Small Fishes: এই ৭ ছোট মাছে লাখ টাকার 'ওষুধ',প্রোটিন-ক্যালসিয়ামের খনি,হার্ট থেকে ব্রেন,লিভার থেকে কিডনির অসুখ ধারেকাছে ঘেঁষবে না
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
Last Updated:
বড় মাছের তুলনায় ছোট মাছ খাওয়ার উপকারিতা বেশি। পুঁটি, মৌরলা, কাচকি, ফলুই, ট্যাংরার মতো ছোট মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই প্রোটিন, ভিটামিন, প্রয়োজনীয় খনিজ, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর
 মাছ খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না! হার্ট ভাল রাখে,মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। গবেষণায় প্রমাণিত, রোজের খাদ্যতালিকায় মাছ থাকা মানে আপনি দীর্ঘদিন সুস্থ থাকবেন। healthline ওয়েবসাইট-এর তথ্য বলছে, মাছ পৃথিবীর সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্যগুলোর মধ্যে একটি। এতে প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।Image: News18
advertisement
 মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাল উৎস, যা আপনার শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে বড় মাছের তুলনায় ছোট মাছ খাওয়ার উপকারিতা বেশি। পুঁটি, মৌরলা, কাচকি, ফলুই, ট্যাংরার মতো ছোট মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই প্রোটিন, ভিটামিন, প্রয়োজনীয় খনিজ, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। আর কী কী কারণে রোজের পাতে ছোট মাছ রাখবেন? জানাচ্ছেন চিকিৎসক দীপঙ্কর ঘোষImage: News18
advertisement
 রাইখোর--চিকিৎসক দীপঙ্কর ঘোষ জানান, রাইখোর মাছে ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক, আয়োডিন, পটাশিয়াম এবং সেলেনিয়াম-সহ বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে, যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সঠিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করে। রাইখোর মাছে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রাইখোর মাছে থাকা পুষ্টি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-এর কারণে এটি হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।রাইখোর মাছে ক্যালোরির পরিমাণ থাকে খুবই কম। যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত, তাঁরা ডায়েটে এই মাছ খেতে পারেন। স্ট্রোক প্রতিরোধেও রাইখোর মাছের উল্লেখ রয়েছে।Image: News18
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
 ট্যাংরা-- চিকিৎসক কৌশিক সেনগুপ্ত বলেন, এই মাছে বিরল ধরনের ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এছাড়াও আছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। ১০০ গ্রাম ট্যাংরা মাছ থেকে ১৪৪ ক্যালরি শক্তি মিলবে। এই মাছে আছে প্রোটিন ১৯.২ গ্রাম, চর্বি ৬.৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭০ মিলিগ্রাম, আয়রন ২ মিলিগ্রাম। অ্যানিমিয়ার রোগীদের ট্যাংরা মাছ খাওয়া উচিত। ওজন কমাতে চাইলে ট্যাংরা মাছের হালকা-পাতলা ঝোল খেতে পারেন। এছাড়াও ক্যান্সার থেকে অনেকাংশে রেহাই পাওয়া যায় এই মাছ খেলে। শুধু তাই নয়, গর্ভবতী মহিলারা এই মাছ খেলে শরীর পর্যাপ্ত প্রোটিন পায়। হার্টের জন্যও খুব উপকারী এই মাছ। ক্যালসিয়ামে ভরপুর বলে দাঁত ও হাড় মজবুত করে। চোখে সমস্যায় ভুগলে চিকিৎসকরা ট্যাংরা মাছ খেতে বলেন। বিশেষ করে মাছের চামড়া বা তেল চোখের জন্য খুবই ভাল। এই মাছের পুষ্টি উপাদান চোখ ভাল রাখে, রেটিনা সুস্থ্য রাখে এবং ড্রাই আইজ বা চোখের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন ট্যাংরা মাছ খেতে বলেন বিশেষজ্ঞর। তবে ডিম ভরা বড় ট্যাংরা নয় কিন্তু। ছোট দেশি ট্যাংরাতে থাকে ভরপুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও আয়রন।Image: News18

