Silent Heart Attack: নিজেকে বাঁচান , সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের পরিণতি মারাত্মক, চিনে নিন

কলকাতা: হার্ট অ্যাটাকের কথা ভাবলেই সকলে ভয়ে শিউরে ওঠে৷ কিন্তু সবসময় হার্ট অ্যাটাক বোঝা যায় না৷ হ্যাঁ সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক বা   নীরব হার্ট অ্যাটাকও হয় কি?  যেরকম নাম ঠিক সেরকমই কাজ৷ সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক হল এক ধরণের হার্ট অ্যাটাক যা কোনও বা খুব সামাণ্য লক্ষ্য ছাড়াই ঘটে যায়। আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ লক্ষণও দেখা দিতে পারে। অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের মত অনুযায়ী অনেক সময়েই এটিকে অম্বল বা বদহজমের মতো ভেবে থাকেন৷

এর লক্ষণ খুব সামাণ্য সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের সাধারণত কোন লক্ষণ দেখা যায় না। আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত এবং হার্ভার্ড হেলথে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুযায়ী ২০১৫ সালে একটি সমীক্ষা অনুসারে, ৪৫ থেকে ৮৪ বছর বয়সী ২০০০ জন মানুষের ওপর ফলোআপ সমীক্ষায় দেখা গেছে যে এমনকি ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যাদের হৃদরোগ নেই তাদেরও হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।  হার্টঅ্যাটাকের কারণে তাদের মায়োকার্ডিয়াল দাগ ছিল।

এর কারণগুলি কী কী? সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, বার্ধক্য, ধূমপান, স্থূলতা, অনিয়মিত জীবনযাপন, হৃদরোগের পারিবারিক ইতিহাস এবং উচ্চ কোলেস্টেরল। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীরা প্রায়ই সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের মুখোমুখি হতে হয়৷

লক্ষণগুলি  এক নজরে দেখে নিন বুক ব্যাথা বুকে অস্বস্তিকর অনুভূতি দুর্বলতা মাথা ঘোরা চোয়াল, ঘাড় বা পিঠে ব্যথা, হাত এবং কাঁধে অস্বস্তি শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া

হার্ট অ্যাটাক কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়? অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা প্রায়শই হার্ট অ্যাটাকের প্রধান কারণ। কম কায়িক পরিশ্রম, অসম ঘুম, ধূমপান, অত্যধিক মদ্যপান, পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করা, বাড়িতে রান্না করা খাবারের পরিবর্তে বাইরের থেকে খাবার আনানো বা কেনা খাবার খাওয়ার প্রবণতা কাজ করে ৷  খাবারে অস্বাস্থ্যকর তেল ব্যবহার করা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা না করা হার্ট অ্যাটাকের বড় কারণ৷

তাই, যদি এই ধরণের উপসর্গ দেখা দেয়, তাদের উপেক্ষা করবেন না এবং বাড়িতে যান। একইভাবে, রোগমুক্ত জীবন নিশ্ছিদ্র সম্পদের কথা মাথায় রেখে যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা ভাল।