Ghee vs butter: মাখন না ঘি, কোনটি খেলে ওজন নয়, শক্তি বাড়বে? পাতে রাখুন সঠিক জিনিস
- Published by:Tias Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
ঘি এবং মাখন দুই খাবারেই ফ্যাট আছে। পুষ্টিবিদের দাবি, শুধু ফ্যাট আছে বলেই সে খাবার খারাপ বা ক্ষতিকর, এমন ধরে নেওয়ার কারণ নেই। ঘিয়ে যে ফ্যাট রয়েছে, তার মধ্যে বেশির ভাগই উপকারী ফ্যাট।
advertisement
ঘিয়ের থেকে মাখন বেশি স্বাস্থ্যকর? কলকাতা শহরের এক বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরির পরামর্শ শোনার পর আপনার মনে এই নিয়ে আর কোনও দ্বন্দ্ব থাকবে না। জানলে অবাক হবেন, ঘিয়ে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন কে, কোলিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো উপদান। আর এইসব উপাদান কিন্তু শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে মনে রাখবেন, এই দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট যা কিনা হার্টের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া ঘি খাওয়া উচিত হবে না।
advertisement
মাখনে রয়েছে বিউটিরেট উপাদান। এটা এক ধরনের ফ্যাট, যা হজমক্ষমতা বাড়ায়, ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহ কমায়। সেই সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। তবে, শরীরে শক্তি বাড়াতে চাইলে কম বয়সিরা প্রতিদিন ঘি খেতে পারেন। কারণ এটি শরীরে পুষ্টি পৌঁছে দেয়। গরম ভাতের সঙ্গে এক চামচ ঘি। তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘিয়ে ফ্যাটের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি।
advertisement
ঘিয়ের মতোই মাখনেও রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাণ্ডার। তাই যুগের পর যুগ ধরে আমাদের দেশে মাখন খাওয়ার চল রয়েছে। তবে মনে রাখবেন, এই দুগ্ধজাত খাবারও কোলেস্টেরল এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাটের আঁতুরঘর। আর এই দুই উপাদান হার্টের ক্ষতি করার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই প্রায়শই মাখন খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা চটজলদি শুধরে নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
কোয়েল পাল চৌধুরি জানালেন, ঘি বা মাখন- দুটোর থেকেই দূরে থাকা উচিত। কারণ এই দুই দুগ্ধজাত খাবারই হল কোলেস্টেরল এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাটের খনি। আর এই দুই উপাদান হার্ট সহ শরীরের একাধিক অঙ্গের ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে। তাই চেষ্টা করুন ঘি-মাখনের থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখার।তবে একান্তই যদি এই দুটির মধ্যে কোনও একটিকে বেছে নিতে হয়, সেক্ষেত্রে ঘিয়ের বদলে মাখন খেতে পারেন। কারণ ঘিয়ের তুলনায় মাখনে স্যাচুরেটেডে ফ্যাট এবং টোটাল ক্যালোরি কিছুটা হলেও কম রয়েছে। তাই সুস্থ থাকতে ঘিয়ের বদলে মাখন খাওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।