একটু জোরে হাসতে গেলেই পেটে চাপ পরে। ভিজে যায় কাপড় (Toilet)। এমনকি হাঁচি-কাশি-জোরে চিৎকার সবক্ষেত্রেই এমনটা হয় এমন সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। প্রথমটা লজ্জা ও অস্বস্তিতে কাউকে বলতে পারেন না। পরে বাড়াবাড়ি হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়। কিছুতেই প্রস্রাবের বেগ চাপতে পারেন না এমন ভুগছেন নারী-পুরুষ, অল্প বয়সি থেকে বয়স্ক মানুষ অনেকেই (Toilet)। অপ্রত্যাশিতভাবে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ায় কোথাও যেতেও ভয় পান এঁরা। চিকিৎসকের কাছে গেলে ধরা পড়ে এটি একটি রোগ যার প্ৰধান কারণ ওভারঅ্যাকটিভ ব্লাডার।
নিউরো বা স্নায়ুজনিত সমস্যা- যাঁদের পারকিনসনস ডিজিজ, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের সমস্যা রয়েছে অথবা যাঁদের একবার স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই ওভারঅ্যাকটিভ ব্লাডারের সমস্যা দেখা দেয়। দায়ী কিছু ওষুধ – উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ (ল্যাসিক্স, ডাইয়ুরেটিক্স) টানা খেলে তা থেকে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। মদ্যপান কিংবা কফি বেশি পান করলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কাদের ভয় বেশি?
মহিলা কিংবা পুরুষ সকলের ক্ষেত্রেই এমন হতে পারে। বিশেষ করে, যে সকল মহিলার মেনোপজ হয়ে গিয়েছে তাঁদের রিস্ক অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। আর পুরুষদের, যাঁদের প্রস্টেটের অসুখ রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে মূত্রথলির এমন সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। লক্ষণ থাকলে ইউরিন কালচার, ব্লাডার ক্ল্যান, সিস্টোস্কোপি, ইউরো ডায়নামিক টেস্টিং করে ওভারঅ্যাকটিভ ব্লাডার রোগ নির্ণয় করা হয়।
কী ভাবে সাবধান হবেন?
মূত্রথলির এমন সমস্যা হলে শুরুতেই চিকিৎসকের কাছে যান।
যতটা সম্ভব কফি কিংবা ক্যাফিন জাতীয় পানীয় বর্জন করুন।
কার্বোনেটেড ড্রিংক, মিষ্টি পানীয়, মশলাদার খাবার, অ্যাসিডিক ফুড ডায়েট থেকে বাদ দিন। ওজন বেশি থাকলে তাও এর কারণ হতে পারে। তাই ওজন কমাতে চেষ্টা করুন।পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ করুন। এতে পেলভিক বা মূত্রনালির পেশির জোর বৃদ্ধি পায়।
সারাদিনে নির্দিষ্ট সময় ধরে বাথরুমে যাওয়ার অভ্যাস করুন।বারবার প্রস্রাব হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলে একটা ডায়েরি মেনটেইন করুন।তাহলে চিকিৎসা করতে, সমস্যা চিহ্নিত করতে অনেক সুবিধা হবে। এইগুলি মেনে চলার পাশাপাশি সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষ কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলির দ্বারা এই অসুখ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব।