তেলাপিয়া মাছ খাওয়া কি সত্যিই 'ক্ষতিকর'? কোন বিষাক্ত উপাদান যাচ্ছে শরীরে? জেনে নিন চিকিৎসকদের মতামত

Last Updated:
বিতর্কের শেষ নেই। কেউ ভালবাসেন তেলাপিয়া মাছ খেতে, কেউ সহ্যই করতে পারেন না। তেলাপিয়া মাছ খাওয়া কি ক্ষতিকর? চিকিৎসকরা জানালেন সত্যিটা।
1/9
তেলাপিয়া মাছ নিয়ে দেশে-বিদেশে বিতর্ক কম নেই। অনেকেই বলেন এটি পুষ্টিকর, আবার অনেকে একেবারেই এড়িয়ে চলেন। প্রশ্ন হচ্ছে—তেলাপিয়া কি সত্যিই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?
তেলাপিয়া মাছ নিয়ে দেশে-বিদেশে বিতর্ক কম নেই। অনেকেই বলেন এটি পুষ্টিকর, আবার অনেকে একেবারেই এড়িয়ে চলেন। প্রশ্ন হচ্ছে—তেলাপিয়া কি সত্যিই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?
advertisement
2/9
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিকভাবে চাষ করা হলে তেলাপিয়া মোটেই ক্ষতিকর নয়। বরং এতে থাকে প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন বি-১২, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১২০টি দেশে তেলাপিয়ার চাষ হয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, তেলাপিয়া মাছে থাকে দেহের প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন বি-১২, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১২০টি দেশে তেলাপিয়ার চাষ হয়।
advertisement
3/9
তবে বেশিরভাগ অসাধু ব্যবসায়ীরা এই মাছকে অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় বেড়ে তুলছে। ফলে পুষ্টির পরবর্তে এই মাছ খেলে শরীরে ঢুকছে নানা ক্ষতিকর পদার্থ।
তবে বেশিরভাগ অসাধু ব্যবসায়ী তেলাপিয়া মাছকে অস্বাস্থ্যকর ভাবে বড় করে তুলছে। ফলে পুষ্টির পরবর্তে এই মাছ খেলে শরীরে ঢুকছে নানা ক্ষতিকর পদার্থ। 
advertisement
4/9
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ এই মাছকে “ট্র্যাশ ফিশ” বা আবর্জনা মাছ বলেন। কারণ, এটি শেওলা, উচ্ছিষ্ট খাবার কিংবা দূষিত খাদ্য খেয়ে দ্রুত বেড়ে ওঠে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ এই মাছকে “ট্র্যাশ ফিশ” বা আবর্জনা মাছ বলেন। কারণ, এটি শেওলা, উচ্ছিষ্ট খাবার কিংবা দূষিত খাদ্য খেয়ে দ্রুত বেড়ে ওঠে।
advertisement
5/9
অসাধু ব্যবসায়ীরা মাছকে বেড়ে তুলতে ব্যবহার করেন নানা ধরনের রাসায়নিক ও দূষিত খাদ্য। অনেক সময় হাঁস, শূকর বা মুরগির দেহাবশেষ পর্যন্ত ব্যবহার করা হয় মাছের খাবার হিসেবে। পরীক্ষায় এই মাছে ডিবিউটিলিন ও ডাইঅক্সিন নামের ক্ষতিকর রাসায়নিকও পাওয়া গেছে। ডিবিউটিলিন প্লাস্টিক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, আর মানবদেহে প্রবেশ করলে স্থূলতা, হাঁপানি, অ্যালার্জি এবং নানা বিপাকীয় সমস্যার কারণ হতে পারে। ডাইঅক্সিন আরও মারাত্মক—এটি শরীরে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
অসাধু ব্যবসায়ীরা মাছকে বেড়ে তুলতে ব্যবহার করেন নানা ধরনের রাসায়নিক ও দূষিত খাদ্য। অনেক সময় হাঁস, শূকর বা মুরগির দেহাবশেষ পর্যন্ত ব্যবহার করা হয় মাছের খাবার হিসেবে। পরীক্ষায় এই মাছে ডিবিউটিলিন ও ডাইঅক্সিন নামের ক্ষতিকর রাসায়নিকও পাওয়া গেছে। ডিবিউটিলিন প্লাস্টিক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, আর মানবদেহে প্রবেশ করলে স্থূলতা, হাঁপানি, অ্যালার্জি এবং নানা বিপাকীয় সমস্যার কারণ হতে পারে। ডাইঅক্সিন আরও মারাত্মক—এটি শরীরে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
advertisement
6/9
ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ বলেন,“তেলাপিয়া মাছ প্রোটিন, ভিটামিন বি-১২, পটাশিয়াম ও ফসফরাসের ভালো উৎস। তবে সমস্যা হলো এর চাষপদ্ধতিতে। পরিষ্কার জল ও সঠিক খাদ্য ব্যবহার করা হলে এই মাছ একেবারেই ক্ষতিকর নয়। কিন্তু অনেক অসাধু ব্যবসায়ী দ্রুত বাড়ানোর জন্য রাসায়নিক ও দূষিত খাবার ব্যবহার করেন, যেটি বড় ঝুঁকি তৈরি করে।”
ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ বলেন, “তেলাপিয়া মাছ প্রোটিন, ভিটামিন বি-১২, পটাশিয়াম ও ফসফরাসের ভালো উৎস। তবে সমস্যা হলো এর চাষপদ্ধতিতে। পরিষ্কার জল ও সঠিক খাদ্য ব্যবহার করা হলে এই মাছ একেবারেই ক্ষতিকর নয়। কিন্তু অনেক অসাধু ব্যবসায়ী দ্রুত বাড়ানোর জন্য রাসায়নিক ও দূষিত খাবার ব্যবহার করেন, যেটি বড় ঝুঁকি তৈরি করে।”
advertisement
7/9
ভারতের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (AIIMS)-এর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. অমৃতা সেন বলেন,“বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে, কিছু তেলাপিয়ায় ডিবিউটিলিন ও ডাইঅক্সিন নামক ক্ষতিকর রাসায়নিক পাওয়া যায়। ডিবিউটিলিন শরীরে প্রবেশ করলে অ্যালার্জি, হাঁপানি ও স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়। আর ডাইঅক্সিন হলো ক্যানসারের বড় কারণ। তাই অজানা উৎস থেকে তেলাপিয়া কেনা একেবারেই নিরাপদ নয়।”
ভারতের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (AIIMS)-এর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. অমৃতা সেন বলেন, “বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে, কিছু তেলাপিয়ায় ডিবিউটিলিন ও ডাইঅক্সিন নামক ক্ষতিকর রাসায়নিক পাওয়া যায়। ডিবিউটিলিন শরীরে প্রবেশ করলে অ্যালার্জি, হাঁপানি ও স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়। আর ডাইঅক্সিন হলো ক্যানসারের বড় কারণ। তাই অজানা উৎস থেকে তেলাপিয়া কেনা একেবারেই নিরাপদ নয়।”
advertisement
8/9
চিকিৎসকের পরামর্শচিকিৎসকরা সর্বসম্মতভাবে বলছেন—

