কেমন হবে পুজোর পাঁচদিনের সাজ, টিপস দিচ্ছেন ডিজাইনার স্নেহাশিষ

পুজো মানেই নতুন জামা ৷ তিলোত্তমার রাজপথ তখন ফ্যাশন Ramp ৷ আট থেকে আশি সবাই তখন নিজেকে নতুন পোশাকে টিপটপ সাজে মেলে ধরতে বাধ্য ৷ রোদ হোক বা বৃষ্টি, সাজগোজে নো কম্প্রোমাইজ ৷ কিন্তু পুজোর এই পাঁচদিন কোন সাজ সুপার হিট তা নিয়ে টিপস দিচ্ছেন বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার স্নেহাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পঞ্চমীর জন্য ডিজাইনারের পছন্দ মহিষাসুরমর্দিনী মোটিফের শর্ট কুর্তি ৷ জিনসের সঙ্গে কুল-ক্যাজুয়াল লুক আনতে এর থেকে ভাল কিছু হতে পারে না ৷ তবে শর্ট কুর্তা ছাড়াও পুজো লুক শুরুর জন্য এই জুটের কুর্তাও আদর্শ ৷ জুট মেটিরিয়াল এবার পুজোয় নতুন করে ফ্যাশনে ফিরে এসেছে ৷ ছবি: অর্যমা দাস

ষষ্ঠী মানেই বোধন ৷ শাস্ত্রমতে শুরু দেবীর পুজো ৷ বোধনের সন্ধ্যার জন্য ছেলেদের জন্য স্বস্তিক খোদিত পাঞ্জাবিই বাছলেন স্নেহাশিষ ৷ অন্যদিকে, সারা বছর যেমনই হোক পুজোর পাঁচদিন মেয়েদের জন্য শাড়িই প্রথম পছন্দ ডিজাইনারের ৷ ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় প্যান্ডেলে ঘোরাই হোক বা ঘরোয়া আড্ডা এরকম একটি শাড়ি একদম পারফেক্ট ৷ ছবি: অর্যমা দাস

সপ্তমী থেকে শুরু পুরোদমে পুজোর ট্রিপ ৷ তিলোত্তমার বুকে মন্ডপে মন্ডপে ঢুঁ মারার সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা ৷ পুজো মুডে রঙ আনতে ছেলেরা পরে নিতে পারেন বাবুমশাই কাটের এরকম একটি পাঞ্জাবি ৷ বুকের কাছে সুতোর খেলায় ফুটে ওঠেছে অসাধারণ মোটিফ ৷ অন্যদিকে, গরমেও চুটিয়ে ঘুরে বেড়াতে সাদা তসরের পার্সি বর্ডারের এই শাড়ির জুড়ি নেই ৷ ছবি: অর্যমা দাস

অষ্টমীতে মায়ের অঞ্জলি ৷ গরদের লাল পাড় সাদা শাড়ির একঘেয়েমি কাটাতে স্নেহাশিষের সাজেশন এই জমকালো ডিজাইনার শাড়িটি ৷ টিপিক্যাল বাঙালি সাজ ছেড়ে একটু অন্যরকম সাজতে হলে পরুন এরকমই একটি শাড়ি ৷ অন্যদিকে, ছেলেদের জন্য ডিজাইনারের পছন্দ এই জমকালো সিল্কের পাঞ্জাবি ৷ ছবি: অর্যমা দাস

নবমীর নিশিরাত ৷ রাত পোহালেই ঢাকের তালে বিদায়ের ডাক ৷ তাই নবমীর সন্ধেয় সকলের নজর কেড়ে নিতে স্নেহাশিষ বেছে দিলেন ক্রাশ সিল্কের এই ডিজাইনার শাড়িটি ৷ পাড়ে ভারী এমব্রয়ডারি কাজে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তিলোত্তমার মোটিফ ৷ আর ছেলেদের জন্য রইল সুতোর অসাধারণ কাজের এই সাদা সিল্কের পাঞ্জাবিটি ৷ ছবি: অর্যমা দাস

দশমী মানেই ঢাকে তালে বিরহের বোল ৷ কয়েকমুহূর্তের অপেক্ষা ৷ তারপরই বিদায় দিতে হবে উমাকে ৷ এমন বিরহের মুহূর্তে বাঙালির নির্ভরযোগ্য আশ্রয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৷ তাই কবিগুরুর কয়েক লাইন আজ থাকুক বুকে ৷ ছবি: অর্যমা দাস