Heart Attack: পর্যাপ্ত জলের অভাবে বেঁকে বসল শরীর, হল হার্ট অ্যাটাকও! এমন বিপদে না পড়তে চাইলে কী করবেন জানুন...

Last Updated:
Heart Attack: ৩২ বছর বয়সী এক ফিট ম্যারাথন দৌড়বিদ বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তদন্তে দেখা যায়, অতিরিক্ত ডিহাইড্রেশনের ফলে রক্ত ঘন হয়ে গিয়েছিল, যা ধমনী বন্ধ করে হৃদরোগের কারণ হয়। চিকিৎসায় রক্ষা পান তিনি।
1/12
সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে চাঞ্চল্যকর একটি ঘটনা সামনে এসেছে। ৩২ বছর বয়সী এক সিইও হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের কারণে জরুরি বিভাগে ভর্তি হন। সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হল, ওই ব্যক্তি ছিলেন এক জন ফিট ম্যারাথন রানার এবং তার কোনও পূর্ব-স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল না।
সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে চাঞ্চল্যকর একটি ঘটনা সামনে এসেছে। ৩২ বছর বয়সী এক সিইও হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের কারণে জরুরি বিভাগে ভর্তি হন। সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হল, ওই ব্যক্তি ছিলেন এক জন ফিট ম্যারাথন রানার এবং তার কোনও পূর্ব-স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল না।
advertisement
2/12
তবে রক্ত পরীক্ষায় দেখা যায়, তার হিমোগ্লোবিন লেভেল ছিল ১৮ g/dL, যেখানে সাধারণ সীমা ১৭.২ g/dL-এর নিচে থাকা উচিত। এই অস্বাভাবিক মাত্রা বোঝায় যে তার রক্ত অত্যন্ত ঘন ছিল এবং এর পেছনে মূল কারণ ছিল মারাত্মক ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতা।
তবে রক্ত পরীক্ষায় দেখা যায়, তার হিমোগ্লোবিন লেভেল ছিল ১৮ g/dL, যেখানে সাধারণ সীমা ১৭.২ g/dL-এর নিচে থাকা উচিত। এই অস্বাভাবিক মাত্রা বোঝায় যে তার রক্ত অত্যন্ত ঘন ছিল এবং এর পেছনে মূল কারণ ছিল মারাত্মক ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতা।
advertisement
3/12
এই ঘন রক্ত তার ধমনীতে জমে গিয়ে ব্লক তৈরি করে, যা সরাসরি হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ডাক্তাররা সঙ্গে সঙ্গে ব্লাড থিনার ব্যবহার করে সেই জমাট বাঁধা রক্ত গলিয়ে দিতে সক্ষম হন, ফলে স্টেন্ট বসানোর দরকার পড়েনি।
এই ঘন রক্ত তার ধমনীতে জমে গিয়ে ব্লক তৈরি করে, যা সরাসরি হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ডাক্তাররা সঙ্গে সঙ্গে ব্লাড থিনার ব্যবহার করে সেই জমাট বাঁধা রক্ত গলিয়ে দিতে সক্ষম হন, ফলে স্টেন্ট বসানোর দরকার পড়েনি।
advertisement
4/12
তারপরই তাকে দ্রুত ইনট্রাভেনাস হাইড্রেশন (সরাসরি শিরায় জল দেওয়া) দেওয়া হয়, যার ফলে তার রক্তে হিমোগ্লোবিন মাত্রা দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে ১৩ g/dL-এ নেমে আসে।
তারপরই তাকে দ্রুত ইনট্রাভেনাস হাইড্রেশন (সরাসরি শিরায় জল দেওয়া) দেওয়া হয়, যার ফলে তার রক্তে হিমোগ্লোবিন মাত্রা দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে ১৩ g/dL-এ নেমে আসে।
advertisement
5/12
ডিহাইড্রেশন কীভাবে রক্ত জমাট বাঁধায় সাহায্য করে? ডিহাইড্রেশন শরীরের রক্তকে ঘন করে তোলে, রক্তপ্রবাহ ধীর হয় এবং শরীরে 'কোয়াগুলেশন ক্যাসকেড' (রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া) চালু হয়ে যায়। এতে হৃদপিণ্ডে অক্সিজেন পৌঁছানো ব্যাহত হয় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ডিহাইড্রেশন কীভাবে রক্ত জমাট বাঁধায় সাহায্য করে? ডিহাইড্রেশন শরীরের রক্তকে ঘন করে তোলে, রক্তপ্রবাহ ধীর হয় এবং শরীরে 'কোয়াগুলেশন ক্যাসকেড' (রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া) চালু হয়ে যায়। এতে হৃদপিণ্ডে অক্সিজেন পৌঁছানো ব্যাহত হয় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
advertisement
6/12