তেলাপিয়া খেতে চাইলে কেবলমাত্র বিশ্বস্ত উৎস থেকে কেনা মাছ খাবেন।

রাসায়নিক বা দূষিত পরিবেশে চাষ করা মাছ এড়িয়ে চলতে হবে।

বিকল্প হিসেবে স্থানীয় ও সমুদ্রের মাছ খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।
অর্থাৎ, চিকিৎসকরা সর্বসম্মতভাবে বলছেন— তেলাপিয়া খেতে চাইলে কেবলমাত্র বিশ্বস্ত উৎস থেকে কেনা মাছ খাবেন। রাসায়নিক বা দূষিত পরিবেশে চাষ করা মাছ এড়িয়ে চলতে হবে। বিকল্প হিসেবে স্থানীয় ও সমুদ্রের মাছ খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।
advertisement
9/9
তেলাপিয়া খাওয়া একেবারে ক্ষতিকর নয়, তবে কোথায় ও কীভাবে চাষ হয়েছে, সেটিই আসল ব্যাপার। নিরাপদ পরিবেশে চাষ করা হলে এই মাছ পুষ্টিকর ও উপকারী, কিন্তু অজানা উৎস বা রাসায়নিক দিয়ে চাষ করা তেলাপিয়া শরীরের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
তেলাপিয়া খাওয়া একেবারে ক্ষতিকর নয়, তবে কোথায় ও কীভাবে চাষ হয়েছে, সেটিই আসল ব্যাপার। নিরাপদ পরিবেশে চাষ করা হলে এই মাছ পুষ্টিকর ও উপকারী, কিন্তু অজানা উৎস বা রাসায়নিক দিয়ে চাষ করা তেলাপিয়া শরীরের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
advertisement
advertisement
advertisement