Phobia: আচমকা ভয় লাগে, মনে হয় মরে যাব? আপনি ক্লস্ট্রোফোবিয়ায় ভুগছেন না তো? মারাত্মক ক্ষতির আগে অবশ্যই জানুন

ফোবিয়া বা ভীতি হল এক ধরনের মানসিক রোগ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত পুরুষের তুলনায় মহিলাদের এই রোগ বেশি লক্ষ্য করা যায়। নানা কারণে মানুষ ভয় পান। যেমন, অনেকে উঁচু পাহাড়ে উঠতে ভয় পান, আবার অনেকে গাড়িতে চড়তে ভয় পান। অনেকে বদ্ধ জায়গায় থাকতে ভয় পান। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)

সাধারণ চোখে দেখলে এটি অদ্ভুত মনে হলেও, এটি মানসিক রোগ। কখনও কখনও এটি কোনও ব্যক্তির জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

যে সব মানুষেরা উচ্চতা থেকে ভয় পান তাকে বলে অ্যাক্রোফোবিয়া। অনেকে আবার মহাকর্ষের ভয় পান, সেটি পরিচিত বারোফোবিয়া নামে। ভালবাসার ভয়কে বলে ফিলোফোবিয়া।

বদ্ধ জায়গার ভীতি বা ক্লস্ট্রোফোবিয়া-- এই ফোবিয়াতে ভুগলে সবসময় কোথাও আটকে যাওয়ার ভয় থাকে। মনে হয় দম বন্ধ হয়ে যাবে। তারা জানালা-দরজা খোলা রাখেন। অপরিচিত জায়গায় বা লিফটে ভয় পান।

অন্ধকারের ভীতি অ্যাক্লুওফোবিয়া, কম্পিউটারের ভীতি সাইবারফোবিয়া, সূঁচের ভয় আইচমোফোবিয়া, ব্যাকটেরিয়ার ভয় ব্যাকটিরিওফোবিয়া। কুকুরের ভয় সাইনোফোবিয়া, বিড়ালের ভয় এলুরোফোবিয়া, মাকড়সার ভয় আরাকনোফোবিয়া, ব্যথার ভয়কে অ্যালগোফোবিয়া বলে।

তুষার পাতের ভয় কিয়নোফোবিয়া, বজ্রের ভীতি অ্যাস্ট্রোফোবিয়া, স্পর্শ করার ভয় অ্যাফেনফোস্ফোবিয়া, ব্যর্থতার ভয় অ্যাটিচিফোবিয়া, বৃষ্টির ভয় অম্ব্রফোবিয়া, বই পড়ায় ভয় বিবলিওফোবিয়া নামে পরিচিত।

ফুলের ভয় অ্যানথ্রোফোবিয়া, গাছের ভীতি ডেনড্রোফোবিয়া, পতঙ্গের ভীতি এন্টোমোফোবিয়া, সাপের ভয় ওপিডিওফোবিয়া, সংখ্যার ভয় এরিথমোফোবিয়া, দুর্ঘটনার ভয় ডিসস্টাইফোবিয়া, গাড়ীতে চড়ার ভয় অ্যামাক্সোফোবিয়া।

পুরুষের ভীতি অ্যান্ড্রোফোবিয়া, মহিলাদের ভয় গাইনোফোবিয়া, প্রকাশ্যে কথা বলার ভয় গ্লোসোফোবিয়া, রক্তের ভয় হিমোফোবিয়া, ঘরে থাকার ভয় ডোমাটোফোবিয়া, সিঁড়িতে চাপার ভয় বাথমোফোবিয়া, বিয়ের ভয় গ্যামোফোবিয়া।

রান্নার ভীতি ম্যাজিরোকোফোবিয়া, জলের ভয় হাইড্রোফোবিয়া, স্কুলে যাওয়ার ভীতি স্কোলিওনোফোবিয়া, ডাক্তারের ভয় আইট্রোফোবিয়া, পাখির ভয় অরনিথোফোবিয়া, পশুদের ভয় জুফোবিয়া। আগুনের ভয় পাইরোফোবিয়া। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)