Durga Puja: পুজোয় ঘুরে দেখতে পারেন এই ৫ বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজো, রইল রুট ম্যাপ
- Published by:Rukmini Mazumder
- hyperlocal
- Reported by:Bonoarilal Chowdhury
Last Updated:
দুর্গাপুজোয় যাঁদের পুরনো পুজো বা বনেদি বাড়ির পুজো ঘুরে দেখার ইচ্ছা,তাঁরা ঘুরে দেখতে পারেন পূর্ব বর্ধমান জেলার এই পাঁচটি পুজো।
দুর্গাপুজোয় যাঁদের পুরনো পুজো বা বনেদি বাড়ির পুজো ঘুরে দেখার ইচ্ছা,তাঁরা ঘুরে দেখতে পারেন পূর্ব বর্ধমান জেলার এই পাঁচটি পুজো। প্রথমেই যেতে পারেন আউশগ্রামের কালিকাপুর রাজবাড়ি। প্রায় ৩৭৫ থেকে ৪০০ বছর ধরে হয়ে আসছে এই দুর্গাপুজো। রায় পরিবার আজও সাবেকি রীতি মেনে পুজো করে। এখানে বহু হিন্দি এবং বাংলা সিনেমার শুটিংও হয়েছে।
advertisement
কালিকাপুরের পর যেতে পারেন কাছেই গুসকরা শহরে। গুসকরা শহরে রয়েছে চোঙদার বাড়ি। এখানে জাঁকজমকভাবে হয় পুজো। এছাড়া জমিদার বাড়িটি দেখলেই মন ভরে যায়। এই বাড়ির পুজোর বিশেষ নিয়ম রীতিও রয়েছে।
advertisement
গুসকরা থেকে চলে যেতে পারেন কেতুগ্রামে। কেতুগ্রাম ব্লকের খাটুন্দি গ্রামে রয়েছে ভট্টাচার্য পরিবারের দুর্গাপুজো। এখানে একই উঠোনে একসঙ্গে পূজিত হয় সাতটি দুর্গা প্রতিমা। এই বিরল পুজো দেখতে প্রতিবছর ভিড় জমান দূরদূরান্ত থেকে আসা বহু মানুষ।
advertisement
খাটুন্দি থেকে চলে যেতে পারেন কাছেই গঙ্গাটিকুরি গ্রামে। এখানে রয়েছে জমিদারবাড়ি। এই বাড়ির ঠাকুর দালান জুড়ে চোখে পড়ে বেলজিয়াম কাঁচের অনন্য শিল্পকলা। এই ঠাকুর দালানে পালিত হয় দুর্গা পুজো। এখানকার পুজো কয়েকশো বছরের পুরনো। এছাড়া এই জমিদারবাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সাহিত্যিক ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইতিহাস।
advertisement
গঙ্গাটিকুরি থেকে সবশেষে যেতে পারেন কাটোয়ার শ্রীবাটি গ্রামে। এই গ্রামের চন্দ্র পরিবারের ছোটবাড়ির দুর্গাপুজোও মনমুগ্ধ করা। এই পুজো দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন বহু মানুষ। পুজোর কয়েকটা দিন সকলের জন্য খোলা থাকে মন্দির প্রাঙ্গণ
advertisement
বর্ধমান স্টেশন থেকে কালিকাপুর রাজবাড়ির দূরত্ব প্রায় ৭১ কিলোমিটার। বাইকে যেতে সময় লাগবে ২ ঘণ্টা। কালিকাপুর থেকে গুসকরা চোঙদার বাড়ি প্রায় ২৭ কিলোমিটার। গুসকরাতে একাধিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ রয়েছে। সেখানেই খাওয়া দাওয়া করা যেতে পারে। তার পর গুসকরা থেকে কেতুগ্রামের খাটুন্দি প্রায় ৪৫ কিলোমিটার এবং খাটুন্দি থেকে গঙ্গাটিকুরি জমিদারবাড়ি ১৬ কিলোমিটার। গঙ্গাটিকুরি থেকে কাটোয়া হয়ে শ্রীবাটি প্রায় ৩৪ কিলোমিটার। শ্রীবাটি যাওয়ার পথে কাটোয়াতে খাওয়া দাওয়া করা যেতে পারে। কাটোয়া শহরে রয়েছে প্রচুর নামীদামি হোটেল এবং রেস্তোরাঁ।