Cancer Risk Foods: ক্যানসারের পরম বন্ধু 'এই' খাবারগুলি! সাবধান, রোজ খেলে ক্যানসারের ছোবলে আপনার আয়ু কমবে গ্যারান্টি...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Cancer Risk Foods: আপনি প্রতিদিন এমন কিছু খাবার খাচ্ছেন, যা নীরবে আপনার শরীরে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। কোল্ড ড্রিংক, পপকর্ন, ময়দা ও প্রক্রিয়াজাত মাংসের মতো খাবার এড়িয়ে গিয়ে বেছে নিন স্বাস্থ্যকর বিকল্প এবং সচেতন হোন আজই৷ অবহেলায় ভয়ঙ্কর বিপদ, বিস্তারিত জানুন...
জাঙ্ক ফুড এবং ক্যানসারের ঝুঁকি: জাঙ্ক ফুড খেতে যতই সুস্বাদু হোক না কেন, এটি ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে দেয়। দীর্ঘমেয়াদে, এটি স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তবে কিছু আরও খাবার আছে, যা জাঙ্ক ফুডের মতোই ক্ষতিকর এবং ধীরে ধীরে ক্যানসার ডেকে আনতে পারে। সবচেয়ে খারাপ বিষয় হলো—আপনি বুঝতেই পারবেন না কখন এই ক্ষতি শুরু হয়েছে। কোন খাবারগুলি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় জানুন...
advertisement
কোল্ড ড্রিংক: এতে থাকা উচ্চমাত্রার চিনি এবং ক্যারামেল IV নামের কৃত্রিম রঙে 4-MEI নামে একটি রাসায়নিক থাকে, যা ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে। গ্রিল করা লাল মাংস: উচ্চ তাপে রান্না করার ফলে এতে হাইড্রোকার্বন তৈরি হয় যা ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।
advertisement
মাইক্রোওয়েভ পপকর্ন: এতে থাকা ডাইএ্যাসেটিল গরম হলে বিষাক্ত হয়ে যায় এবং প্যাকেটের আস্তরণ কার্সিনোজেনিক। ক্যানজাত টমেটো: ক্যানের ভিতরে থাকা BPA অ্যাসিডের কারণে খাবারে মিশে যায়, যা হরমোনে পরিবর্তন আনে। ভেজিটেবল অয়েল: কেমিকেল প্রক্রিয়ায় তৈরি এই তেলগুলিতে অতিরিক্ত ওমেগা-৬ ফ্যাট থাকে যা কোষের গঠন পরিবর্তন করে ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
advertisement
চাষের মাছ, বিশেষত স্যালমন: এসব মাছকে কীটনাশক ও অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হয়, যা মানুষের শরীরে জমে যায়। কৃত্রিম সুইটনার: এদের মধ্যে DKP নামের বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয়, যা শরীরে জমে মস্তিষ্কের টিউমার সৃষ্টি করতে পারে।
advertisement
ময়দা: পুষ্টিহীন এই উপাদান ক্লোরিন গ্যাস দিয়ে ব্লিচ করা হয় এবং শরীরে গিয়ে সহজে চিনি হয়ে যায়—যা ক্যানসার কোষের প্রিয় খাবার। কীটনাশকযুক্ত ফলমূল: সাধারণ ফল খাওয়া ভালো, তবে পেস্টিসাইড মিশ্রিত ফল যেমন ‘ডার্টি ডজন’ ক্যাটাগরির ফল ক্যানসার ডেকে আনতে পারে।
advertisement
প্রক্রিয়াজাত মাংস ও চিপস: প্রসেসড মাংস (বেকন, হটডগ ইত্যাদি): এতে প্রচুর নাইট্রেট ও নাইট্রাইট থাকে, যা দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির কারণ হতে পারে। পটেটো চিপস: ট্রান্স ফ্যাটে ভাজা হয়, তেলের পাশাপাশি অতিরিক্ত লবণ এবং কৃত্রিম রং ও প্রিজারভেটিভ থাকে, যা ক্যানসার ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
advertisement
GMO খাবারের বিপদ: যদিও বড় কোম্পানিগুলো GMO খাবার প্রচার করে, কিন্তু সেগুলোর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে খুব কম গবেষণা হয়েছে। এর প্রভাব এখনও অনিশ্চিত, কিন্তু এগুলিও ক্যানসারের কারণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
advertisement
অ্যালকোহল: ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট-এর গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত অ্যালকোহল খেলে মুখ, গলা, যকৃত, স্তন ও অন্ত্রের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। যদিও পরিমিত পরিমাণে অ্যালকোহলকে কিছু ক্ষেত্রে উপকারী বলা হয়, তবুও বেশি খাওয়া বিপজ্জনক।
advertisement
রিফাইন্ড চিনি ও HFCS: বিশেষ করে হাই ফ্রুকটোজ কর্ন সিরাপ শরীরে ইনসুলিন বৃদ্ধি করে এবং ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। অনেক কোম্পানি ব্রাউন সুগারেও কৃত্রিমভাবে মোলাসেস মেশায়, যা চিনিকে আরও ক্ষতিকর করে তোলে।
advertisement
ট্রান্স ফ্যাট: তরল তেলকে কঠিন করতে হাইড্রোজেনেশন প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় ট্রান্স ফ্যাট, যা খাবারের মেয়াদ বাড়ালেও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ২০১৫ সালে FDA খাদ্য প্রস্তুতকারকদের PHO (Partially Hydrogenated Oils) নিষিদ্ধ করতে নির্দেশ দেয়।
advertisement
করণীয় ও বিকল্প উপায়: এই সব খাবার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হলেও, স্বাস্থ্যকর বিকল্প যেমন—জৈব ফলমূল, হোলগ্রেইন, ঠান্ডা চাপা তেল, বাড়িতে রান্না করা খাবার বেছে নেওয়াই উত্তম। একমাত্র সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই ক্যানসার থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
advertisement
দিল্লি মেদান্তা হাসপাতালের সিনিয়র অনকোলজিস্ট ডঃ মীনাক্ষী ভরদ্বাজ বলেছেন, "আমরা যেসব খাবার প্রতিদিন খাই, সেগুলোর মধ্যে অনেকেই শরীরের কোষে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করে। কৃত্রিম রং, ট্রান্স ফ্যাট ও অতিরিক্ত চিনি নিয়মিত গ্রহণ করলে ক্যানসারের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।"
advertisement