Lemon water: ঝড়ের বেগে কমবে ওজন! হার্ট, কিডনি, লিভার সব ভাল রাখে, ১ গ্লাস জলে এই ১টি জিনিস মিশিয়ে খেলেই ম্যাজিক, উপকার জানলে চমকে যাবেন
- Published by:Ankita Tripathi
Last Updated:
এই খুব সাধারণ জিনিসই রোজ নিয়ম করে খেলে অসাধারণ ফল এনে দিতে পারে, জীবনটাকে তন ম্যাজিক ছাড়া আর কিছু বলে মনে হবে না। দেখে নেওয়া যাক রোজ সকালে এক গ্লাস লেবু জল খাওয়ার ১০ উপকারিতা।
advertisement
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করেএটি সবচেয়ে স্পষ্ট কথা, কিন্তু বার বার বলার যোগ্য। ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিখ্যাত, প্রতিদিন লেবু জল পান করলে শরীর তার একটি স্থিতিশীল সরবরাহ পায়। হাইড্রেশনের ব্যাপারটাও আছে, দুইয়ে মিলে রোগ প্রতিরোধক কোষগুলি আরও কার্যকরভাবে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত থাকে। রোজ সকালে এক গ্লাস লেবু জল খেলে তা বলে কেউ রোগের বিরুদ্ধে অজেয় হয়ে উঠবেন না, তবে যখন সর্দি বা ফ্লু আঘাত হানবে, তখন শরীর তাদের মোকাবিলা করার জন্য আরও ভালভাবে প্রস্তুত থাকবে। যদিও এটি অসুস্থ হওয়া থেকে সম্পূর্ণ রোধ করবে না, তবে এটি সংক্রমণের সংস্পর্শে আসার সময় শরীরকে আরও কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে সাহায্য করতে পারবে। এটিকে একটি দৈনিক ঢাল বলাই যায় তাই যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
advertisement
হৃদরোগের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে একটি সহজ পদক্ষেপহৃদরোগের কথা উঠলেই জীবনের শেষের দিকের কথা মাথায় চলে আসে, কিন্তু সত্যিটা হল অভ্যাসগুলো অল্প বয়সেই বৃদ্ধি পায়। কাজেই ভাল অভ্যাসও আগে থেকেই গড়ে তুলতে হবে। লেবুতে থাকে পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং থাকে ভিটামিন সি, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, এই অক্সিডেটিভ স্ট্রেসই কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টিস্যুগুলিকে ক্ষয় করে। লেবু জল আরও ভাল হাইড্রেশন এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে হৃদপিণ্ডের সুস্বাস্থ্যের জন্য একটি ছোট হলেও স্থিতিশীল পদক্ষেপ হয়ে ওঠে। লেবু জল হৃদরোগ প্রতিরোধ করবে না ঠিকই, তবে দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
advertisement
ঝাঁকুনি ছাড়াই শরীরে শক্তি সরবরাহকফি বা এনার্জি ড্রিঙ্কস ঠিক এই কাজটাই করে, শরীরকে রাতারাতি এক ঝাঁকুনি দিয়ে চাঙ্গা করে তোলে। কিন্তু লেবু জল ক্যাফেইনের এই ধাক্কা দেয় না। লেবু জল তা বলে কফির বিকল্প কিন্তু নয়, এটি শুধু এক ভিন্ন ধরনের শক্তি দেয়। এর তীক্ষ্ণ সাইট্রাস স্বাদ ইন্দ্রিয়গুলিকে জাগিয়ে তোলে, এমনকি লেবুর গন্ধও মেজাজ উন্নত করে বলে প্রমাণিত হয়েছে। হাইড্রেশন এবং ভিটামিন সি-এর ডোজ একসঙ্গে মিলিত হয়ে একটি পরিষ্কার, স্থিতিশীল শক্তি সরবরাহ করে। শরীরে কোনও ঝাঁকুনি লাগে না, থাকে শুধু একটা তরতাজা ভাব। কফি খাওয়ার পরিবর্তে এক গ্লাস লেবু জল দিয়ে দিন শুরু করলে আরও ভারসাম্যপূর্ণ এবং স্বচ্ছন্দ বোধ করা যায়।
