Healthcare- Sweaty Palms: শীতকালেও ঘামছে হাত ও পায়ের পাতা? জটিল রোগের ইঙ্গিত! বড় বিপদের আগে সাবধান

শরীরের তাপস্থাপক হিসেবে কাজ করে ঘাম উৎপাদক গ্রন্থিগুলি। কারোর ঘাম বেশি, কারোর কম। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের ক্রমাগত হাত ও পায়ের পাতা ঘামে। অনেক সময় দেখা যায় ঠিক করে মোবাইল ধরতে পারছেন না। অতিরিক্ত ঘামের জন্য পিছলে যাচ্ছে। সেন্সর মেশিনে আঙুলের ছাপ নিচ্ছে না অতিরিক্ত ঘামের জন্য। শুধু হাত নয় অনেকের পায়ের তলাও ঘামতে থাকে। শীতকালেও ঘামছে হাত পায়ের পাতা! photo source collected

আবার অনেকের ক্ষেত্রে উত্তেজিত হয়ে পড়লেই ঘামতে থাকে হাত ও পায়ের তালু। এর পিছনে কারণ রয়েছে। শরীরে ঘর্মগ্রন্থির সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ। এক্রিন, অ্যাপোএক্রিন, অ্যাপোক্রিন ইত্যাদি। এদের মধ্যে এক্রিনের সংখ্যাই সর্বাধিক। শুধু তাই-ই নয়, হাত ও পায়ের তালুতেই এদের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি। photo source collected

কোনও নির্দিষ্ট উত্তেজনা, মূলত ভয় পেলে বা হঠাৎই কোনও আনন্দ পেলে শরীরে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। যেহেতু প্রত্যেকের হরমোন ক্ষরণ আলাদা, তাই ব্যক্তিবিশেষে ঘাম বাড়ে-কমে। যাঁদের শরীর অ্যাড্রিনালিনের ক্ষরণ বেশি, তাঁদের হাত-পায়ের পাতাই উত্তেজনায় ঘামে। তবে অনেকের উত্তেজনা ছাড়াও সারাক্ষণ হাত ও পায়ের তালু ঘামে ভিজে থাকে। সেক্ষেত্রে কিন্তু ডাক্তারের কাছে যাওয়া সঙ্গে সঙ্গে দরকার। photo source collected

যদি শুধু হাত ও পায়ের তালু ঘামে, তবে আপনি প্রাইমারি হাইপারহাইড্রোসিস রোগটিতে ভুগছেন। হাইপারহাইড্রোসিস মানে ঘর্মগ্রন্থীর অত্যধিক নিঃসরণ হয়ে বেশি ঘাম হওয়া। প্রাইমারি হাইপারহাইড্রোসিস কোনো কারণ ছাড়াই দেখা দেয়, ঘন ঘন হাত পা ও বগলে ঘাম হয়ে ভিজে যায়। সেকেন্ডারি হাইপারহাইড্রোসিস থাইরয়েডের সমস্যা, ওষুধের ওভারডোজ ইত্যাদি সমস্যার জন্য হয়। photo source collected

এছাড়াও অন্য কয়েকটি কারণে হাত পা ঘামে। অতিরিক্ত ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় ও অ্যালকোহল পান করলে অ্যাপোক্রিন গ্রন্থি থেকে মাত্রাতিরিক্ত ঘাম বেরোতে পারে। লো ব্লাড সুগার বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে এমনটা হতে পারে।কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এর কারণ। মহিলাদের মেনোপজ়ও এর একটা অন্যতম কারণ। যাঁদের হাইপারথাইরয়েড আছে, তাঁদেরকেও এই সমস্যায় পড়তে হয়। photo source collected

কী করে বুঝবেন অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে? বগলের নিচে বার বার জামা ভিজে যাওয়া, হাত ঘেমে যাওয়ার ফলে লিখতে অসুবিধা, মোজা খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এভাবে নিজেই বুঝতে পারবেন ঘাম বেশি হচ্ছে।

এই সমস্যা থেকে বাঁচতে যা করবেন! প্রথমেই কফি বা ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় বা খাবার খাবেন না। অতিরিক্ত মশলা দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলুন। দিনে কম করে দু’বার স্নান করুন। বেশি পরিমাণে জল খান। হাত বা পায়ের তলা ভিজে রাখবেন না। রুমাল বা তোয়ালে দিয়ে মুছে যতটা সম্ভব শুকনো রাখুন(Sweaty Palms)। বাড়িতে খালি পায়ে বেশি থাকুন। টাইট মোজা পরবেন না। আর সব থেকে বড় নিজেকে স্ট্রেস মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। photo source collected