প্রস্রাবের সময় 'গ্যাস' নির্গমন হয়? গন্ধহীন, নাকি দুর্গন্ধযুক্ত? বাতকর্মই ইঙ্গিত দেয় কোন রোগ শরীরে... জানুন!

Last Updated:
Intestinal Gas: প্রস্রাব বা মলত্যাগের মতোই মাঝেমধ্যে গ্যাস নির্গমন কি স্বাভাবিক? যদি এটি ঘন ঘন হয় এবং তীব্র দুর্গন্ধযুক্ত হয়, তাহলে কী করবেন জেনে নিন।
1/13
অনেকেই বাতকর্ম বা মলদ্বার দিয়ে গ্যাস ছাড়ার (ফ্লাটুলেন্স) বিষয়ে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন। কিন্তু এটি একেবারেই স্বাভাবিক এক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। তবে বাতকর্মের কিছু কিছু লক্ষণ শরীরে জটিল সমস্যার ইঙ্গিত বহন করে। জানেন কখন সাবধান হবেন?
অনেকেই বাতকর্ম বা মলদ্বার দিয়ে গ্যাস ছাড়ার (ফ্লাটুলেন্স) বিষয়ে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন। কিন্তু এটি একেবারেই স্বাভাবিক এক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। তবে বাতকর্মের কিছু কিছু লক্ষণ শরীরে জটিল সমস্যার ইঙ্গিত বহন করে। জানেন কখন সাবধান হবেন?
advertisement
2/13
প্রত্যেক মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া—গ্যাস নির্গমন, যা কথ্য ভাষায় ‘বায়ু’ বলেও পরিচিত। এর গন্ধ এবং ঘনঘন হওয়া শরীরের নানা সমস্যার লক্ষণ হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
প্রত্যেক মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া—গ্যাস নির্গমন, যা কথ্য ভাষায় ‘বায়ু’ বলেও পরিচিত। এর গন্ধ এবং ঘনঘন হওয়া শরীরের নানা সমস্যার লক্ষণ হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
advertisement
3/13
যদি খাবার ঠিকমতো হজম না হয় বা অন্ত্রে কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে তা গ্যাসের মাধ্যমে বোঝা যেতে পারে। চলুন জেনে নিই, নির্গত গ্যাসের গন্ধের মাধ্যমে কীভাবে স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি চিহ্নিত করা যায় এবং কী ভাবে সমাধান করা যেতে পারে।
যদি খাবার ঠিকমতো হজম না হয় বা অন্ত্রে কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে তা গ্যাসের মাধ্যমে বোঝা যেতে পারে। চলুন জেনে নিই, নির্গত গ্যাসের গন্ধের মাধ্যমে কীভাবে স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি চিহ্নিত করা যায় এবং কী ভাবে সমাধান করা যেতে পারে।
advertisement
4/13
Generated image অনেক সময় গ্যাস নির্গত হলেও কোনও গন্ধ থাকে না। ডাক্তারদের মতে, সাধারণত এটি কিছু নির্দিষ্ট উপাদানের কারণে হয়। দুধের ল্যাকটোজ, ফলের ফ্রুকটোজ এবং চিনি-মুক্ত খাবারে থাকা সুগার অ্যালকোহল হজম না হলে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া এগুলি ভেঙে গন্ধহীন গ্যাস তৈরি করে।
অনেক সময় গ্যাস নির্গত হলেও কোনও গন্ধ থাকে না। ডাক্তারদের মতে, সাধারণত এটি কিছু নির্দিষ্ট উপাদানের কারণে হয়। দুধের ল্যাকটোজ, ফলের ফ্রুকটোজ এবং চিনি-মুক্ত খাবারে থাকা সুগার অ্যালকোহল হজম না হলে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া এগুলি ভেঙে গন্ধহীন গ্যাস তৈরি করে।
advertisement
5/13
Generated image এটি ইঙ্গিত দেয় যে, শরীর কিছু কার্বোহাইড্রেট বা আঁশ ঠিকমতো হজম করতে পারছে না। যেমন, ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতার (Lactose Intolerance) কারণে এটি বেশি দেখা যায়। তাই এমন পরিস্থিতিতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে।
এটি ইঙ্গিত দেয় যে, শরীর কিছু কার্বোহাইড্রেট বা আঁশ ঠিকমতো হজম করতে পারছে না। যেমন, ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতার (Lactose Intolerance) কারণে এটি বেশি দেখা যায়। তাই এমন পরিস্থিতিতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে।
advertisement
6/13
Generated image যদি গ্যাসের সঙ্গে তীব্র দুর্গন্ধ থাকে, তাহলে বুঝতে হবে যে হজম প্রক্রিয়ায় কোনও সমস্যা হচ্ছে। অন্ত্রে খাবার দীর্ঘক্ষণ জমে থাকা, ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতা (ডিসবায়োসিস) বা আইবিএস (IBS) ও আইবিডি (IBD)-র মতো রোগের কারণেও এটি হতে পারে।
যদি গ্যাসের সঙ্গে তীব্র দুর্গন্ধ থাকে, তাহলে বুঝতে হবে যে হজম প্রক্রিয়ায় কোনও সমস্যা হচ্ছে। অন্ত্রে খাবার দীর্ঘক্ষণ জমে থাকা, ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতা (ডিসবায়োসিস) বা আইবিএস (IBS) ও আইবিডি (IBD)-র মতো রোগের কারণেও এটি হতে পারে।
advertisement
7/13
যদি খাবার হজম না হয়, তাহলে অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়া তা ভেঙে হাইড্রোজেন সালফাইডের মতো গ্যাস তৈরি করে, যা দুর্গন্ধের মূল কারণ। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলেও এটি হতে পারে, কারণ খাবার অন্ত্রে বেশি সময় ধরে থাকলে ব্যাকটেরিয়ার প্রতিক্রিয়া বেড়ে যায়। এছাড়া, ‘স্মল ইনটেস্টাইনাল ব্যাকটেরিয়াল ওভারগ্রোথ (SIBO)’ নামক একটি অবস্থাও এই ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
