Milk For Diabetes: ডায়াবেটিস রোগীদের কি আদৌ দুধ খাওয়া উচিত? খেলেই চড়চড়িয়ে বাড়বে Blood Sugar লেভেল? জেনে নিন কী বলছেন বিজ্ঞানীরা

বর্তমান দ্রুততার যুগে প্ৰায় প্রতিটি ঘরে ঘরে ঢুকে গিয়েছে ডায়াবেটিসের মতো 'লাইফস্টাইল' ডিজিজ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের নিতে হয় বেশ কিছু সতর্কতা।

বর্তমান দ্রুততার যুগে প্ৰায় প্রতিটি ঘরে ঘরে ঢুকে গিয়েছে ডায়াবেটিসের মতো 'লাইফস্টাইল' ডিজিজ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের নিতে হয় বেশ কিছু সতর্কতা। কারণ রক্তে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পরে। তাই এক্ষেত্রে রোগীদের জীবনের নানা নিয়মিত অভ্যাস যেমন বদলাতে হয়, তেমনই খাবারের প্রতিও বিশেষ যত্ন নিতে হয়।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও দৈনন্দিন জীবনধারায় কিছু পরিবরতন এনে ডায়াবেটিসের জটিলতা এড়াতে পারেন। স্বাস্থ্যকর খাদ্য মানে কম চর্বি এবং বেশি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারই এই রোগের জন্য উপযুক্ত।

এই ধরনের ডায়েট গ্রহণ করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে না। ডায়াবেটিস রোগীদের সাধারণত রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার জন্য কম জিআইযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

বিভিন্ন ধরনের হোল গ্রেইন খাবার, সবুজ শাক, চর্বিহীন প্রোটিন, বাদাম এবং বীজ সবই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভাল বলে মনে করা হয়। কিন্তু ডায়াবেটিসে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার কী খাওয়া উচিত? এই প্রশ্ন নিয়ে অনেকেরই মনে সন্দেহ রয়েছে। এগুলি আদৌ সুগার রোগীদের জন্য সঠিক কিনা তা নিয়ে দ্বিধা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন ওঠে দুধ নিয়ে। প্রশ্ন ওঠে ডায়াবেটিস রোগীদের দুধ পান করা উচিত কিনা?

দুধে চর্বি থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে, তবে এতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানও রয়েছে, যা রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে বাড়ায় ইমিউনিটি। আসুন আজ এই প্রতিবেদনে জেনে নিই সুগার রোগীদের জন্য দুধ সঠিক বিকল্প কি না?

দুধে চর্বি থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে, তবে এতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানও রয়েছে, যা রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে বাড়ায় ইমিউনিটি। আসুন আজ এই প্রতিবেদনে জেনে নিই সুগার রোগীদের জন্য দুধ সঠিক বিকল্প কি না?

diabetes.org.uk-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুধ একটি পুষ্টিকর খাদ্য এবং ডায়াবেটিস রোগীরা যদি দুধ পান করতে চান, তাহলে তাদের চর্বিবিহীন দুধ পান করা উচিত। এছাড়াও, প্রতিটি মানুষ আলাদা, তাই দুধ খাওয়ার পরে তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা উচিত এবং এটি তাদের জন্য উপযুক্ত কিনা তা দেখতে হবে।

দুধ খেলে কি ডায়াবেটিস হয়? দুধ ডায়াবেটিসের কারণ ঘটায় বা ডায়াবেটিস বাড়াতে পারে এমন কোনও প্রমাণ কিন্তু নেই। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে বলেও মনে করছেন চিকিতসকেরা। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের এবং বাড়ন্ত শিশুদের জন্য দুধ ক্যালসিয়ামের একটি খুব ভাল উৎস। তাই ডায়াবেটিস থাকলেও নিয়মিত দুধ পান করা উচিত।

সুগার রোগীদের কতটা দুধ পান করা উচিত? আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হন, তাহলে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করা উচিত। সুগারের রোগী না হলেও এক গ্লাসের বেশি দুধ খাওয়া উচিত নয়। ডায়াবেটিস অর্গানাইজেশন বিশ্বাস করে যে আপনার 190ml এর বেশি দুধ খাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও, যারা ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করে তাদের ডায়রিয়া হতে পারে।

দুধ ছাড়া অন্য দুগ্ধজাত পণ্য কি ডায়াবেটিসে উপকারী? দুধ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্যে সাধারণত কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) থাকে। দুধে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে এবং এটি প্রোটিনের একটি বড় উৎস। এই কারণেই দুধ আপনার পেট ভরা রাখে এবং ব্লাড সুগার বাড়তে দেয় না। দুধ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য কম গ্লাইসেমিক সূচক নির্দেশ করে সে কারণেই এই পণ্যগুলি দুর্দান্ত এবং স্বাস্থ্যকর বিকল্প।

আসলে দুধ পান করা ডায়াবেটিসে উপকারী বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে দুধ প্রকৃতপক্ষে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী কিন্তু মনে রাখতে হবে, দুধের গ্লাসে অতিরিক্ত চিনি কখনই যোগ করবেন না। একইসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এড়িয়ে চলুন ফুল ক্রিম দুধ পান করা।

দাবিত্যাগ: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনওভাবেই কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ করুন।