্ভির মত রোগ-ও হতে পারে।
advertisement
11/13
বেশ কিছু সবজি ও ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। প্রতিদিন পাতিলেবু বা আমলকি খেলে শরীর প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পায়। ব্রকোলি, ক্যাপসিকাম ও কাঁচা ও পাকা পেঁপেতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।
বেশ কিছু সবজি ও ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। প্রতিদিন পাতিলেবু বা আমলকি খেলে শরীর প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পায়। ব্রকোলি, ক্যাপসিকাম ও কাঁচা ও পাকা পেঁপেতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।
advertisement
12/13
The Institute of Medicine (IOM)-এর গাইডলাইন অনুযায়ী, ১-৩ বছর বয়সী শিশুদের গড়ে রোজ ১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। ৪-৮ বছর বয়সী শিশুদের গড়ে রোজ ২৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। ৯-১৩ বছর বয়সীদের গড়ে রোজ ৪৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। ১৪-১৮ বছর বয়সীদের গড়ে রোজ ৬৫-৭৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত।
The Institute of Medicine (IOM)-এর গাইডলাইন অনুযায়ী, ১-৩ বছর বয়সী শিশুদের গড়ে রোজ ১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। ৪-৮ বছর বয়সী শিশুদের গড়ে রোজ ২৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। ৯-১৩ বছর বয়সীদের গড়ে রোজ ৪৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। ১৪-১৮ বছর বয়সীদের গড়ে রোজ ৬৫-৭৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত।
advertisement
13/13
১৯ বছর বা তার বেশি বয়সী মেয়েদের রোজ ৭৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। ১৯ বছর বা তার বেশি বয়সী ছেলেদের রোজ ৭৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। গর্ভবতীদের রোজ গড়ে ৮৫ মিলিগ্রাম ও স্তন্যপান করানোর সময় মায়েদের রোজ গড়ে ১২০ গ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত।
১৯ বছর বা তার বেশি বয়সী মেয়েদের রোজ ৭৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। ১৯ বছর বা তার বেশি বয়সী ছেলেদের রোজ ৭৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। গর্ভবতীদের রোজ গড়ে ৮৫ মিলিগ্রাম ও স্তন্যপান করানোর সময় মায়েদের রোজ গড়ে ১২০ গ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত।
advertisement
advertisement
advertisement