advertisement
উজ্জ্বল, স্বাস্থ্যকর ত্বকভাল ত্বক কিন্তু ভেতর থেকে শুরু হয়। হাইড্রেশন ত্বককে নিস্তেজ দেখাতে বাধা দেয় এবং লেবুতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের আরও একটি স্তরকে সমর্থন করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই লক্ষ্য করেন যে তাঁদের ত্বক আরও সতেজ দেখাচ্ছে, শুষ্কতা বা অসম রঙ কমছে। লেবু জল রাতারাতি বলিরেখা দূর করবে না বা ব্রণ পরিষ্কার করবে না, তবে এটি এমন একটি অভ্যাস যা নীরবে কাজ করে যাবে, ত্বককে ভিতর থেকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে সাহায্য করবে। অনেকেই লক্ষ্য করেন যে নিয়মিত লেবু জল পান করার পরে তাঁদের ত্বক আরও পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল দেখায়, যদিও তার সঙ্গে সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং যথাযথ ত্বকের যত্নও প্রয়োজন।
advertisement
ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সহজ কৌশলডায়েট প্ল্যান মেনে চলতে ব্যর্থ হলে ওজন কমবে না। এক্ষেত্রে কাজে আসে লেবু জল। লেবু জল ওজন কমানোর কোনও অলৌকিক সমাধান নয়, তবে এটি একটি কার্যকর হাতিয়ার হতে পারে। লেবু জল কোনও ডায়েট নয়, এটি কেবল একটি জীবনধারায় ছোট অদলবদল। সোডা বা মিষ্টি সফট ড্রিঙ্কস সরিয়ে রেখে লেবু জল খেতে শুরু করলে তাৎক্ষণিকভাবে অপ্রয়োজনীয় ক্যালোরি কমিয়ে ফেলা সম্ভব হয়। খাবারের আগে এক গ্লাস পান করলে পেট বেশ ভরা থাকে, তাই কম খাওয়ার ব্যাপারটাও আপসে সম্ভব হয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ছোট ছোট পরিবর্তনগুলো মিলেমিশে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
advertisement
তরতাজা শ্বাস-প্রশ্বাসঘুম থেকে ওঠার পর মুখে দুর্গন্ধ নিয়ে ঘুরতে কেউ পছন্দ করেন না। ব্যাকটেরিয়া বা খাবারের কণার কারণে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। লেবু জল তা প্রতিরোধে সাহায্য করে কারণ এটি ব্যাকটেরিয়া এবং খাদ্যকণা ধুয়ে ফেলে, এমনি এক গ্লাস জলের চেয়ে বেশি সতেজ স্বাদ রেখে যায়। লেবু প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যও ভূমিকা পালন করে, কেন না সাইট্রাসের নিজস্ব হালকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। একমাত্র সমস্যা এই যে লেবুর রস অ্যাসিডিকও, তাই দাঁতেরএনামেল রক্ষা করার জন্য খাওয়ার পরে জল দিয়ে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে ফেলা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
advertisement
শরীরের ডিটক্স ইঞ্জিনগুলির কার্যকারিতা মসৃণ রাখেশরীর ভালই জানে কীভাবে লিভারকে ডিটক্স করতে হয় এবং কিডনি ক্রমাগত এটি মোকাবিলা করছে। লেবুর জল যা করে তা হল তাদের কাজকে সহজ করে তোলা। হাইড্রেটেড থাকা বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে এবং লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড লিভারের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। এটি কোনও নাটকীয় ভাবে ডিটক্স নয়, বরং শরীরকে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দেওয়ার মতো একটা বিষয়। যদিও লেবুর জল কোনও ডিটক্স ড্রিঙ্কস নয়, এটি অবশ্যই হাইড্রেশন বাড়িয়ে তোলে এবং অঙ্গগুলিকে আরও দক্ষতার সঙ্গে তাদের কাজ করতে সহায়তা করে।
