Sabudana: সাদা মুক্তোর মতো দেখতে এই দানা খুব জনপ্রিয় খাবার! কী ভাবে তৈরি হয় জানেন?
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
How Sabudana is made: নবরাত্রি বা দুর্গা পুজোর সময় উপবাস পালনকারী লোকেরা ব্যাপকভাবে সাবু ব্যবহার করে। সাবুর দানার ব্যবহার একাধিক জায়গায় করা হয়৷ খিচুড়ি থেকে শুরু করে পকোড়া, টিক্কি পর্যন্ত জিনিস খাওয়া হয়। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে সাবুদানা কী থেকে তৈরি হয়? এই জিনিসটি দেখতে মুক্তোর মতো, গোলাকার৷ এটি কোথায় উৎপন্ন হয় জানুন৷
আপনি যদি ইন্টারনেটে সাবুর ব্যাপারে খোঁজ করেন,তাহলে বেশিরভাগ জায়গায় আপনি 'সাগো পাম' গাছের উল্লেখ পাবেন৷ এটা দেখতে অনেকটা তাল গাছের মতো। প্রকৃতপক্ষে, সাগো পাম একটি গাছ নয়, এমন একটি গাছের দল, যার কাণ্ড থেকে স্টার্চ জাতীয় কিছু বের হয়। তারপর তা শুকিয়ে পরিষ্কার করে বিভিন্ন ধরনের খাবারে ব্যবহার করা হয়। এই স্টার্চকেই এরপর একটি গোলাকার আকৃতি দেওয়া হয়, যা দেখতে সাবু দানার মতোই৷ তবে একটা ভুল ধারণা রয়েছে, সাবু না কি খেজুর থেকে তৈরি হয়।
advertisement
সাবু দানা কী থেকে তৈরি হয়? - সাবু তৈরি হয় টেপিওকা নামক একটি মূলের থেকে৷ এটা দেখতে অনেকটা মিষ্টি আলুর মতো। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ট্যাপিওকা বিভিন্ন নামে পরিচিত এটি। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপের কিছু দেশে এটি কাসাভা নামে পরিচিত। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলিতে এটিকে 'ম্যান্ডিওকা' বলা হয়, আফ্রিকান দেশগুলিতে এটিকে 'ম্যানিওক' বলা হয় এবং স্প্যানিশ ভাষী দেশগুলিতে এটিকে 'ইউকা' বলা হয়। এশিয়ার বেশিরভাগ দেশে একে ট্যাপিওকা বলা হয়।
advertisement
advertisement
ভারতে সাবু দানা প্রধানত পাঁচ প্রকারের পাওয়া যায়। প্রথমত, শ্রী জয়া - এটি একটি প্রাথমিক জাত যা সাত মাসে পাকে। দ্বিতীয় - শ্রী বিজয়া - এটি একটি প্রাথমিক জাত যা ৬-৭ মাসে পাকে। তৃতীয় - শ্রী হর্ষ - এটি দশ মাসে পাকে, চতুর্থ - নিধি - এটি একটি প্রাথমিক জাত যা সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় মাসে পাকে এবং পঞ্চম - ভেল্লায়ানি হর্ষ - এটি একটি জাত যা ৫-৬ মাসে পাকে।
advertisement
ট্যাপিওকা বা সাবু দানা কীভাবে ভারতে পৌঁছেছিল? বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবু দানার উৎপত্তি দক্ষিণ ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে। বিশেষ করে গুয়াতেমালা, মেক্সিকো, পেরু, প্যারাগুয়ে এবং হন্ডুরাসের মতো দেশে। অন্তত পাঁচ হাজার বছর আগে থেকে এখানে সাবু দানা ব্যবহৃত হয়েছে। পর্তুগিজ ব্যবসায়ীরা এটি ১৫ শতকে আফ্রিকা মহাদেশে নিয়ে আসে। তারপর এটি ১৭ শতকে এশিয়ায় পৌঁছায়। বিশেষজ্ঞের মতে, পর্তুগিজ ব্যবসায়ীরা ১৭ শতকে তাদের সাথে এটি ভারতে নিয়ে আসে। প্রথমে তা পৌঁছেছিল দক্ষিণ ভারতে। কেরালায় এর চাষ শুরু হয়।
advertisement
সারা বিশ্বে দুই ধরনের ট্যাপিওকা পাওয়া যায়। প্রথমটি হল মিষ্টি সাবু দানা যা সাধারণত মানুষের জন্য ভোজ্য। দ্বিতীয়টি হল বিটার ট্যাপিওকা যাতে প্রচুর হাইড্রো সায়ানিক অ্যাসিড থাকে। মানুষ বা প্রাণী সরাসরি খেতে পারে না। অনেক পরিমার্জন করার পরে, এটি চিপস থেকে শুরু করে পেলেট এবং অ্যালকোহল পর্যন্ত সবকিছুতে ব্যবহৃত হয়।
advertisement
দুর্ভিক্ষে কীভাবে জীবন রক্ষা হয়েছিল? ১৮০০ সালের দিকে ত্রিবাঙ্কুরে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। খাদ্য ও পানীয়ের অভাব ছিল। শস্যের দোকান শূন্য হয়ে পড়ে। এ কারণে রাজা আয়িলিয়াম থিরুনাল রামা বর্মা চিন্তিত হয়ে পড়েন। তিনি তার উপদেষ্টাদের বিকল্প খাবারের ব্যবস্থা করতে বলেন। এরপর ত্রিবাঙ্কুরের উদ্ভিদবিদরা আবিষ্কার করেছিলেন যে সাবু দানা খাওয়া যেতে পারে। এর পর তা বিভিন্নভাবে মানুষকে দেওয়া শুরু হয়। তারপর ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।