Parenting Tips: বাড়ির বড় মেয়েরাই একমাত্র শিকার! 'এলডার ডটার সিনড্রোম' কী? পরিণতি মারাত্মক হওয়ার আগে জানুন
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Parenting Tips: 'এলডার ডটার সিনড্রোম', কোনওদিন শুনেছেন এই কথাটি? ছোট করে বললে 'ইডিএস'। কী হয় এই রোগে জেনে নিন...
'এলডার ডটার সিনড্রোম', কোনওদিন শুনেছেন এই কথাটি? ছোট করে বললে 'ইডিএস'। এমন এক পারিবারিক ভূমিকা, যা পরিবারের বড় মেয়েরা অনেক সময় নিজের অজান্তেই শৈশব থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়ে থাকেন। এবং এটি এক ধরনের মানসিক রোগ। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
advertisement
advertisement
তাই প্রথম দিকে মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসাও করা হয় না। যার ভবিষ্যৎ পরিণতি হতে পারে মারাত্মক। এমনই একটি অসুখ হল, এল্ডার ডটার সিনড্রোম। পরিবারের বড় মেয়েটি কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাবেন, তা পারিবারিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যক্তিগত কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে। এবং এটিই ধীরে ধীরে মনে গভীর ক্ষত তৈরি করে বসে অজান্তেই।
advertisement
কী এই 'এলডার ডটার সিনড্রোম'? নিজের অজান্তেই গৃহস্থের কাছে মায়ের সাহায্য করা থেকে ছোটো ভাই-বোনদের দেখাশোনা করার মতো অনেক কাজ করে। আবার আর্থিকভাবে পরিবার পিছিয়ে থাকলে বয়স বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে সংসারে আর্থিক দায়িত্ব, এমনকি চাকরি করে ছোট বোনকে বিয়ে দেওয়া বা ভাইয়ের কেরিয়ার গড়ে তোলার গুরু দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়।
advertisement
যার ফলে অকালেই নিজের শৈশব হারিয়ে ফেলে শিশুকন্যাটি। তারপর ভবিষ্যতে অবসাগগ্রস্ত, খিটখিটে প্রকৃতির হয়ে পড়ে, গ্রাস করে একাকীত্ব। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, এল্ডার ডটার সিনড্রোমের প্রধান কারণ, ভুল অভিভাবকত্ব। বাবা-মায়েরা নিজেদের কাজ সহজ করে তুলতে, আবার কখনও বড় সন্তানকে দায়িত্বশীল করে তুলতে গিয়ে তাদের উপর অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেন।
advertisement
advertisement
advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, বড় সন্তানের বিষয়ে অভিভাবকের বেশি যত্নশীল হওয়া জরুরি। ভুল করেও শিশুদের প্রতি বৈষম্য করা উচিত নয়। অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপিয়ে না দিয়ে শৈশব উপভোগ করতে দেওয়া জরুরি। প্রয়োজনে অবশ্যই মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে। নয়তো এই মানসিক ব্যাধি ধীরে ধীরে মারণ থাবাও বসাতে পারে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)







