Health Risk: এই বাদামে পাকস্থলীর সর্বনাশ, ডেকে আনবে অনিবার্য মৃত্যু! না বুঝে খেলেই মারাত্মক প্রাণ সংশয়, খুব সাবধান

অনেকেই এই ছোট্ট বাদাম খান, শরীরে পুষ্টি জোগান হিসেবে৷ খেতে ভাল, উপকারও৷ তবে...জানতে হবে আপনার জন্য ভাল কী না৷ মানে আপনার শরীরে এই বাদাম সহ্য হবে কী না তা জেনে নিন৷ না হলে বড় বিপদ ঘটিয়ে ফেলবেন, যা থেকে মৃত্যও হতে পারে৷

চিনাবাদাম খাওয়ার উপকারিতা কি ? এটি এমন একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য আইটেম, যা প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার এবং ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি বড় উৎস। চিনাবাদাম খাওয়া শরীরে শক্তি জোগায় এবং অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগকে দূরে রাখতেও সহায়ক।

তবে আপনার চিনা বাদামে অ্যালার্জি থাকলে সর্বনাশ৷ না জেনে কখনও এই বাদাম খাওয়ার পর প্রথম আপনার পেট ভার ভার লাগতে পারে৷ কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে শরীরে প্রতিক্রিয়া৷ মানে ধরুন কারও ভয়ঙ্কর রকমের পেটে কামড় শুরু হতে পারে৷ কারও আবার হতে পারে পেট খারাপ, এমনকী ডায়রিয়া৷ আবার কারও হতে পারে বমি৷ এতটাই বাড়াবাড়ি হতে পারে যে পিত্ত বমি বা রক্ত বমি পর্যন্ত হতে পারে৷ যার চিকিৎসা বাড়িতে অসম্ভব৷ একে পিনাট অ্যালার্জি বলে৷

তবে এত উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও চিনাবাদাম আপনার জন্য ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে৷ এমনকী প্রাণ সংশয় পর্যন্ত হতে পারে৷ যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের এই বাদামে দম বন্ধ বা চোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ অ্যালার্জিযুক্ত ব্যক্তিদের যে কোনও মূল্যে চিনাবাদাম খাওয়া এড়ানো উচিত। কারণ এতে তাদের গলা ব্যথা, ত্বকের সমস্যা, হজমের সমস্যা, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হতে পারে।

২. সোডিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়অনেক ধরনের চিনাবাদামে লবণ এবং গন্ধ থাকে যা আপনার রক্তচাপকে প্রভাবিত করতে পারে। লবণযুক্ত চিনাবাদাম আপনার শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বাড়াতে পারে। রক্তচাপ এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য সোডিয়াম গ্রহণের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। অত্যধিক সোডিয়াম আপনার স্বাস্থ্যে নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।

৩. ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিডের ভারসাম্যহীনতাওমেগা একটি অপরিহার্য পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা প্রাথমিকভাবে আপনার শরীরে শক্তি জোগায়। আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হওয়ার জন্য ওমেগা -৬ এবং ওমেগা -৩ এর সংমিশ্রণ এবং সঠিক ভারসাম্য থাকা দরকার। চিনাবাদামে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাব রয়েছে।

১. চিনাবাদামের অ্যালার্জিজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চিনাবাদামের প্রতিক্রিয়াগুলি খুব অল্প পরিমাণেও অপ্রত্যাশিত হতে পারে। এটি আপনার শরীরের ইমিউন সিস্টেমে প্রোটিনকে ক্ষতিকারক হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার ফলে ঘটে এবং বিভিন্ন সমস্যাগুলিকে ট্রিগার করতে পারে। চিনাবাদামে অ্যালার্জির কারণে নাক দিয়ে জল পড়া, ত্বকের প্রতিক্রিয়া, যেমন চুলকানি, আমবাত, লালচেভাব বা ফোলাভাব, মুখ ও গলায় শিহরণ এবং হজমের সমস্যা হতে পারে।

৩. ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিডের ভারসাম্যহীনতাওমেগা একটি অপরিহার্য পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা প্রাথমিকভাবে আপনার শরীরে শক্তি জোগায়। আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হওয়ার জন্য ওমেগা -৬ এবং ওমেগা -৩ এর সংমিশ্রণ এবং সঠিক ভারসাম্য থাকা দরকার। চিনাবাদামে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাব রয়েছে।

৪. চিনাবাদামে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকেখুব বেশি চিনাবাদাম খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ কারণ এতে উচ্চমাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। উচ্চ মাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাটের কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ধমনী আটকে যাওয়া, হজমের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত জটিলতার মতো সমস্যা হতে পারে। খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা কমিয়ে হার্টের সমস্যার ঝুঁকিও কমাতে পারে।

৫. চিনাবাদাম ওজন বাড়াতে পারেআপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যে অবদান রাখা সত্ত্বেও, চিনাবাদাম তাদের উচ্চ ক্যালোরি সামগ্রীর কারণে ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। আপনি যদি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন তবে ক্যালোরি আপনার পক্ষে ভাল নয়। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের জন্য চিনাবাদাম খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। ওজন বেড়ে যাওয়া কারো জন্যই স্বাস্থ্যকর নয়।

চিনাবাদাম সস্তা বাদাম হিসাবে বিবেচিত হয়। এটিতে সেই সমস্ত উপাদান এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা দামী বাদামে পাওয়া যায়। সহজলভ্য এই বাদামের পুষ্টির উপর অনেকেরই ভরসা৷