advertisement
ভিটামিন সি-এর একটি নীরব উৎসলেবু দেখতে যেমনই ছোটখাটো হোক না কেন, এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরের প্রতিদিন প্রয়োজন হয়। ভিটামিন সি ঠান্ডা লাগার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে ত্বককে দৃঢ় রাখতেও ভূমিকা পালন করে। সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের পরিবর্তে জলে মেশানো একটি লেবুর রসই প্রাকৃতিকভাবে শক্তি যোগায়। বিশেষ করে ফ্লুয়ের মরশুমে রোজ এক গ্লাস লেবু জল প্রাকৃতিক ঢাল হয়ে উঠতে পারে। এটি শরীরের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার একটি সহজ, প্রাকৃতিক উপায়।
advertisement
হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করেসকালটা খারাপ হওয়ার নানা কারণ থাকে। কেউ কেউ ঘুম থেকে উঠেই চা বা কফি পান করেন, কিন্তু এতে পেট ভার হয়ে যেতে পারে। সকালে লেবুর জল পান করলে পেটে মৃদু একটা পজিটিভ অনুভূতি হয়। হালকা অ্যাসিডিটি পাচনতন্ত্রকে জাগিয়ে তোলে ঠিক ওয়ার্কআউটের আগে স্ট্রেচিংয়ের মতো। এটি ভারী, ফোলা অনুভূতি কমায় এবং সারা দিন সহজে হজমের জন্য শরীরকে তৈরি করে। যখন হজমশক্তি সঠিকভাবে কাজ করে, তখন শরীর আরও দক্ষতার সঙ্গে পুষ্টি শোষণ করে, যা সারা দিনের জন্য আরও বেশি শক্তি দেয়।
advertisement
জল খাওয়ার অভাব মেটায়অনেকেই আছেন যাঁরা বেশি জল খেতে পারেন না। এই কারণেই অনেকে দিনের বেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে ভুলে যান। তবে লেবু যোগ করলে সেই সমস্যা মেটে। এর গন্ধ সুন্দর, স্বাদ হালকা এবং একরকম সতেজতা বোধ করে যা সাধারণ জলে থাকে না। এই সহজ পরিবর্তনের অর্থ হল জোর না করেই আরও বেশি জল পান করা সম্ভব হবে। শরীর যখন আরও ভালভাবে হাইড্রেটেড থাকবে, তখন মস্তিষ্ক, শক্তি, এমনকি ত্বক- সব কিছুই ভাল ভাবে কাজ করবে।
advertisement
লেবু জল পানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ালেবু জল সাধারণত নিরাপদ, তবে অতিরিক্ত সেবনের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে। এর উচ্চ অ্যাসিডিটি দাঁতের এনামেল ক্ষয় করতে পারে, যার ফলে সংবেদনশীলতা বা গর্ত তৈরি হতে পারে। খালি পেটে এটি পান করলে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের মধ্যে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা বুক জ্বালাপোড়া হতে পারে। কিছু লোক এর মূত্রবর্ধক প্রভাবের কারণে পেট খারাপ, পেট ফাঁপা বা ঘন ঘন প্রস্রাব অনুভব করে। লেবু জল মুখের আলসারেও জ্বালা ধরাতে পারে বা গলায় জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে তা শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রাকে ব্যাহত করতে পারে। ঝুঁকি কমাতে একটি খড় দিয়ে খেয়ে পরে মুখ ধুয়ে ফেলা উচিত এবং দিনে এক গ্লাসের বেশি খাওয়া উচিতও নয়। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