এছাড়া, হৃদপিণ্ডের সঠিক কাজের জন্য জরুরি কিছু ইলেকট্রোলাইট যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। এতে করে হৃদপিণ্ডের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।
এছাড়া, হৃদপিণ্ডের সঠিক কাজের জন্য জরুরি কিছু ইলেকট্রোলাইট যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। এতে করে হৃদপিণ্ডের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।
advertisement
7/12
ডিহাইড্রেশন শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ ঘটায়, যা হৃদপিণ্ডকে আরও বেশি চাপে ফেলে দেয় এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেয়।
ডিহাইড্রেশন শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ ঘটায়, যা হৃদপিণ্ডকে আরও বেশি চাপে ফেলে দেয় এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেয়।
advertisement
8/12
আপনি কিভাবে বুঝবেন যে ডিহাইড্রেটেড? সবচেয়ে সহজ উপায় হলো প্রস্রাবের রঙ লক্ষ্য করা। যদি প্রস্রাব গাঢ় হয়, তা হলে বুঝতে হবে আপনি ডিহাইড্রেটেড। এর সঙ্গে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ও দুর্বলতাও দেখা দিতে পারে।
আপনি কিভাবে বুঝবেন যে ডিহাইড্রেটেড? সবচেয়ে সহজ উপায় হলো প্রস্রাবের রঙ লক্ষ্য করা। যদি প্রস্রাব গাঢ় হয়, তা হলে বুঝতে হবে আপনি ডিহাইড্রেটেড। এর সঙ্গে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ও দুর্বলতাও দেখা দিতে পারে।
advertisement
9/12
প্রতিদিন অন্তত ১ থেকে ১.৫ লিটার প্রস্রাব হওয়া উচিত। এর চেয়ে কম হলে জল খাওয়া বাড়াতে হবে। কেবল একবারে প্রচুর জল খেয়ে নয়, সারা দিনে ধীরে ধীরে জল খাওয়া উচিত যাতে শরীর তা ভালোভাবে শোষণ করতে পারে।
প্রতিদিন অন্তত ১ থেকে ১.৫ লিটার প্রস্রাব হওয়া উচিত। এর চেয়ে কম হলে জল খাওয়া বাড়াতে হবে। কেবল একবারে প্রচুর জল খেয়ে নয়, সারা দিনে ধীরে ধীরে জল খাওয়া উচিত যাতে শরীর তা ভালোভাবে শোষণ করতে পারে।
advertisement
10/12
বিশেষ করে যারা ভারী শরীরচর্চা বা খেলাধুলা করেন, তাদের ঘামের মাধ্যমে যতটা জল হারায়, তার দেড়গুণ জল খাওয়া দরকার। সঙ্গে ফলমূল, জলসমৃদ্ধ সবজি, জুস বা স্পোর্টস ড্রিঙ্ক খাওয়ার অভ্যাস রাখতে হবে যাতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে।
বিশেষ করে যারা ভারী শরীরচর্চা বা খেলাধুলা করেন, তাদের ঘামের মাধ্যমে যতটা জল হারায়, তার দেড়গুণ জল খাওয়া দরকার। সঙ্গে ফলমূল, জলসমৃদ্ধ সবজি, জুস বা স্পোর্টস ড্রিঙ্ক খাওয়ার অভ্যাস রাখতে হবে যাতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে।
advertisement
11/12
নিউ দিল্লির হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অনুপম শর্মা এই ঘটনার পর বলেন, "যদি শরীরে জল স্বল্পতা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তাহলে রক্ত ঘন হয়ে যায়, যা রক্তপ্রবাহ ব্যাহত করে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। ফিটনেস থাকা সত্ত্বেও যদি জল না পান করা হয়, তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে। বিশেষ করে গরমকালে সঠিকভাবে হাইড্রেট থাকা অত্যন্ত জরুরি।"
নিউ দিল্লির হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অনুপম শর্মা এই ঘটনার পর বলেন, "যদি শরীরে জল স্বল্পতা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তাহলে রক্ত ঘন হয়ে যায়, যা রক্তপ্রবাহ ব্যাহত করে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। ফিটনেস থাকা সত্ত্বেও যদি জল না পান করা হয়, তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে। বিশেষ করে গরমকালে সঠিকভাবে হাইড্রেট থাকা অত্যন্ত জরুরি।"
advertisement
12/12
Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।
Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।
advertisement
advertisement
advertisement