দিওয়ালির মিষ্টিতে ভরে গেছে বাড়ি? খেতেও ইচ্ছা করছে? এভাবে খান, একটুও মোটা হবেন না

দিওয়ালি মানেই দেওয়া-নেওয়ার উত্সব৷ সবাই ,সবার বাড়িতে নানা উপহার পাঠান৷ বাড়ি ভর ওঠে মিষ্টি, ড্রাই ফ্রুটে৷ অফিস থেকেও মেলে দিওয়ালি বোনাস, সঙ্গে টোকেন গিফট৷ বাড়িতে মিষ্টি থাকলেই বারবার মন চায় খেতে৷ আর তাতেই বেড়ে চলে কোমরও৷ কয়েকটা ছোট নিয়ম মানলেই কিন্তু ইচ্ছামতো খেতে পারেন মিষ্টি৷ কোমরের মাপ বাড়বে না এক ইঞ্চিও৷

মিষ্টি মানেই আমাদের কাছে ডেজার্ট৷ শেষপাতে মিষ্টিমুখের ধারণাই ভুলে যান৷ ভরা পেটে মিষ্টি খেলে ওজন বাড়বেই৷

মিষ্টিকে ডেজার্ট নয়, স্ন্য়াক্স ভাবুন৷ যখন মিষ্টি খাবেন তখন শুধু মিষ্টিই খান৷ সঙ্গে কিছু নয়৷ দুটো বড় মিল খাওয়ার মাঝে খেয়ে নিতে পারেন অল্প করে মিষ্টি৷

অনেকেই রাতে খাওয়ার পরে শেষপাতে একটা মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন৷ এটা একেবারেই ভুল৷ মিষ্টি কখনই ডিনারে খাবেন না৷ এই সময় আমাদের মেটাবলিজম খুব ধরী গতিতে হয়৷ তাই মিষ্টির মধ্য়ে থাকা চিনি খুব সহজে শরীরে ফ্য়াটে পরিণত হবে৷ আবার মিষ্টির মতো গুরুপাত খাবার খেয়ে শুলে ঘুমের সমস্য়া হয়ে হজমের গন্ডগোল হতে পারে৷

শুনতে অবাক লাগলেও মিষ্টি খাওয়ার সবচেয়ে ভাল সময় সকালে ঘুম থেকে উঠে৷ খালি পেটে বা চায়ের সঙ্গে স্ন্য়াকস হিসেবে খান মিষ্টি৷ এই সময় আমাদের ব্লাড সুগার লেভেল খুব কম থাকে৷ তাই মিষ্টি খেলেও কোনও বাবেই তা শরীরে মেদ হিসেব জমা হয় না৷

পৃথিবীর সব খাবারই খেতে পারেন যদি পরিমিতি বোধ থাকে৷ কোনও খাবারই বেশি খাওয়া উচিত নয়৷ মিষ্টিও একসঙ্গে অনেক খেয় নেবেন না৷ একবারে এক পিসের বেশি খাবেন না৷ ক্ষীর বা হালুয়া জাতীয় মিষ্টি হল ছোট বাটিতে করে খান৷

নিয়মিত এক্সারসাইজ করেন? তাহলে তো কথাই নেই৷ এক্সারসাইজ করার আগে বা এক্সারসাইজ শেষ করার ঠিক পরেই ১০ মিনিটের মধ্য়ে খেয়ে নিন মিষ্টি৷ এক্সারসাইজ করার সময় আমাদের বেশি এনার্জির প্রয়োজন হয়৷ মিষ্টির মধ্য়ে থাকা চিনি সেই এনার্জি জোগাবে৷ আবার এক্সারসাইজড করার পর মটাবলিজম রেট খুব বেশি থাকে৷ এই সময় মিষ্টি খেলে তাই কোনও ভাবেই মেদ জমবেন না শরীরে৷

মিষ্টি খাওয়ার আনন্দ কিন্তু বাগ করে খাওয়ার মধ্য়েই রয়েছে৷ যখনই মিষ্টি খাবেন কারও সঙ্গে অর্ধেক শেয়ার করে খান৷ এতে কম মিষ্টি খাওয়া হবে৷ আবার পরিমাণ কমাতে নিজেও অর্ধেক খেয়ে বাকিটা পরে খাবেন বলে রেখে দিতে পারেন৷ এতে বেশি দিন ধরে মিষ্টি খেতে পারবেন৷

বাড়িতে যত মিষ্টি জমবে ততই খেতে ইচ্ছা হবে৷ বেশি মিষ্টি জমে গেলে তাই অফিসে নিয়ে যান বা বাচ্চাদের সঙ্গে স্কুলে পাঠিয়ে দিন৷ সকলের মধ্য়ে ভাগ করে দিন৷ এতে মিষ্টি খাওয়াও হবে, আপনার জনপ্রিয়তাও বাড়বে আবার পরিমাণেও কম খাওয়া হবে৷