Cholesterol: রোজ সকালে খান এই লাল ফল, ধুয়েমুছে সাফ আপনার শিরায় আটকে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল! একসঙ্গে সুস্থ হার্ট-লিভার-কিডনি
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- news18 bangla
- Written by:Bangla Digital Desk
Last Updated:
Cholesterol:সকালে খালি পেটে খেলে এই পেকটিন শরীরে প্রবেশ করে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল শোষণ করে বের করে দেয়। এটি ধীরে ধীরে খারাপ কোলেস্টেরল কমায়।
আপেলকে স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রাচীনকাল থেকেই বলা হয়ে থাকে যে প্রতিদিন একটি আপেল খেলে রোগের ঝুঁকি কমে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আপেল হৃদরোগের জন্য খুবই উপকারী বলে বিবেচিত হয়। এটি খেলে হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি কমানো যায়। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন ২টি আপেল খেলে শরীরে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল কমানো যায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি আপেল খেলে খারাপ কোলেস্টেরল অর্থাৎ এলডিএলের মাত্রা কমে। হৃদরোগ প্রতিরোধের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
advertisement
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে আপেলে উপস্থিত দ্রবণীয় ফাইবার পেকটিন শরীরে কোলেস্টেরলের শোষণ কমায়। সকালে খালি পেটে আপেল খেলে এই পেকটিন শরীরে প্রবেশ করে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল শোষণ করে বের করে দেয়। এটি ধীরে ধীরে খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। আপেলে কোয়ের্সেটিন, ক্যাটেচিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে, যা শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে। প্রতিদিন আপেল খেলে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি হৃদযন্ত্রের ধমনী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। বলছেন পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা৷
advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থূলতা এবং বর্ধিত ওজন খারাপ কোলেস্টেরলের অন্যতম প্রধান কারণ। আপেলে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি থাকে, যা দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমায়। প্রতিদিন সকালে আপেল খেলে ধীরে ধীরে ওজন কমে, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আপেলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে, তাই এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা কোলেস্টেরলের জন্যও উপকারী, কারণ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত এলডিএলের মাত্রা বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকে। প্রতিদিন দুটি আপেল খেলে কেবল হৃদয়ই নয়, লিভার এবং কিডনিও সুস্থ থাকে।
advertisement
সকালে খালি পেটে আপেল খাওয়া সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করা হয়, কারণ তখন শরীরের হজম প্রক্রিয়া দ্রুত হয় এবং পুষ্টির শোষণ আরও ভালোভাবে ঘটে। খোসা-সহ আপেল খাওয়ার চেষ্টা করুন, কারণ পেকটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি বড় অংশ খোসার মধ্যেই থাকে। দুধ বা চায়ের সাথে কখনও আপেল খাবেন না, এটি গ্যাস বা বদহজমের কারণ হতে পারে।
advertisement