যদি খাবার হজম না হয়, তাহলে অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়া তা ভেঙে হাইড্রোজেন সালফাইডের মতো গ্যাস তৈরি করে, যা দুর্গন্ধের মূল কারণ। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলেও এটি হতে পারে, কারণ খাবার অন্ত্রে বেশি সময় ধরে থাকলে ব্যাকটেরিয়ার প্রতিক্রিয়া বেড়ে যায়। এছাড়া, ‘স্মল ইনটেস্টাইনাল ব্যাকটেরিয়াল ওভারগ্রোথ (SIBO)’ নামক একটি অবস্থাও এই ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
advertisement
8/13
প্রস্রাব বা মলত্যাগের মতোই মাঝেমধ্যে গ্যাস নির্গমন স্বাভাবিক। কিন্তু যদি এটি ঘন ঘন হয় এবং তীব্র দুর্গন্ধযুক্ত হয়, তাহলে সতর্ক হওয়া জরুরি। কারণ হতে পারে হজম শক্তির দুর্বলতা, অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতা বা গ্যাস্ট্রোইসোফ্যাজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) ও ক্রোন’স ডিজিজের (Crohn's Disease) মতো সমস্যা। এমনকি অতিরিক্ত গন্ধহীন গ্যাসও ইঙ্গিত দেয় যে শরীর কিছু খাবার ঠিকমতো হজম করতে পারছে না।
প্রস্রাব বা মলত্যাগের মতোই মাঝেমধ্যে গ্যাস নির্গমন স্বাভাবিক। কিন্তু যদি এটি ঘন ঘন হয় এবং তীব্র দুর্গন্ধযুক্ত হয়, তাহলে সতর্ক হওয়া জরুরি। কারণ হতে পারে হজম শক্তির দুর্বলতা, অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতা বা গ্যাস্ট্রোইসোফ্যাজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) ও ক্রোন’স ডিজিজের (Crohn's Disease) মতো সমস্যা। এমনকি অতিরিক্ত গন্ধহীন গ্যাসও ইঙ্গিত দেয় যে শরীর কিছু খাবার ঠিকমতো হজম করতে পারছে না।
advertisement
9/13
যদি ফোলাভাব, পেটব্যথা বা মলত্যাগে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টরা বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে এই সমস্যার কারণ নির্ণয় করে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তাই একে অবহেলা করা ঠিক নয়।
যদি ফোলাভাব, পেটব্যথা বা মলত্যাগে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টরা বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে এই সমস্যার কারণ নির্ণয় করে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তাই একে অবহেলা করা ঠিক নয়।
advertisement
10/13
ডাক্তারদের মতে, কিছু সহজ অভ্যাস বদল আনলে গ্যাসের সমস্যা কমানো সম্ভব— - হজম শক্তি বাড়াতে প্রতিদিনের খাবারের আগে এক চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। - প্রচুর জল পান করুন এবং পর্যাপ্ত ইলেকট্রোলাইট নিন, এতে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। - আঁশযুক্ত খাবার খান, তবে সঙ্গে পর্যাপ্ত জল পান করা জরুরি।
ডাক্তারদের মতে, কিছু সহজ অভ্যাস বদল আনলে গ্যাসের সমস্যা কমানো সম্ভব— - হজম শক্তি বাড়াতে প্রতিদিনের খাবারের আগে এক চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। - প্রচুর জল পান করুন এবং পর্যাপ্ত ইলেকট্রোলাইট নিন, এতে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। - আঁশযুক্ত খাবার খান, তবে সঙ্গে পর্যাপ্ত জল পান করা জরুরি।
advertisement
11/13
প্রতিদিন সকালের ব্যায়াম অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। - অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে কয়েক মাস নিয়মিত প্রোবায়োটিক গ্রহণ করুন। - প্রসেসড ফুড, গ্লুটেন, অতিরিক্ত চিনি ও দুগ্ধজাত খাবার কমিয়ে প্রিবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার (যেমন কলা ও পেঁয়াজ) বেশি খান।
প্রতিদিন সকালের ব্যায়াম অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। - অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে কয়েক মাস নিয়মিত প্রোবায়োটিক গ্রহণ করুন। - প্রসেসড ফুড, গ্লুটেন, অতিরিক্ত চিনি ও দুগ্ধজাত খাবার কমিয়ে প্রিবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার (যেমন কলা ও পেঁয়াজ) বেশি খান।
advertisement
12/13
এই অভ্যাসগুলি মেনে চললে গ্যাসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে সমস্যা গুরুতর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
এই অভ্যাসগুলি মেনে চললে গ্যাসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে সমস্যা গুরুতর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
advertisement
13/13
ডাঃ অরিন্দম সেন, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট (কলকাতা) বলেন,"গ্যাস নির্গমন স্বাভাবিক হলেও যদি এটি অতিরিক্ত হয় বা দুর্গন্ধযুক্ত হয়, তাহলে তা হজমজনিত সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে যদি কোষ্ঠকাঠিন্য, ফোলাভাব, বা ব্যথা থাকে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।"
গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডাঃ অরিন্দম সেন বলেন, "গ্যাস নির্গমন স্বাভাবিক হলেও যদি এটি অতিরিক্ত হয় বা দুর্গন্ধযুক্ত হয়, তাহলে তা হজমজনিত সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে যদি কোষ্ঠকাঠিন্য, ফোলাভাব, বা ব্যথা থাকে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।"
advertisement
advertisement
advertisement