Weather Changing Trends: উষ্ণতার মাপকাঠিতে রাজস্থানকে টেক্কা দিয়েছে বাংলার পাহাড়ি শহরগুলি, সিকিমেও তাপপ্রবাহ! এবার গরমে এই উল্টো ছবির কারণ কী, জানুন

বিশ্বজুড়ে আবহাওয়া তথা জলবায়ু যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, এই বিষয়ে বিজ্ঞানীদের আলোচনা জারি দীর্ঘ কয়েক দশক৷ সেই পরিবর্তনের ধারা এ বার ভালই টের পেলেন বাংলার মানুষ৷ পারদের রকেটগতিতে মরুরাজ্যকে হারিয়ে দিয়েছে হিমালয়৷ স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গিয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের তাপমাত্রা৷

সিকিমের একটা বড় অংশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে৷ আবহাওয়া দফতরের তরফে তাপপ্রবাহের সতর্কতা ছিল গ্যাংটক, তাডং এবং নামচিতে৷ হিমালয়ের পায়ের কাছে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের মতো এলাকাও দহনজ্বালায় দগ্ধ৷ অন্যদিকে রাজস্থানের জয়সলমের, শ্রীগঙ্গানগরের মতো শহরগুলিতে তাপমাত্রা থাকতে স্বাভাবিকের তুলনায় কম৷

পাহাড়ি অঞ্চলে যদি তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হয়, স্বাভাবিকের তুলনায় তার পার্থক্য যদি ৫ ডিগ্রি বা তার বেশি হয়, তাহলে তাকে তাপপ্রবাহ বলা হয়৷ চলতি গ্রীষ্মের মরশুমে একাধিবার উষ্ণতার মাপকাঠিতে মরুশহরগুলিকে টেক্কা দিয়েছে বাংলার পাহাড়ি শহরগুলি৷ এই উলটপুরাণ ছবিতে হতবাক বিজ্ঞানীরা৷

আবহবিদদের মতে, এই ভারসাম্যহীন আবহাওয়ার কারণ বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং পরিবেশ দূষণ৷ তাছাড়া রাজস্থানের বিভিন্ন শহরে টানা বৃষ্টি সেখানে তাপমাত্রা বাড়তে দেয়নি৷ অন্যদিকে সমতলে বৃষ্টির দেখা নেই৷ বরং তীব্র গরমে সেখানে চলছে তাপপ্রবাহজনিত পরিস্থিতি৷

সমতলে সাধারণত ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং স্বাভাবিকের তুলনায় তার পার্থক্য কমপক্ষে ৫ ডিগ্রি হলে তাকে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি বলে৷ খাতায়কলমে এই পরিসংখ্যান না থাকলেও দহনজ্বালা বিন্দুমাত্র কমে না৷ অসহনীয় গরম এবং তার সঙ্গে অন্যান্য অসুবিধায় জেরবার হতে হচ্ছে বাংলার মানুষকে৷

দিনের বেলা অসহনীয় গরম৷ সঙ্গে দরদর করে ঘাম৷ এবং একটুতেই অবসন্নতা ও ক্লান্তি৷ এমনকি, নিস্তার নেই রাতেও৷ সূর্যাস্তের পরও ঘামতে হচ্ছে বাড়তি আর্দ্রতার জন্য৷ দেখা নেই দখিনা বাতাসের৷

আবহাওয়ার চেনা ছবি পাল্টে গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও৷ সাধারণত দক্ষিণবঙ্গের রাঢ় অঞ্চল তীব্র গরমের জন্য পরিচিত৷ এ বছর রাঢের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে উত্তরবাংলার বিভিন্ন জেলাও৷ গরমে স্বস্তির খোঁজে পাহাড়ে গিয়েও বিপাকে পর্যটকরা৷ উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চলের হোটেলেও শেষে সিলিং ফ্যানের খোঁজ পড়েছে৷

গরমে বাঙালিদের আরও এক প্রিয় গন্তব্য সিকিম৷ সেখানেও এ বার স্বস্তি উধাও৷ গ্যাংটক লাগোয়া তাডংয়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ সিকিমেও কোনওদিন তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে, ভাবতেও পারেননি আবহবিজ্ঞানীরা৷

বাংলায় আপাতত স্বস্তির বার্তা নেই৷ হাওয়া মোরগের পূর্বাভাস বলছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত অসহনীয় গরম চলবে বাংলার বিভিন্ন অংশে৷